চ্যাট জিপিটির নতুন CEO এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ”মীরা মূর্তি” – জানুন তার সম্মন্ধে

চ্যাট জিপিটির নতুন CEO এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ''মীরা মূর্তি''

চ্যাটবট Chat GPT কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা চালিত। বাজার যখন উত্তপ্ত, তখন এর নির্মাতা স্যাম অল্টম্যানকে কোম্পানি ওপেন এআই দ্বারা বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এর অন্তর্বর্তীকালীন CEO হিসেবে যোগ করা হয়েছে মীরা মূর্তি নামে একজন কর্মকর্তাকে। এর আগে তিনি ওপেন এআই সংস্থার প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ছিলেন।

চ্যাট জিপিটি আবিষ্কারের পরবর্তী সময়ে স্যাম অল্টম্যান নিয়ে হৈচৈ শুরু হয়। ফলে হঠাৎ করে তাকে বরখাস্ত করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এছাড়া মীরা মূর্তিকে নিয়েও জানার আগ্রহ জন্মেছিল সবার।

মীরা মূর্তি এর সঙ্গক্ষিপ্ত পরিচয়

মীরা ১৯৮৮ সালে আলবেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলে জানা যায়। তিনি ইংরেজির পাশাপাশি ইতালিয়ান এবং আলবেনিয়ান ভাষায় কথা বলতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  সাবধান! হোয়াটসঅ্যাপে যে সব মেসেজে ভুলেও ক্লিক করবেন না - জেনে নিন বিস্তারিত

১৬ বছর বয়সে, তিনি আলবেনিয়া ছেড়ে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের পিয়ারসন কলেজে পড়াশোনা করতে যান। এর পরে, তিনি আমেরিকার আইভি লীগের গবেষণা কেন্দ্র ডারমাউথ কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে অধ্যয়ন করেন।

পড়ুনঃ Samsung মার্কেটে Announce করে Galaxy AI নিয়ে এসেছে.

কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন মীরা মূর্তি?

তিনি মহাকাশ, অটোমোটিভ, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা ভিআর, অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা এআর এগুলিতে কাজ করেছেন। শুধু এগুলিই নয়, ইলন মাস্ক টেসলার ইলেকট্রিক গাড়ি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যান হিসেবেও কাজ করেছেন অনেক বছর।

এর আগে লিপ মোশন নামে একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কোম্পানিতে কাজ করছিলেন মীরা। সেখানে তার প্রধান কাজ ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বাস্তব-জীবনের প্রয়োগ যোগ করা। তিনি এই AI অ্যাপ্লিকেশনগুলি বাস্তব জগতে কীভাবে কাজ করে তা পরীক্ষা করতেন।

আরও পড়ুনঃ  স্বল্প মূল্যে ৮জিবি RAM ও 52 MP ক্যামেরা নিয়ে বাজারে এলো Walton NEXG N70

২০১৮ সালে OpenAI সংস্থায় যোগদান করেন মীরা। সেই সময়ে তিনি সুপারকম্পিউটিং কৌশল নিয়ে কাজ করার জন্য দায়িত্বে ছিলেন।

একই সঙ্গে তিনি গবেষণা দল ম্যানেজের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। তিনি সংগঠনের নেতৃত্ব দলের সদস্যও ছিলেন। তাকে ২০২২ সালে আবিষ্কৃত চ্যাট জিপিটি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

যাইহোক, যে ব্যক্তি চ্যাট জিপিটি আবিষ্কার করে তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য বরখাস্ত করা হয়। তা মেনে নিতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতিসহ অনেকেই।

Written By Bikrom Das.

সূত্রঃ আনন্দ বাজার

আরও পড়ুনঃ

আরও পড়ুনঃ  Ongoing Cold Weather: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস পিছিয়ে ১০টায়

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link