এই ব্লগের মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করবো “অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম” এবং “অঙ্গীকারনামা চুক্তি পত্রের নমুনা” সম্পর্কে। এই ব্লগপোস্টে চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম ও স্টাম্প লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আশা করছি, এই আর্টিকেলটি অধ্যায়ন শেষে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম ও নমুনা বিষয়ে আপনাকে অন্য কোনো আর্টিকেল পড়তে হবে না। চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নমুনা ও প্রয়োজনীয় কাজে চুক্রিপত্র করা জরুরী হয়।
এই লেখাতে আমরা চেষ্টা করেছি সহজেই কিভাবে আপনি অঙ্গীকারনামা লিখবেন এ বিষয়গুলো পরিষ্কার করে জানাতে। প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত আপনি জানতে পারবেন সকল বিষয়ের অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায়।
অঙ্গীকারনামা চুক্তি পত্রের নমুনা বিষয়টি খুব সহজ হলেও এই অঙ্গীকারনামা খুবি কম লোকদের দরকার হয়। কথা আর না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেল টপিক অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। স্টাম্প লেখার নিয়মকোন চুক্তির লিখিত রুপ হলো অঙ্গীকারনামা। আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে চলার পথে নানান মানুষের সাথে নানান চুক্তি করতে হয়৷ অনেক সময় এসব চুক্তির লিখিত রুপ দেওয়া লাগে। যাকে বলা হয় অঙ্গীকারনামা।
অঙ্গীকারনামা কি? – What is commitment?
অঙ্গীকারনামা হচ্ছে একধরনের চুক্তিপত্র বা স্ট্যাম্প যা দুই পক্ষের মধ্যে হয়ে থাকে। ব্যাবসার ক্ষেত্রে সাধারণত দুই পার্টনারের মধ্যে হয়ে থাকে, এই ক্ষেত্রে দুই পক্ষের পজিশন সমান থাকে। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই পক্ষের পজিশন সমান থাকেনা, যেমনঃ শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে হয়ে থাকে, জাতীয় ক্ষেত্রে সরকার আর জনগনের মধ্যে হয়ে থাকে। জেনে নিন বিলিরুবিন কোথায় তৈরি হয়?
আর এটি বাংলাদেশের আইন মোতাবেক একটি লিখিত ধাঁরা। যে কোন কাজে একটি প্রমানপত্র হিসেবে কাজ করে, যাতে ভবিষ্যতে কোন ঝামেলায় পড়তে না হয়। উক্ত অঙ্গীকারনামায় দুই পক্ষের পরিচয় থাকে, তার সহিত কে কি করতে চলেছে তার বর্ণনা থাকে, স্বাক্ষর থাকে টাকা পয়সার বিষয় থাকলে তার পরিমাণ উল্লেখ থাকবে। আজকের এই আর্টিকেলে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
অঙ্গীকারনামা কখন ব্যবহার করা হয়?
অঙ্গীকারনামা মূলত বিভিন্ন ব্যবসার আগে, ব্যক্তি কেন্দ্রিক লেনদেনের ক্ষেত্রে, ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে, কোনো কাজ বা ঠিকাদারি কন্ট্রাক্ট দেওয়া বা নেওয়ার আগে সহ বিভিন্ন সময় অঙ্গিকারনামা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রিয় পাঠক অঙ্গীকারনামা তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাতে করে ভবিষ্যৎতে কোন এক পক্ষ তার কথা রক্ষা না করলে বা টাকা বা কোনো ধরনের অর্থ আত্মসাৎ করে, তখন এই অঙ্গীকারনামা বা চুক্তি পত্র থাকলে এটা নিয়ে আইন আদালতের শরণাপন্ন হলে ঐ চুক্তিপত্রের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি আপনার সমাধান পাবেন।
কিন্তু শুধু মুখের কথায় বা মুখোমুখি চুক্তি করে থাকেন, আর যদি পরবর্তীতে অঙ্গীকার নিয়ে কোনো ধরনের ঝামেলা বা জটিলতা তৈরি হয় তখন আপনি আইনি সহায়তা পর্যন্ত পাবেন না। শুধু মাত্র অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র না থাকার ফলে আপনি হারাতে পারেন আপনার জীবনের ড্রিম প্রজেক্ট বা সকল জমা কৃত টাকা। এক্ষেত্রে বাজারে বিভিন্ন মূল্যের স্ট্যাম্প পাওয়া যায়। যেমন, ১, ২, ৫, ১০, ৫০, ১০০ টাকার স্ট্যাম্প বাজারে পাওয়া যায়। তবে মনে রাখবেন অঙ্গীকারনামা লেখার জন্য অবশ্যই এই স্ট্যাম্প সরকার দ্বারা নির্ধারিত মূল্যের স্ট্যাম্প হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
অঙ্গীকারনামা লেখার পূর্ব শর্ত অঙ্গীকারনামাটি স্ট্যাম্পে লিখতে হবে। স্ট্যাম্প ছাড়া অন্য কিছুতে অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র লেখা মানে বৃষ্টির মধ্যে দাড়িয়ে ছাতা বন্ধ করে রাখার মতো। অর্থাৎ, স্ট্যাম্পে লেখা চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা বাদে অন্য কিছুতে লেখা অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র লেখা কোনো ভাবেই গ্রহণ যোগ্য না।
তবে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো চুক্তি হলে সেক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সিল বা লোগো যুক্ত প্যাড বা বিশেষ কাগজে চুক্তিপত্র লেখা যাবে। যেমন, মনে করেন, কোনো দোকানের ক্যাশ মেমোয় লেখা টাকা পয়সা আইন আদালতের কাছে গ্রহণ যোগ্য।
তবে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত সু পরিচিত ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য কোনো দোকানের সাথে এমন চুক্তি না করাই ভালো। আর সব থেকে ভালো হয় সব ধরনের অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র জুডিশিয়াল বা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লেখাই সব থেকে ভালো।
স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্রের কি কি উল্লেখ থাকবে?
অঙ্গীকারনামা স্ট্যাম্পে যেসব বিষয় উল্লেখ থাকবে সেগুলি হলোঃ-
- স্ট্যাম্পে সর্বপ্রথম অঙ্গীকারনামার তারিখ উল্লেখ করতে হবে। যেমনঃ ১১ মে ২০২২।
- অঙ্গীকারনামা গ্রহণকারী দুই পক্ষের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন, নাম, ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার, ভোটার আইডি নাম্বার, ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্রের কারণ অবশ্যই অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
- উক্ত অঙ্গীকারনামায় কোন পক্ষ কি ভুমিকা রাখবে তা উল্লেখ করতে হবে।
- অবশ্যই অঙ্গীকারনামার চুক্তির মেয়াদ কাল উল্লেখ করতে হবে। এটি অত্যন্ত অত্যন্ত অত্যন্ত দরকারি। অঙ্গীকারনামায় থাক্তেই হবে চুক্তির মেয়াদকাল।
- অঙ্গীকারনামার এই অংশে সকল শর্তাবলি উল্লেখ করতে হবে।
- অঙ্গীকারনামার নিচে উল্লেখিত জায়গায় দুই পক্ষের স্বাক্ষর রাখতে হবে তারিখ এবং নিজ নিজ সাক্ষীর স্বাক্ষর সহ।
- অঙ্গীকারনামা বা চুক্তি ভঙ্গ করলে ভঙ্গকারির বিরুদ্ধে কেমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা উল্লেখ করে দিতে হবে এই চুক্তিপত্রে।
যেসব শর্তে চুক্তি বা অঙ্গীকারনামা করলে তা আইনের দৃষ্টিতে বৈধ হবেঃ
- সর্বপ্রথম, চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে সাবালক এবং সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের হতে হবে।
- প্রত্যেক অঙ্গীকারে বা চুক্তিতে একজন অন্যজনকে প্রস্তাব প্রদান করবে।
- অন্যজন সে প্রস্তাব গ্রহনে সম্মতি দিয়ে প্রতিদান উল্লেখ করবে।
- এখানে বলে রাখা ভালো, প্রতিদান ছাড়া কোনো চুক্তি কার্যকর হবে না।
একটি আদর্শ অঙ্গীকারনামা নমুনা
Pic
আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী……………পিতাঃ……………………. মাতা…………….পেশা………….ঠিকানাঃ…………….. বয়স………..ধর্ম……….জাতীয়তা……….জাতীয় পরিচয়পত্র নং…..
এ মর্মে অঙ্গীকার পূর্বক ঘোষণা করছি যে, ( ব্যক্তি যে যে বিষয়ের উপর অঙ্গীকার করবেন সেইসব শর্তাদি উল্লেখ করতে হবে এবং সেই সব বিষয়ে নাম্বার দিয়ে উল্লেখ করতে হবে াসদল 1,2,3,4 …………।+)
কোন আইনি জটিলতায় বিষয় থাকলে সেটি উল্লেখ করতে হবে (শর্তাবলী ভিতর থাকলে প্রয়োজন ক্ষেত্রে)
আমি ঘোষণা করছি যে, আমি সম্পূর্ণ স্বজানে, সুস্থ মস্তিষ্কে এবং কারো কেন প্ররোচনা ব্যতীত এ অঙ্গিকার নামায় সাক্ষর করিলাম।
তারিখঃ (বাম পাশে)
সাক্ষর, , (ডান পাশে)
মোবাইল নম্বরঃ
ইমেইলঃ
ব্যবসায়িক অঙ্গীকারনামা
ব্যবসায়িক কাজে অঙ্গীকার নামা লিখতে হলে উভয়পক্ষের উপস্থিত থাকা আবশ্যক, এবং অবশ্যই প্রতিদানগত লেনদেনের বিষয়েই অঙ্গীকারনামা লিখা যাবে, আপনি যদি বিজনেসের জন্য অঙ্গীকার নামা লিখতে চান তাহলে এই বিষয়গুলো উল্লেখ থাকতে হবে।
যিনি লিখছেন তার পূর্ণ পরিচয়, তার নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, ঠিকানা, এই বিষয়টি শুরুতেই উল্লেখ করতে হবে। তারপরে যে কারণে অঙ্গীকার করা হচ্ছে তা উল্লেখ করতে হবে, যদি টাকা লেনদেন হয় তাহলে টাকার অংকের পরিমাণ উল্লেখ করতে হবে, বা অন্য কোন কারণ হলে তা উল্লেখ করতে হবে। সব শেষে টাকা পরিশোধ করার সময় বা কোন কাজ সম্পাদনের সময় উল্লেখ করে শেষ করতে হবে। সবশেষে, লেখকের স্বাক্ষর দিয়ে শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ
ধার শোধের অঙ্গীকারনামার নমুনা
এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি মোঃ ফয়সাল আহমেদ, পিতা: মোঃ ফারুক আহমেদ, মাতাঃ মোছাঃ রাইসা হাসান, গ্রাম/মহল্লাঃ আব্দুল্লাহপুর, পোষ্টঃ টঙ্গী, জেলাঃ ঢাকা, আমি অত্র এলাকার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। নতুন ব্যবসায় শুরু করার জন্য আপনার থেকে ১০,০০,০০০ টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেছি।
আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আগামি এক বছররের মধ্যে, ১৪ / ০৪ / ২০২৩ তারিখে এই টাকা ফেরত দিতে বাধিত থাকিব।
অঙ্গীকারকারীর স্বাক্ষর/টিপসহি
মোঃ ফয়সাল আহমেদ
গ্রাম/মহল্লাঃ আব্দুল্লাহপুর, পোষ্টঃ টঙ্গী, জেলাঃ ঢাকা
শিক্ষাগত অঙ্গীকারনামার নমুনা
শিক্ষাগত অঙ্গীকারনামা মূলত শিক্ষার্থী তার কর্তৃপক্ষ মোতাবেক লিখে থাকে। এইখানে সাধারণত শিক্ষার্থীর নাম, তার ডিপার্টমেন্ট, সেশন, পিতা, মাতার নাম, কোঁটা এসব উল্লেখ থাকে। নিচে একটি নমুনা উল্লেখ করা হলো আমি ফাহিমা আফরিন মুন, পিতাঃমোঃ ফারুক আহমেদ এবং মাতাঃমোসাঃ সাহিদা আক্তার এর কন্যা অত্র কোটাধারি ঢাকা সেনানিবাসের অধিবাসী,আপনার প্রতিষ্ঠানে (প্রতিষ্ঠানের নাম), অত্র ফ্যাকাল্টির অত্র ডিপার্টমেন্ট এ অত্র প্রোগ্রামে অধ্যয়ন করার জন্য ভর্তি হয়েছি।
আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি যতদিন এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করবো, আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়ম কানুন মেনে চলবো।
অঙ্গীকারীর স্বাক্ষর
ফাহিমা আফরিন মুন
পিতাঃ মোঃ ফারুক আহমেদ
ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকাঃ ১২০৬
কপিরাইট অঙ্গীকারনামার নমুনা
আমি…..নিম্নস্বাক্ষরকারী…..বয়স…মাতা……..পিতা…..ঠিকানা……ধর্ম……জাতীয়তা বাংলাদেশী, জাতীয় পরিচয়পত্র নং……. এ মর্মে অঙ্গীকারপূর্বক ঘোষণা করছি যে, কর্মের নাম নামক……কর্মটির..…. কপিরাইটের স্বত্বাধিকারি।
আমি আরও ঘোষণা করছি যে, উল্লিখিত কর্মটি অন্য কোন কর্মের অনুসরণে ও অনুকরণে রচিত হয়নি। উক্ত কর্মটিকে কেন্দ্র করে কোন মামলা বিজ্ঞ আদালত বা কোন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন নেই। কপিরাইট বিধি অনুযায়ী আমি এ কর্মের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে এ আবেদনের বিষয়ে অবহিত করেছি।
আমি আরও ঘোষণা করছি যে, ভবিষ্যতে উক্ত কর্মটিকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার মামলা সৃজিত হলে বা জটিলতা দেখা দিলে……বাধ্য থাকবো/থাকবে।
আইন অনুযায়ী তা মোকাবেলা ও সমাধা করতেও বাধ্য থাকবো। আমি আরো ঘোষণা করছি যে, আমার দাখিলকৃত আবেদনে বর্ণিত সকল তথ্য সঠিক আছে, যদি ভবিষ্যতে কোন অসত্য উদ্ঘাটিত হয়, তবে কপিরাইট আইন ২০০০ এর ৮৭ এবং ৮৮ ধারায় উল্লিখিত আইনে নির্ধারিত শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।
আমি আরও ঘোষণা করছি যে, আমার দাখিলকৃত….. নামক কর্মটি সম্পর্কে যে কোন পর্যায়ে শুনানির প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট আদালতে আমি ব্যক্তিগতভাবে/নিয়োজিত প্রতিনিধির মাধ্যমে/বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে শুনানিতে অংশ নিতে বাধ্য থাকব।
আমি আরও ঘোষণা করছি যে, আমি সম্পূর্ন স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে এবং কারো কোন প্ররোচনা ব্যতীত এ অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর প্রদান করলাম।
তারিখঃ
অঙ্গীকারকারীর স্বাক্ষর
নাম……
ঠিকানা..
মোবাইল নং……
ই-মেইল……
চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম pdf
বর্তমানে লোকেরা চাকরির জন্য চাকরির অঙ্গীকারনামা নমুনা খুজে থাকেন। আপনারা জারা চাকরির জন্য অঙ্গীকারনামা লিখবেন তারা অবশ্যই কোম্পানির কাছ থেকে কোম্পানি পলিছি সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিবেন। কারণ চাকরি আপনি করবেন আপনাকে চাকরির অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে চাকরির অঙ্গীকারনামা অবশ্যই আপনাকে কোম্পানির পলিশি অনুসারে সম্মতি দিয়ে চাকরি নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার ছুটির বিষয়, আপনি চাকরি রিজাইন দিবেন কিভাবে এ বিষয়গুলো জেনে তবেই অঙ্গীকারনামা লিখুন।
বিয়ের অঙ্গীকারনামা
বিয়ে পড়াতে ও অঙ্গীকারনামা লিখা হয়, মুলত কাজী বিয়ে পড়ানোর সময় যা পাত্র পাত্রীর সামনে পাঠ করে সেটি মুলত বিয়ের অঙ্গীকারনামা। এই অঙ্গীকারনামায় পাত্রপাত্রীর নাম, পিতামাতার নাম, দেনমোহরের কথা উল্লেখ করে লিখা হয়, এটি মুলত কাজী অফিসে বানানো হয়, আগে তো হাতে লিখা কাবীননামা থাকতো, এখন প্রিন্টেড অঙ্গীকার নামা ইউজ করা হয়।
অঙ্গীকারনামা মুলত আপনি চাইলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে থেকে স্যাম্পল দেখে অঙ্গীকারনামা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে অঙ্গীকারনামা লিখতে চান তাহলে আপনি অত্র প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে অঙ্গীকারনামা ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
সাধারণত সরকারি কাজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অঙ্গীকার করতে হলে সেই পেপার গুলো ইন্টারনেটে খুব সহজে পাওয়া যায়, আপনাকে এপ্লাই করতে হলে নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত অঙ্গীকারনামা নামিয়ে পূরণ করতে হবে।
আর বিজনেসের লেনদেনের জন্য যে অঙ্গীকারনামা লিখা হয় তা মুলত নিজেরাই লিখে প্রিন্ট আউট করে নেয়, কারণ বিজনেসে একেক লেনদেনের এক এক রকম শর্ত এবং এক এক রকম টাকার পরিমাণ থাকে, তাই নিজেদের টা নিজেরাই তৈরি করে নিলেই ভালো। আপনি ইন্টারনেটে একটু একটু রিসার্চ করলেই দেখতে পাবেন যে বিজনেস রিলেটেড বিভিন্ন অঙ্গীকারনামা দেখা যায়, আপনি সেখানকার ফরম্যাট দেখলেই বুঝতে পারবেন। আজকের এই লিখায় যে ফরম্যাটের কথা বলা হয়েছে সেটি সবচেয়ে স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট এবং লিখতে ও সহজ।
ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
সবার ক্ষেত্রে ভোটার হওয়ার বেলায় অঙ্গীকারনামা লাগে নাহ। মূলত যারা বেশি বয়সে ভোটার হয় তারা আগে ভোটার হয়নি এমনব একটি অঙ্গীকার সরকারের নিকত করতে হয়। এছাড়াও যারা দেশের বাহির থেকে দেশে এসে ভোটার হতে চায় বা সহর থেকে এসে গ্রমে ভোটার হতে চায় তাদের মধ্যে যাদের বয়স বেশিন তারা এর আগে ভোটার হয়েছে কি না তার একটি অঙ্গীকার এদের দিতে হয়।
নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা নিচের নিয়মে লেখা যেতে পারে
নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা মূলত খুব বড় করে লেখার কিছু নেই। এখানে শুধু মেইন বিসয়গুলো উল্লেখ করলেই হবে। চলুন একটি নমুনা নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখা দেখে নেওয়া যাক। আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে নমুনা অঙ্গীকারনামায় একজন ব্যক্তির নাম ঠিকানা উদারণ স্বরূপ উল্লেখ করতে হবে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা নমুনা কপি-
নমুনা ভোটার অঙ্গীকারনামা
এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, আমি শেখ এজাজ, পিতাঃ শেখ আব্দুল জলিল, মাতাঃ নাসরিণ সুলতানা, গ্রামঃ উত্তর কচুবুনিয়া, পোষ্টঃ কচুবুনিয়া, উপজেলাঃ মোরেলগঞ্জ, জেলাঃ বাগেরহাট একজন স্থায়ী বাসিন্দা। কর্ম সুত্রে আমি দীর্ঘদিন বাড়ির বাহিরে থাকার কারণে সময়মত ভোটার হতে পারিনি। তাই নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আপনা দপ্তরে আবেদন করছি। আমি অঙ্গীকার করে বলছি আমি এর আগে দেশের কোথাও ভোটার হইনি। এবং যেহেতু আকদাহিকবার ভোটার হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ তাই আমি একাধিকবার ভোটার হলে আংলাদেশ নিরবাচপ্ন কমিশন যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে আমি তা মেনে নিতে বাধ্য থাকব।
এমতাবস্থায় আমাকে একজন নতুন ভোটার করার জন্যে আপনার কাছে সবিনয়ে অনুরোধ করছি।
অঙ্গীকারকারীর স্বাক্ষর, আঙ্গুলের ছাপ সহ
নামঃ শেখ এজাজ
পিতাঃ শেখ আব্দুল জলিল
গ্রাম, পোস্টঃ কচুবুনিয়া
উপজেলাঃ মোরেলগঞ্জ
জেলাঃ বাগেরহাট
সরকারি কাজে বিভিন্ন অফিসে গিয়ে হয়রানি হতে হয়। কিন্তু, সেখানের দরকারি সব কাগজ যদি আপনি একবারেই নিয়ে যেতে পারেন তাহলে আপনাকে দ্বিতীয় বার আর হয়ত যেতে হবে না। তাই নতুন ভোটার হওয়ার সময় সব ধরনের কাগজের সাথে আপনি নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা নিয়ে যেতে পারেন। এতে করে আপনারই দুর্ভোগ কমবে।
এটি মূলত ফরমাল একটি কাগজ ও বলতে পারেন। সবজায়গায় শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো এখানেও গাফেলতি করলে আপনাকে দিনের পর দিন ঘুরতে হবে যেখানে কি না আপনি একটি অঙ্গীকারনামা লিখলেই আপনার কাজ হয়ে যাচ্ছে।
- অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
- অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম pdf
- মাস্টার্স অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
- কলেজের অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
- ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
- চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
- জমির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে চেষ্টা করেছি আপনাদের অঙ্গীকারনামা নিয়ে খুটিনাটি সব জানানোর।
আরও পড়ুনঃ
- ২০২৩ ফ্রী ফায়ার স্টাইলিশ নাম ইংরেজি | Free Fire name style bd 2023
- Mini Charger Fan Price In Bangladesh | চার্জার ফ্যান এর দাম ২০২৩
- Walton XANON X20 প্রিমিয়াম সব ফিচার্স | Walton XANON X20 Price In Bangladesh
FAQs: অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম ও নমুনা
শেষ কথাঃ
আজকের ব্লগপোষ্টটি সাজানো হয়েছে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম ও নমুনা সম্পর্কে বলার বা ধারনা দেবারজন্য। এছাড়া কত ধরনের ও কত রকমের ক্ষেত্রে অঙ্গীকারনামা ব্যবহার করা হয় এবং এর আসল গুরুত্ব সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানা গেল। প্রতিশ্রুতি অনেক ক্ষেত্রে দরকারী। আমরা জীবনের বিভিন্ন কাজে চুক্তি করি, অঙ্গীকার সেই চুক্তির লিখিত প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এই নিবন্ধটি প্রধানত অফিসিয়াল কাজের জন্য হলফনামা লেখার বিন্যাস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তবে বেসরকারী কাজের জন্য হাতে লেখা হলফনামা লেখার জন্য কোন নির্ধারিত বিন্যাস নেই।
আমাদের আজকের এই লেখাটি ভালো লাগলে আমাদের একটি রেটিং দিয়ে যাবেন এবং শেয়ার করবেন। আপনি যা জানতে চান তা আমাদের কমেন্টে জানাতে পারেন।