ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় – How Fast Can You Die From Diabetes

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়
Contents
ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়?  ডায়াবেটিস কি? ডায়াবেটিস কত হলে জীবনের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে? ডায়াবেটিস এর লক্ষন কি কি? ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়?  ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় উচ্চ রক্তে শর্করা: কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ: কিডনির ক্ষতি: চোখের ক্ষতি: স্নায়ুর ক্ষতি: পায়ের সমস্যা: দাঁতের সমস্যা: ডায়াবেটিস নরমাল কত পয়েন্ট ?খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল?খাওয়ার পর ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল?ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমালওজনের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক আছে কি?ডায়াবেটিস কেন হয়?ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কি?ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে করনীয়নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুনঃচিনি যুক্ত খাবার এরিয়ে চলুনঃডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যায়াম করুনঃ নির্দেশিত ওষুধগুলি গ্রহণ করুনঃ হাইড্রেটেড থাকুনঃ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুনঃ ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়? ডায়াবেটিস মাত্রা কত হলে ওষুধ খেতে হবে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকাএই ব্লগের উপসংহারঃFAQs: ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়

দর্শক আপনি কি জানেন ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়? শুধু 2019 সালে আনুমানিক 20 লাখ মানুষ ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগে মারা গেছে।কিন্তু সাধারণভাবে, ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিসবিহীন লোকদের তুলনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে।

ডায়াবেটিস থেকে জটিলতা এবং মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে, অবশ্যই সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ সহ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখতে হবে, কারন ডায়াবেটিস ব্যাধি দেখা দিলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আজ আমরা জানবো, How Fast Can You Die From Diabetes? ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলি কি কি?

আজকে আপনাদের জানবো ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় এছাড়া How many people die of diabetes?। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা প্রায় প্রতিটি মানুষের শরীরে থাকে। তবে সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে হলে ডায়াবেটিস কে সহনীয় মাত্রায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। আপনি জানেন কি ডায়াবেটিস কি? ডায়াবেটিস হচ্ছে মানব শরীরে ডায়াবেটিস গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি একটি রোগআপনি যদি তারাতারি লম্বা হতে চান তাহলে পড়ুন>> কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়। 

তাই সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই আপনাকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে অর্থাৎ আপনার শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী।

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়?

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়
ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়

বর্তমানে অনেকেই গুগল করে থাকেন ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল এবং ডায়াবেটিস কত হলে ওষুধ খেতে হবে, এই কথার উত্তর এককথায় দেয়া সম্ভব নয়।

চিকিৎসকদের মতে ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় সেটা নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যায় না। তবে ডায়াবেটিস এর মাত্রা বেড়ে গেলে মানুষের স্ট্রোক, হার্ট এর সমস্যা, কিডনি সমস্যা বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ মিলিয়ে শরীরের অবস্থা জটিল আকার ধারণ করেলে অনেকে মারা যায়।

কেননা চিকিৎসকরা ডায়বেটিস সম্পর্কে গবেষণা করতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছেন একেক জনের শরীরের তারতম্য বেঁধে ডায়াবেটিসের রোগের লক্ষণ এবং শারীরিক সমস্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনাকে ডায়বেটিস রোগ থেকে নিজেকে সুস্থ থাকতে হলে প্রথমে আপনার শারীরিক সমস্যার নিরূপণ করতে হবে, সেটা যদি ডায়াবেটিসের কারণে হয়ে থাকে তাহলে সেই অনুসারে আপনাকে জীবনযাপন করতে হবে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে।

ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় কোন নির্দিষ্ট ডায়াবেটিসের স্তর নেই যাতে একজন ব্যক্তি মারা যায়। ডায়াবেটিসের তীব্রতা এবং এর সম্ভাব্য জটিলতাগুলি ব্যক্তির বয়স, সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং তারা তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা ভালভাবে পরিচালনা করে তা সহ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে থাকে। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন হৃদরোগ, কিডনি রোগ, স্নায়ুর ক্ষতি এবং অন্ধত্ব। কিছু ক্ষেত্রে, এই জটিলতাগুলি জীবন-হুমকি হতে পারে। আশেপাশের মানুষ আপনাকে ভালবাসেনা,পাত্তা দেয়না তবে পড়ুন>>কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করা যায়। 

ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে অথবা প্রতিরোধ করার জন্য অবশ্যই সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ সহ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখতে হবে। এতে করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।

  ডায়াবেটিস কি? 

বর্তমানে বাংলাদেশে বহুল পরিচিত একটি রোগের নাম হচ্ছে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস কি ও কেন হয় ডায়াবেটিস এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা খুবই জরুরী।

ডায়াবেটিস কি
ডায়াবেটিস কি

ডায়াবেটিস মূলত একটি হরমোন জনিত সমস্যা। আপনার শরীরে যদি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরিমান ইনসুলিন তৈরী না হয় বা তৈরীকৃত ইনসুলিন ঠিক মত কাজ না করে তাহলে ডায়াবেটিস রোগ দেখা দেয়। তাই বলা যায় ডায়াবেটিস হচ্ছে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যাওয়া বা ইনসুলিন উৎপাদন হওয়ার পরও তা শরীরে কাজ করতে না পারার কারণে সৃষ্ট একটি রোগ।

 আরও পড়ুনঃনতুন বাস ভাড়ার তালিকা ২০২৩ | নতুন বাস ভাড়ার চার্ট ??

এর ফলে আমদের শরীরে তখন শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকে, আর সেই অবস্থাকে আমরা ডায়াবেটিস বলছি বা বলে থাকি। মনে রাখবেন যদি ইনসুলিন ঠিকমত কাজ না করে তাহলে আপনার শরীরে গুকোজের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে যায়। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া মানে আপনার ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া। আর গ্লুকোজের মাত্রা যদি আপনি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়

ডায়াবেটিস কত হলে জীবনের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে? 

ডায়াবেটিস সরাসরি মৃত্যুর কারণ হয় না। যদি অনিয়ন্ত্রিত বা সঠিকভাবে পরিচালনা করা না হয় তাহলে ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে যা শেষ পর্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল কার্ডিওভাসকুলার রোগ, যেমন হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক। রক্তে গ্লুকোজের উচ্চ মাত্রা রক্তনালী এবং স্নায়ুগুলিকে ক্ষতি করতে পারে যা হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা এই অবস্থার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  মেডিকেলে পড়ার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে বা থাকলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি?

ডায়াবেটিসের অন্যান্য সম্ভাব্য জটিলতার মধ্যে রয়েছে কিডনির ক্ষতি, স্নায়ুর ক্ষতি, দৃষ্টি সমস্যা এবং সংক্রমণ যা চিকিত্সা করা কঠিন হতে পারে। এই জটিলতাগুলি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুহারেও অবদান রাখতে পারে।

ডায়াবেটিস এর লক্ষন কি কি? ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়? 

যদিও ডায়াবেটিসের একাধিক উপসর্গ রয়েছে, কেননা এক এক জনের শরীরে একেক ধরনের সমস্যা পরিলক্ষিত হয় ডায়াবেটিসের কারণে।

তবে আপনারা যারা জানতে চান ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়? তদের বলছি ডায়াবেটিস রোগের লক্ষণ সমূহের মধ্যে রয়েছে শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা, ঝাপসা দৃষ্টি, অত্যধিক তেষ্টা, ঘন ঘন প্রস্রাব ইত্যাদি।

এগুলো ছাড়াও এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয় আমদের। তবে এমন কিছু ডায়াবেটিস এর লক্ষণ রয়েছে যা অভিজ্ঞ ডাক্তার ব্যতীত খুব সহজে ধরা পড়ে না। বাংলাদেশে এমন অনেকেই রয়েছেন শরীর দুর্বলতার সহ নানা উপসর্গ কে উপেক্ষা করে জীবন যাপন করতে থাকেন, তাদের জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ হচ্ছে অবশ্যই আপনি আপনার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নিবেন।

মেয়ো ক্লিনিকের মতে, রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে মুখের আশেপাশেও তার লক্ষণ দেখা যায় বেশিরভাগ সময়। তবে বিষয়টি সকলে বুঝতে পারেন না।

 ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় 

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা যা সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়। সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে:

উচ্চ রক্তে শর্করা:

ডায়াবেটিসের প্রাথমিক সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা। সময়ের সাথে সাথে, উচ্চ রক্তে শর্করা শরীরের রক্তনালী, স্নায়ু এবং অঙ্গগুলির ক্ষতি করতে পারে।

কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ:

ডায়াবেটিস হল কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের জন্য একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ, যার মধ্যে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং পেরিফেরাল ধমনী রোগের মতো অবস্থা রয়েছে।

কিডনির ক্ষতি:

ডায়াবেটিস কিডনির ছোট রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে কিডনি রোগ বা এমনকি কিডনি ব্যর্থ হতে পারে।

চোখের ক্ষতি:

উচ্চ রক্তে শর্করা চোখের রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে দৃষ্টি সমস্যা বা এমনকি অন্ধত্বও হতে পারে।

স্নায়ুর ক্ষতি:

ডায়াবেটিস স্নায়ুর ক্ষতির কারণ হতে পারে, যা নিউরোপ্যাথি নামক একটি অবস্থার দিকে পরিচালিত করে, যা হাত ও পায়ে ব্যথা, অসাড়তা এবং ঝাঁকুনি সৃষ্টি করতে পারে।

পায়ের সমস্যা:

ডায়াবেটিসও পায়ে দুর্বল সঞ্চালন এবং স্নায়ুর ক্ষতির কারণ হতে পারে, ক্ষত এবং সংক্রমণ নিরাময় করা আরও কঠিন করে তোলে, যা অঙ্গচ্ছেদের মতো গুরুতর জটিলতার কারণ হতে পারে।

দাঁতের সমস্যা:

ডায়াবেটিস মাড়ির রোগ এবং অন্যান্য দাঁতের সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ডায়াবেটিস নরমাল কত পয়েন্ট ?

খালি পেটে যদি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা ৭ এর বেশি থাকে, আর খাওয়ার পর যদি ১১ থেকে বেশি থাকে, তখন সেই অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে। অর্থাৎ ডায়াবেটিস নরমাল পয়েন্ট খালি পেটে এবং ভরা পেটে (খবার ২ ঘণ্টা পর) কত তার পরিমাপ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল?

খালি পেটে ডায়াবেটিস ৭-এর নিচে হলে নরমাল। তাই আপনার কাছে যদি মনে হয় আপনার শরীরে ডায়াবেটিস জনিত সমস্যা রয়েছে বা ডায়াবেটিস এর উপসর্গ রয়েছে তবে আপনাকে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিতে হবে।

খাওয়ার পর ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল?

চিকিৎসকদের মতে খাওয়ার ২ ঘণ্টা পর ডায়াবেটিস ১০ এর নিচে হলে নরমাল। খাওয়ার আগে ( খালি পেটে) এবং খাওয়ার পর ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল সেই সম্পর্কে জানতে অবশ্যই আপনাকে পরীক্ষা করাতে হবে নিয়মিত। তবে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে আপনি নিজেই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

খাওয়ার পর ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
খাওয়ার পর ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল

আমাদের দেশে ডায়াবেটিস রোগীরা যখন চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় তখন চিকিৎসকের নিকট বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীকে একটি কমন প্রশ্ন করতে দেখা যায়। আর এই কমন প্রশ্নটি হলো ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল? বা ভরা পেটে ডায়াবেটিস নরমাল কত পয়েন্ট? আর ডায়াবেটিস রোগীদের এই প্রশ্নটির উত্তরে আমরা বলতে চাই যে, ভরা পেটে রক্তের সুগার লেভেল যেহেতু কিছুটা বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক।

আরও পড়ুনঃ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাস??

তাই ভরা পেটে ডায়াবেটিস পরীক্ষার ফলাফলের মান ১৪০ mml/dL বা ৭.৮ মিলি.মোল/লি (mmol/l) পর্যন্ত থাকাটা নরমাল। অন্যদিকে রক্তের সুগারের এই মান ২০০ mml/dL বা ১১.১ মিলি.মোল/লি (mmol/l) এর অধিক থাকলে তখন সেটা যথাযথ ডায়াবেটিসের মাত্রায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।

ওজনের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক আছে কি?

ডায়াবেটিস সাথে সরাসরি ওজনের বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক আছে, এমন বলা যাবে না। তবে যাঁদের ডায়াবেটিস, তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাঁরা ফাস্ট ফুড খেতে ভালোবাসেন। শুয়ে-বসে সময় কাটান, ওজন বেশি। এই কারণে তাঁদের শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধক বেড়ে যায়। ফলে ইনসুলিন নিঃসরণ হলেও সেটা কাজ করতে পারে না। তাই এই সকল লোকেদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা প্রবল থাকবে। মূলত শরীরের উচ্চতা বয়সের সাথে সমন্বয় করে শরীরের ওজন ঠিক থাকা জরুরি। বডি-মাস-ইনডেক্স ঠিক রাখা খুবই জরুরি।

ডায়াবেটিস কেন হয়?

পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও জিনগত ভূমিকা বা জেনেটিক রোলের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি। ডায়াবেটিস কেন হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে আরও একটি কারণ হলো জিনগত ভূমিকা, আরেকটি হলো জীবনযাপন বা লাইফস্টাইল।

ডায়াবেটিস কেন হয়
ডায়াবেটিস কেন হয়

বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস আছে মানে, আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা ৫০ শতাংশ বেশি। আর জীবনযাপন যদি স্বাস্থ্যকর না হয়, সে ক্ষেত্রে আরও ৫০ শতাংশ। মানে শতভাগ। অতএব ডায়াবেটিস রোগটি যেন আপনার শরীরে যাতে বাসা বাঁধতে না পারে সেজন্য প্রথম থেকেই সচেতন থাকুন।

ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কি?

ডায়াবেটিস কমানোর উপায় হচ্ছে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করা এবং প্রতিদিন নিয়ম মেনে হাঁটা এবং শরীরের ওজন কমানো। ঘরের কাজ, অফিসের কাজ, যা-ই থাকুক না কেন, ব্যায়ামের বিকল্প নেই, অর্থাৎ একজন মানুষকে স্বাভাবিক ও সুস্থ থাকলে হলে অবশ্যই নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  Republic of Molossia : যে দেশে কুকুর নাগরিকত্ব পায়, সে এক মানবিক দেশ।

ডাক্তারদের মতে প্রতি সেকেন্ডে দুই পা হাঁটতে হবে। জোরে জোরে প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটতে হবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আপনাকে আপনার খাবার তালিকার দিকে নজর দিতে হবে বেশি বেশি সবজি খেতে হবে চর্বি জাতীয় জিনিস পরিহার করতে হবে। বাহিরের খাবার না খাওয়াই উত্তম, তবে মানসম্মত খাবার খেতে হবে ঘরে।

ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে করনীয়

যদি আপনার ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে আপনার প্রথমেই যা করা উচিত তা হল আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা। তারা আপনাকে বৃদ্ধির কারণ নির্ধারণ করতে এবং আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য সহায়তা করতে পারে। উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য আপনি কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:

নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুনঃ

আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। এটি আপনাকে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কখন বেশি তা সনাক্ত করতে এবং সেই অনুযায়ী আপনার চিকিত্সা পরিকল্পনা সামঞ্জস্য করতে সহায়তা করবে।

চিনি যুক্ত খাবার এরিয়ে চলুনঃ

একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য অনুসরণ করুন যাতে চিনি এবং কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং জটিলতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যায়াম করুনঃ 

নিয়মিত ব্যায়াম রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। আপনার জন্য সেরা ব্যায়াম পরিকল্পনা সম্পর্কে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কথা বলুন।

নির্দেশিত ওষুধগুলি গ্রহণ করুনঃ 

আপনি যদি ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণ করেন তবে আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর দ্বারা নির্ধারিত সেগুলি গ্রহণ করতে ভুলবেন না।

হাইড্রেটেড থাকুনঃ 

প্রচুর পানি পান করা আপনার সিস্টেম থেকে অতিরিক্ত চিনি বের করে দিতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুনঃ 

উচ্চ মাত্রার মানসিক চাপের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। স্ট্রেস পরিচালনা করার উপায় খুঁজুন, যেমন শিথিলকরণ কৌশল বা মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে কথা বলা। আপনার ডায়াবেটিসকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে এবং জটিলতা প্রতিরোধ করতে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ।

 

ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়?

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি রক্তে শর্করা বা গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগ। রক্তে শর্করা ১৬.৭ মিলিমোল বা ৩০০ গ্রাম/ডেসিলিটারের বেশি বা গড় শর্করা এইচবিএওয়ান সি ১০ শতাংশের বেশি হলে ইনসুলিন দিয়ে আগে কমিয়ে নিতে হবে।

অর্থাৎ ডায়াবেটিস ১৬.৭ বা তার বেশি হলে ওষুধ কার্যকর নয়, তখন ডায়াবেটিস রোগীকে ইনসুলিন নিতে হবে। এই সময় ইনসুলিন না নিলে নানা জটিলতা ডেকে আনবে। কিডনি ও যকৃতের জটিলতা থাকলে ইনসুলিন ব্যবহার করতে হবে।

ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়
ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়

 ডায়াবেটিস মাত্রা কত হলে ওষুধ খেতে হবে 

ডায়াবেটিসের ওষুধ খাওয়ার সিদ্ধান্ত রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা, লক্ষণ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা সহ বিভিন্ন কারণের সমন্বয়ের উপর ভিত্তি করে। সাধারণভাবে, ডায়েট এবং ব্যায়ামের মতো জীবনধারা পরিবর্তন করা সত্ত্বেও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্য মাত্রার উপরে থাকলে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়াবেটিসের ধরন (টাইপ 1, টাইপ 2, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস) এবং বয়স, ওজন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যের অবস্থার মতো স্বতন্ত্র কারণগুলির উপর নির্ভর করে লক্ষ্য রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা এবং ওষুধের নিয়ম পরিবর্তিত হবে।

সাধারণত, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিয়মিত তাদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করবেন এবং উপযুক্ত ওষুধের নিয়ম নির্ধারণের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ সাথে কাজ করবেন। আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ অনুসরণ করা এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সাথে সম্পর্কিত জটিলতাগুলি প্রতিরোধ করার জন্য নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে আপনি কী খাচ্ছেন তা পর্যবেক্ষণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এত পছন্দের সাথে, পুষ্টি উদ্বেগের কারণ হতে পারে।ফ্রিডম্যান ডায়াবেটিস ইনস্টিটিউটের ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের পরিচালক ড. জেরাল্ড বার্নস্টেইনের মতে, ডায়াবেটিস রোগীদের একমাত্র পুষ্টির লক্ষ্য হওয়া উচিত এমন খাবার খাওয়া যা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

এখানে ১৩ টি খাবার রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে খারাপ এবং ক্ষতিকারক হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

  • সাদা চালঃ যত সাদা চালের ভাত খাবেন, টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের ঝুঁকি তত বাড়তে থাকবে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সাদা চালের খাবার খেলে প্রতিদিনই ঝুঁকির মাত্র ১১ শতাংশ হারে বেড়ে যায়। কারণ এই চাল প্রক্রিয়াজাত করে সাদা করা হয়। তা ছাড়া এই খাবার চিনি মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে। পরিবর্তে বাদামী চালের খাবার খেতে পারেন। এতে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • ব্লেন্ডেড কফিঃ সিরাপ, সুগার এবং ক্রিম সমৃদ্ধ ব্লেন্ডেড কফি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হতে পারে। একে স্রেফ কফি হিসেবে হয়তো খাবেন আপনি। কিন্তু এর ব্লেন্ডেড সংস্করণে রক্তে গ্লুকোজ বাড়ানোর উপাদান রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এক কাপ ব্লেন্ডেড কফিতে ৫০০ ক্যালরি, ৯৮ গ্রাম কার্ব এবং ৯ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এর পরিবর্তে নন-ফ্যাট সংস্করণ কফি বেছে নিন।
  • কলা এবং তরমুজঃ সব তরতাজা ফলেই ভিটামিন ও ফাইবার রয়েছে। কিন্তু ফলে সুগার থাকে। তাই কলা, তরমুজের পুষ্টিগুণ ভালো থাকলেও এতে গ্লুকোজের পরিমাণ প্রচুর। তাই ব্লুবেরি এবং বেরি জাতীয় ফল বেশি বেশি খান।
  • চাইনিজ খাবারঃ মুখরোচক হলেও এই খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। এতে রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার মতো যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। তাই এর বদলে বাড়িতে চাইনিজ খাবার বানিয়ে নিন স্বাস্থ্যকরভাবে যা আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়াবে না।
  • পেস্ট্রিঃ ডোনাট, টোস্ট বা পেস্ট্রির মতো মজার খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। এসব প্রক্রিয়াজাত সাদা চাল থেকে তৈরি হয় যাতে উচ্চমাত্রার ফ্যাট, কার্ব এবং সোডিয়াম রয়েছে। তাই পরনিবর্তে বাদামী চালের তৈরি কেক খান। কম চিনি রয়েছে এমন পিনাট বাটার ব্যবহার করুন।
  • ফ্রুট স্মুথিঃ এর নাম শুনলে মনে হয় খুবই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এটি চিনিতে পরিপূর্ণ।তাই খেতে মন চাইলে বাড়িতে চিনি ছাড়া তৈরি করে উপভোগ করুন।
  • ট্রেইল মিক্সঃ সংরক্ষণ করা হয় এমন ট্রেইল মিক্সে বাদাম, শুকনো ফল এবং মিল্ক চকোলেট রয়েছে। এদের মধ্যে বাদাম ছাড়া বাকিগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিশ্চিত হুমকি। তাই এর পরিবর্তে নিম্নমাত্রার কার্বযুক্ত সূর্যমুখীর বীচি, ওয়ালনাট, রোস্টেড পিনাট এবং আলমন্ড দিয়ে ট্রেইল মিক্স বানাতে পারেন। এই মিক্স কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ পাউরুটি দিয়ে খেতে পারেন।
  • রিফাইন্ড সিরিয়ালঃ উপাদেয় সিরিয়াল রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। তবে সিরিয়ালের ক্ষেত্রে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা একেক জনের দেহে একেকভাবে দেখা দিতে পারে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের এড়িয়ে চলাই ভালো। এর পরিবর্তে সবজি ও ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। ডিমের কুসুমে কোলেস্টরেল রয়েছে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • ফলের রসঃ সকালের নাস্তায় ফলের রস খুব স্বাস্থ্যকর হলেও তা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য হুমকি। তা ছাড়া দোকানে পাওয়া যায় এমন ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এর বদলে কম সুগার রয়েছে এমন ফলের একটি বা দুটি টুকরো খেতে পারেন।
  • এনার্জি বারঃ এনার্জি বারে আসলে থাকে চকোলেট, কার্ব এবং চিনি। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অবশ্য বর্জনীয়। তাই ক্ষুধা লাগলে বাড়িতে তৈরি স্ন্যাক্স খেতে পারেন।
  • পাস্তা আলফ্রেডোঃ আলফ্রেডো সস ক্রিম, পারমেসান চিজ এবং বাটার থেকে তৈরি হয়। এতে রয়েছে ১ হাজার ক্যালরি, ৭৫ গ্রাম ফ্যাট এবং ১০০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। তাই বাদ দেওয়া জরুরি। এর পরিবর্তে গমের তৈরি পাস্তা খেতে পারেন টমেটো সস দিয়ে। এতে রয়েছে ২৮০ ক্যালরি এবং ১৪ গ্রাম ফ্যাট।
  • ফ্রেঞ্চ ফ্রাইঃ এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ মারাত্মক খাবার। একটু বেশি পরিমাণ খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাবে। ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন এক এড়িয়ে চলেত বলেছে। তাই বাড়িতে কিছু আলু ভেজে খেতে পারেন এবং একে এড়িয়ে গিয়ে অন্যান্য সবজি খাওয়াই ভালো।
  • চর্বিসমৃদ্ধ মাংসঃ ডায়াবেটিস রোগীরা হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন। তাই চর্বিযুক্ত মাংস পুষ্টিকর হলেও তা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াবে ডায়াবেটিস রোগীদের। তাই বিশেষ করে রেড মিট এর মতো মাংস বাদ দিতে হবে। এতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত ফ্যাট রয়েছে। এর বদলে প্রোটিনসমৃদ্ধ বিন, লেনটিস ইত্যাদি কেতে পারেন। তা ছাড়া মাছ, সামুদ্রিক খাবারও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
আরও পড়ুনঃ  বিলিরুবিন কোথায় তৈরি হয়? | What Is Bilirubin In Bengali?

খাদ্য তালিকার বিশেষজ্ঞঃ ডাঃ নুরুজ্জামান আহমেদ। ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা তে আরও যা থাকা উচিত ক্লিক করে জেনে নিন।

এই ব্লগের উপসংহারঃ

আজ আমরা আলোচনা করছি ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় এবং How Fast Can You Die From Diabetes। ডায়াবেটিস মানুষের সরাসরি মৃত্যুর কারণ নয়। অনিয়ন্ত্রিত বা সঠিকভাবে নিজে পরিচালিত না হলে, ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে যা শেষ পর্যন্ত মারাত্মক হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করতে সুষম খাদ্য এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ সহ স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখতে হবে।

আমাদের আজকের এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লেখাটি ভালো লাগলে ও প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব এমন আরোও তথ্য সমৃদ্ধ ব্লগ লেখার। আমাদের Facebook Page লাইক করে যুক্ত থাকুন এবং আপডেটেড কনটেন্ট পেয়ে যান।

FAQs: ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়

No schema found.

 

TAG: ডায়াবেটিস,ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা,ডায়াবেটিস এর লক্ষণ,দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়,ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল,ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে,ডায়াবেটিস কত হলে বিপদ,ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়,ডায়াবেটিস কত হলে ওষুধ খেতে হবে,ডায়াবেটিস কমানোর উপায়,কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না,ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয়,ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল,ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা,ডায়াবেটিস কেন হয়,ডায়াবেটিসের লক্ষণ,ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয়,খালি পেটে ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল,ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা,সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস,ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ২০২২,ডায়াবেটিস কি,ডায়াবেটিস এর লক্ষন,ডায়াবেটিস রেঞ্জ,খাওয়ার পর ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল,ডায়াবেটিস কমানোর উপায় কি,৭২ ঘণ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ,ডায়াবেটিস নতুন ঔষধ,ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়,ডায়াবেটিস হলে কি কি সবজি খাওয়া যাবে না,কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে,ডায়াবেটিস কত হলে ঔষধ খেতে হবে,ডায়াবেটিস মাপার মেশিনের দাম কত,গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস কত হলে ইনসুলিন নিতে হয়,দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর উপায়,খাওয়ার পর ডায়াবেটিস,ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ডা জাহাঙ্গীর কবির,ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না,ব্লাড সুগার কত হলে ডায়াবেটিস হয়,ডায়াবেটিসের ট্যাবলেট,চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস হাসপাতাল,ভরা পেটে ডায়াবেটিস কত থাকে,ডায়াবেটিস কমানোর খাবার,ডায়াবেটিস এর লক্ষণ কি কি,ডায়াবেটিসে চিড়া খাওয়া যাবে কি,ডায়াবেটিস মাপার নিয়ম,ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে না,ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়,শিশুদের ডায়াবেটিস নরমাল কত পয়েন্ট,টাইপ ২ ডায়াবেটিস কি,টাইপ ২ ডায়াবেটিস,টাইপ ১ ডায়াবেটিস কেন হয়,ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা,ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা,ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা ২০২২,ডায়াবেটিস রোগীর খাবার চার্ট pdf,ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা,ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল আর কত হলে মানুষ মারা যায়,ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায় 2023,ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যায়, এর থেকে মুক্তির উপায় কি,সুগার লেভেল কত হলে ডায়াবেটিস,দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়।

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link