ইন্টারনেটে হাইপার লিংকের (Hyper Link) রঙ নীল কেনো এই রহস্যের সমাধান করেছেন UX Designer Alice Blanchard। ইন্টারনেটের বিভিন্ন তথ্য ঘেটে নানা বিষয়ে তথ্য উপাত্ত জমা করে তার ব্লগে তিনি ২০২১ এবং ২২ সালে Mozila Blog এ তিনি ২টি প্রবন্ধ প্রকাশ করে। যা খুবই জনপ্রিয়তা পায়।
আমরা ইন্টারনেটে ঘুরাঘুরির সময় বিভিন্ন ব্লগে, নিউজে বিভিন্ন লিংক দেখতে পাই। আপনি যদি একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন এই লিংক গুলির রঙ নীল। যাকে হাইপার লিংক বলা হয়ে থাকে। এই “আর্টিকেলেও” আমি হাইপার লিংক ব্যাবহার করেছি আপনি চাইলে সেগুলিতেউ ঘুরে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ জলের দামে ইন্টারনেট সেবা দিবে ইলন মাস্ক – StarLink Internet।
হাইপার লিংক (Hyper Link) নীল কেনো এবং এর ইতিহাস কি?
Hyper Link এর রং ঠিক কী হতে পারে তা নিয়ে ১৯৮৫ সালেই চিন্তা ভাবনা শুরু হয়।
তখনকার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড এর অধ্যাপক Ben Schneiderman যিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন, তার অধীনে এক গ্রুপ শিক্ষার্থী একটি সুন্দর গবেষনা চালায়।
![Hyper Link: যে কারণে নীল ইন্টারনেটের হাইপার লিংকের রঙ - অজানা কে জেনে নিন! 2 অধ্যাপক Ben Schneiderman](https://sohobanglait.com/wp-content/uploads/2023/11/অধ্যাপক-Ben-Schneiderman-1024x567.webp)
ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীকে কোন রঙের হাইপার লিংক কিভাবে প্রভাবিত করে সেটিই ছিলো তখনকার মূল গবেষণা।
Schneiderman জানান, ‘লাল রঙ লিংকটিকে খুবই দৃশ্যমান করে তোলে ঠিকাছে, কিন্তু এই রঙ ব্যাবহারকারীর টেক্সটের প্রসঙ্গ পড়ার এবং মনোযোগকে ধরে রাখার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তবে নীল রঙের বেলায় এই সমস্যাটি নেই। সাদা ব্যালগ্রাউন্ডে এই রঙ খুবই উজ্জ্বল ভাবে দেখা যায়। আবার কালো রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডেও এই রঙ ভালোই দেখা যায়। এই রঙ পাঠকদের মনোযোগও কেড়ে নেয়না’।
আরও পড়ুনঃ সাবধান! হোয়াটসঅ্যাপে যে সব মেসেজে ভুলেও ক্লিক করবেন না।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে ইন্টারনেটের ইউজার ইন্টারফেস ছিলো আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ের গুরুত্বপূর্ণ এক বিতর্কের বিষয়।
কোন ধরনের ডিজাইন ইউজার ইন্টারফেস সমৃদ্ধ সেটি ছিলো সে সময়ের মূল বিষয়বস্তু এবং ওয়েবসাইট নির্মাতারা এগুলি সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমানে আগ্রহী ছিলো।
আর এইসব লক্ষ্য রেখে হাইপার লিংকেত রঙ ও হাইপার টেক্সটের ধরন দেখতে কেমন হবে সেটিই Schneiderman ও তার শিক্ষার্থীদের গবেষনা এবং পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সাময়িকী ও সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।
আর শেষমেষ নীল রঙের হাইপারলিংক ই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায়।
১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সফ্টওয়্যার যেমন টিম বার্নার্স-লির World Wide Web Browser এবং Marc Andreessen এবং Eric Binner’s Mosaic Browser এ নীল হাইপারলিঙ্কের ব্যবহার দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ চ্যাট জিপিটির নতুন CEO এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ”মীরা মূর্তি” – জানুন তার সম্মন্ধে।
মাইক্রোসফট মোজাইক ব্রাউজার থেকে কোড ব্যবহার করে তাদের ওয়েব ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার তৈরি করেছিলো।
তখনকার সময়ে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার নীল হাইপারলিঙ্ক ব্যবহার করা হয়েছিল। একসময় বহুল ব্যবহৃত এই ব্রাউজারটি মূলত হাইপারলিঙ্কের রং নিয়ে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছে। সেই সময় থেকে এই রঙ স্থায়ী হয়ে যায়।
এখনকার সময়ে ইন্টারনেট প্রচুর বিস্তৃত। যার দরুন বিভিন্ন ওয়েবসাইট তাদের ব্রান্ডের সাথে তাল মিলিয়ে হাইপারলিংকের রঙ নির্বাচন করে।
যারফলে বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লাল,বেগুনী,কালো,হলুদ,কমলা ইত্যাদি রঙ হাইপারলিংকে ব্যাবহার করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুনঃ পিসি স্লো করে দিচ্ছে গুগল ক্রোম? গতি বাড়ানোর উপায় শিখুন।
তারপরেউ বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলিতে এখনো নীল হাইপারলিংক ব্যাবহার করতে দেখা যা। যা সত্যিই দারুন লাগে।