সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আপনারা অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করে কিভাবে সে সম্পর্কে জানার জন্য গুগলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্চ করে থাকেন। আসলে পাঠকবৃন্দ এমন অনেক মানুষ আমাদের সমাজে রয়েছে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিকভাবে সহযোগিতা এর জন্য আবেদন করতে চাচ্ছ।
তবে আপনারা কিভাবে আবেদন করবেন অথবা আবেদনপত্রের মধ্যে কি লিখতে হবে সে সম্পর্কে আপনাদের বিশেষ কোনো ধারণা নেই। তাছাড়া আমরা জানি যে, যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্য চাইতে হয় সে ক্ষেত্রে দরখাস্তের পাশাপাশি কিছু কাগজপত্র পাঠানোর প্রয়োজন পড়ে থাকে। জেনে নিনঃ পদ্মা সেতুর টোল লিস্ট এর বিস্তারিত| পদ্মা সেতু টোল কত।
মূলত আজকের এই ব্লগ আর্টিকেলে আমরা আপনাদের বলব যে, কিভাবে আপনারা দরখাস্ত কিংবা আবেদন পত্র লিখবেন এবং কি কি কাগজপত্র জমা দিবেন।
আর্থিক সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করার নিয়ম
পাঠকগন, আপনাদের মধ্যে সরকারি কর্মচারীরা সাধারন জনগন আর্থিক সাহায্য সহযোগিতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর আবেদনপত্র লিখতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা পত্রগুলি আপনাকে অরজিনাল কপি জমা দিতে হবে। আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতুর খরচ কত টাকা | পদ্মা সেতুর খরচ কত ডলার।
একজন প্রজাতন্ত্রের নাগরিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল হতে চিকিতসা জনিত কারণে সাহায্যের জন্য আবেদন কিভাবে করতে পারেন তা উল্লেখ করা হলো নিম্নেঃ
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করে কিভাবে নিম্নে দিলাম:
মাননীয়,
প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
তেজগাঁও, ঢাকা।
বিষয়: নিম্ন বেতনভুক্ত সরকারী কর্মচারী হিসাবে আমার স্ত্রী রাহেলা বেগম Non Specific abdominal pain CDMC HTNC Diabetic Foot (ক্যান্সার) রোগের চিকিৎসা জনিত কারণে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন।
মহোদয়,
যথাবিহীত সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আপনার অধীনস্থ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বেতার, কবিরপুর, সাভার, ঢাকায় নিরাপত্তা প্রহরী” কর্মচারী হিসাবে কর্মরত আছি।
আমার স্ত্রী সাহেলা বেগম দীর্ঘদিন যাবৎ Non Specific abdominal pain CDMC HTNC Diabetic Foot (ক্যান্সার) রোগে অসুস্থ থাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করেছি।
দীর্ঘ ৪মাস যাবৎ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা করেও স্ত্রীকে সুস্থ করতে পারি নাই। চিকিৎসার বিভিন্ন প্যাথলজি পরীক্ষা ওঔষধ ক্রয় বাবদ আমার মোট খরচ হয় টাকা= ১,৫১,৮১৫.২৫ (এক লক্ষ একান্ন হাজার আটশত পনের টাকা পঁচিশ পয়সা) টাকা মাত্র (বিল ভাউচার সংযুক্ত)।
আমি একজন নিম্ন বেতনভুক্ত সরকারি কর্মচারী হওয়ায় উক্ত টাকা ঋণ কর্জ করে স্ত্রীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করিতে হয়েছে। বর্তমানে আমি উক্ত ঋণের কারণে চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করছি।
আমার স্ত্রী এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়নি। তার চিকিৎসার জন্য আরও আনুমানিক ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা মাত্র প্রয়োজন হবে। এই খরচ বহন করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
আমি বর্তমানে জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ এর টাকা ৯০০০-২১৮০০(গ্রেড-১৭) ভূক্ত নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকুরীতে নিয়োজিত আছি। এমতাবস্থায় উপরোল্লেখিত চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের নিমিত্তে আর্থিক সাহায্যের জন্য আপনার সমীপে আবেদন করছি।
ইতিপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে আমি কোন আর্থিক সাহায্য/অনুদান গ্রহণ করিনি।
অতএব, মহোদয়ের নিকট বিনীত প্রার্থনা এই, উপরোক্ত বর্ণনামতে সংযুক্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজাদির আলোকে একান্ত মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে আমার স্ত্রীর চিকিৎসার সাহায্য প্রদানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কৃপাদৃষ্টি কামনা করছি এবং তৎজ্জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
আপনার একান্ত অনুগত,
তারিখ: ১২/১২/২০১৬ খ্রি:
(আপনার নাম)
নিরাপত্তা প্রহরী
বাংলাদেশ বেতার
ঢাকা।
আর্থিক সাহায্যের আবেদন এর সাথে যে সকল কাগজপত্র আবেদনপত্রের সাথে দিবেন:
- বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত ছাড়পত্র ডাক্তার কর্তৃক মূলকপি ০৫ টি
- চিকিৎসা খরচের তালিকা-০১ কপি।
- চিকিৎসা সংক্রান্ত ভাউচার সমূহের মূলকপি ০১-১৯২ পর্যন্ত মোট ০৫ পৃষ্ঠা।
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি-০১ কপি।
- আবেদনকারীর ছবি (সত্যায়িত) -০১ কপি।
- আবেদনকারীর স্ত্রীর ছবি (সত্যায়িত) -০১ কপি।
- আবেদনকারীর স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি-০১ কপি।
তারপর যদি আপনাদের কাছে কোন কাগজপত্র চাওয়া হয় এর বাইরে সেগুলো অবশ্যই আপনাকে প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ-
- ভাষার মূল উপাদান ও উপকরণ সম্মন্ধে সাধারন ধারনা | ভাষার মূল উপকরণ কি
- বিজয় দিবসের গুরুত্ব ২০২৩ | বিজয় দিবস কি ও কেন
- কিভাবে এবং কেন পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩৩ হলো?
- নিঝুম দ্বীপ কোথায় অবস্থিত কোন নদীর মোহনায় | নিঝুম দ্বীপ
- বিলিরুবিন কোথায় তৈরি হয়? | What Is Bilirubin In Bengali?
শেষ কথা,
প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকের এই ব্লগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তার জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে তার নমুনা দেওয়া হয়েছে।
আমি আশা করি আজকের ব্লগ আর্টিক্যাল থেকে আপনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য একটি আবেদন লিখতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনেছেন এবং শিখেছেন। এই আর্টিক্যাল সম্মন্ধে আপনার যদি কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তবে আপনি মন্তব্যের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনের নিয়ম খুবই সহজ হলেও সঠিকভাবে নির্দেশনা না পাওয়ায় অনেকেই লিখতে পারেন না। এই পোস্টের মাধ্যমে, আমরা আপনাকে বিস্তারিত দিয়েছি। আমরা আশা করি আপনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এমন সব দ্দরকারি আর্টিক্যালগুলি সবার আগে আপডেট পেতে যুক্ত হোন আমাদের Social Media একাউন্টে।
FAQs: প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করে কিভাবে?
আপনি যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদনপত্র লিখতে চান, তাহলে আপনার সমস্যাটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। এর সাথে, সমস্ত নথিপত্র অবশ্যই মূল জমা দিতে হবে।