নিঝুম দ্বীপ কোথায় অবস্থিত কোন নদীর মোহনায় | নিঝুম দ্বীপ

Contents
নিঝুম দ্বীপ কোথায় অবস্থিত কোন নদীর মোহনায়নিঝুম দ্বীপের অপর নাম কিনিঝুম দ্বীপের আয়তন কত | নিঝুম দ্বীপ কেন বিখ্যাতনিঝুম দ্বীপের দর্শনীয় স্থান | নিঝুম দ্বীপ কোন জেলায় অবস্থিতশেষ কথা: FAQs: নিঝুম দ্বীপনিঝুম দ্বীপের অপর নাম কী?চর ওসমান কি?নিঝুম দ্বীপ কেন বিখ্যাত?
নিঝুম দ্বীপ কোথায় অবস্থিত কোন নদীর মোহনায় সে সম্পর্কে জানার জন্য অনেকেই গুগলের মাধ্যমে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আজকের এই ব্লগ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো নিঝুম দ্বীপ কোথায় অবস্থিত,কোন নদীর মোহনায়,নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার উপায়,নিঝুম দ্বীপ কেন বিখ্যাত ইত্যাদি বিষয়ে।

মূলত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সবুজের সমারোহের শেষ নেই। এই সকল জিনিস গুলোর মাঝে ছোট্ট ছোট্ট কিছু জায়গা আছে যেখানে গেলে মানুষ আত্ম তৃপ্তি পায়।

নিঝুম দ্বীপ কোথায় অবস্থিত কোন নদীর মোহনায়
এসকল জায়গাগুলোর মধ্যে নিঝুমদ্বীপ অন্যতম একটি জায়গা। অনেক পর্যটকরা সেখানে বেড়াতে যেতে খুবই ভালোবাসেন এবং প্রতিবছরই সেখানে অনেক পর্যটক উপস্থিত হন।

নিঝুম দ্বীপ কোথায় অবস্থিত কোন নদীর মোহনায়
বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম ছোট একটি দ্বীপ হচ্ছে নিঝুম দ্বীপ। এই দ্বীপটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত।

পড়ুনঃ পাসপোর্ট সংশোধনের অঙ্গীকারনামা কিভাবে পূরণ করবেন

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার ৮ এপ্রিল ২০০১ সালে নিঝুম দ্বীপকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা প্রদান করে। এর পরবর্তী সময়ে ২০১৩ সালে দীপ্তি জাহাজমারা ইউনিয়ন হতে পৃথক হয়ে স্বতন্ত্র ইউনিয়নের মর্যাদা লাভ করে।

নিঝুম দ্বীপের অপর নাম কি
দ্বীপটির নাম নিঝুম দ্বীপ হওয়ার পূর্বে এর নাম ছিল চর ওসমান, বাউল্লার চর, আবার কেউ কেউ এই দ্বীপকে ইছামতির চর বলে ডাকত।

নিঝুম দ্বীপের অপর নাম কি
এই চর এর মাঝে অনেক ইচা মাছ অর্থাৎ আমরা যাকে চিংড়ি নামে চিনি সেই মাছ বেশি পাওয়া যেতে বলে একে ইছামতির চর বলা হত।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলা কোনটা | বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলার নাম কি
এই ধরিত্রীতে সর্বপ্রথম বসবাস শুরু করেন ওসমান নামের একজন ব্যক্তি। যিনি বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে সর্বপ্রথম এই দ্বীপে বসবাস করে তোলেন।

নিঝুম দ্বীপ ছবি
জানুন>> অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম ও নমুনা | অঙ্গীকারনামা চুক্তি পত্রের নমুনা

ঠিক তখনই এই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে হাতিয়ার সাংসদ আমিরুল ইসলাম কালাম এই নামটি পরিবর্তন করে নিঝুম দ্বীপ নামকরণ করেছিলেন।

নিঝুম দ্বীপ ছবি
মূলত বাল্লারচর, চর ওসমান, কামলার চর এবং মৌলভির চর এই চারটি চর মিলিয়ে নিঝুম দ্বীপ।

নিঝুম দ্বীপের আয়তন কত | নিঝুম দ্বীপ কেন বিখ্যাত

১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এই দ্বীপটি জেগে ওঠে। এই নিঝুম দ্বীপের আয়তন হচ্ছে ১৪,০৫০ একর। এই দ্বীপের মাঝে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে দিকে বসবাস শুরু করেছিলো মানুষ। পরবর্তী সময়ে ১৯৭০ এর ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে দ্বীপের মাঝে কোন প্রাণের অস্তিত্ব ছিলনা।

এই ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী সময় কালে তৎকালীন হাতিয়ার জননন্দিত নেতা আমিনুল ইসলাম কালাম সাহেব দ্বীপটিকে পরিদর্শন করতে গিয়ে সেখানে কোন প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পান না।

জেনে নিন>> বিলিরুবিন কোথায় তৈরি হয়? | What Is Bilirubin In Bengali?

তাই তিনি আক্ষেপের সুরে বলেছিলেন হায় নিঝুম। তার এই কথার প্রেক্ষিতে এই দ্বীপটির নাম নতুন করে রাখা হয়েছিল নিঝুম দ্বীপ।

এই জীবের মধ্যে যে মাটি রয়েছে সেগুলো চিকচিকে বালুময় যার কারণে জেলেরা নিচ থেকে এই দ্বীপের নাম প্রদান করে বালুরচর।

আরও পড়ুন>>

জেনে নিন স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় – বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা
জেনে নিন সরকারি কলেজে ভর্তির জন্য কত পয়েন্ট লাগবে – College Admission Points
ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় – How Fast Can You Die From Diabetes
UPS কেন ব্যবহার করা হয় এবং UPS এর উপকারিতা কি
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সুন্দরবন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য | সুন্দরবন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে
এছাড়াও এ দ্বীপটির মধ্যে মাঝে মাঝে বালুর ঢিবির বারের মত ছিল যার কারণে স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপটিকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেও ডাকত।

যদিও বর্তমানে এই দ্বীপটির নাম হচ্ছে নিঝুমদ্বীপ তবুও স্থানীয় লোকেরা এই দ্বীপটিকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেই সম্বোধন করে থাকে।

নিঝুম দ্বীপের দর্শনীয় স্থান | নিঝুম দ্বীপ কোন জেলায় অবস্থিত
কমলার দ্বীপ: সেখানের কমলার খালে অনেক ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এছাড়াও আশে পাশের দ্বীপগুলো সুন্দর। পুরো দ্বীপটা হেঁটে হেঁটে ঘুরে আসা যায়, মন ভরে যাবে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে জাহাজ থেকে এই দ্বীপে কয়েক বাক্স কমলা পড়ে থাকতে দেখে এর নামকরণ করা হয় কমলার দ্বীপ।
চৌধুরী খাল ও কবিরার (কবির নামে এক জেলের নৌকা ডুবে যায়) চর।
চোয়াখালী ফরেস্ট ও চোয়াখালী সমুদ্র সৈকত।
ম্যানগ্রোভ বন: নিঝুম দ্বীপ বনায়ন প্রকল্প। আছে কেওড়া গাছ, গেউয়া গাছ আর লতাগুল্ম।
নামার বাজার সমুদ্র সৈকত (প্রধান ভূমি ও সৈকত)
দমার চর: বঙ্গোপসাগরেল সম্প্রতি আরো একটি সমুদ্র সৈকত জেগে উঠেছে। সৈকতটি একেবারে আনকোরা, কুমারী। একে এখন ডাকা হচ্ছে ‘কুমারী সমুদ্র সৈকত’ বলে। নিঝুম দ্বীপের লোকজন এবং মাছ ধরতে যাওয়া লোকেরা এই সৈকতকে বলে ‘দেইলা’ বা বালুর স্তুপ।
শেষ কথা:
আজকের এই আর্টিকেলের নিঝুম দ্বীপ কোথায় অবস্থিত কোন নদীর মোহনায় সে সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে এবং আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা নিঝুম দ্বীপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আরও পড়ুনঃ নতুন বাস ভাড়ার তালিকা ২০২৩ | নতুন বাস ভাড়ার চার্ট
এই আর্টিকেল সংক্রান্ত যদি আপনাদের কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানান। বিভিন্ন ধরনের সংবাদ, শিক্ষামূলক আর্টিকেলগুলো পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। এছাড়া আপনি চাইলে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত থাকতে পারেন।

FAQs: নিঝুম দ্বীপ
নিঝুম দ্বীপের অপর নাম কী?
দ্বীপের মাটি চিকচিকে বালুকাময়, তাই জেলেরা নিজ থেকে নামকরণ করে বালুর চর। এই দ্বীপটিতে মাঝে মাঝে বালুর ঢিবি বা টিলার মতো ছিল বিধায় স্থানীয় লোকজন এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেও ডাকত। বর্তমানে নিঝুমদ্বীপ নাম হলেও স্থানীয় লোকেরা এখনো এই দ্বীপকে বাইল্যার ডেইল বা বাল্লারচর বলেই সম্বোধন করে।

চর ওসমান কি?
নোয়াখালী, চর ওসমান, কামলার চর এবং চর মুরি এই চারটি দ্বীপের মোট ১৬,৩৫২.২৩ হেক্টর এলাকা নিয়ে উদ্যানটি গঠিত। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর–ওসমান। জানা যায় ওসমান নামের একজন বাথানিয়া তার মহিষের বাথান নিয়ে প্রথম নিঝুম দ্বীপে বসত গড়েন। তখন থেকেই এর নাম ছিলো চর–ওসমান।

নিঝুম দ্বীপ কেন বিখ্যাত?
নিঝুম দ্বীপ এখন হরিণের অভয়ারণ্য। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের হরিণশুমারি অনুযায়ী হরিণের সংখ্যা ২২,০০০। নোনা পানিতে বেষ্টিত নিঝুম দ্বীপ কেওড়া গাছের অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ বনের মধ্যে সুন্দরবনের পরে নিঝুম দ্বীপকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বলে অনেকে দাবি করেন। বিস্তারিত উপর থেকে জানুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *