https://www.youtube.com/watch?v=sjrzme06Njw
স্বাগতম আপনাদের পুষ্পা মুভি বাংলা ভাষায়। এখানে আমরা এর রিভিউ দিয়েছি। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। পুষ্পা এখনো না দেখা মানুষের সংখ্যা আমার মতে খুবই কম। তবুও কেউ এখনো না দেখে থাকলে অনুরোধ করবো পোস্টটি না পড়ার জন্য। কারণ এখানে মুভি নিয়ে আলোচনা করবো।
পুষ্পা মুভি বাংলা ভাষায়
পুষ্পারাজ অ্যাজ আ ক্যারেক্টার খুবই হাইপ পেয়েছে। মানুষের মুখেমুখে এই চরিত্রের নাম। মানুষের ঘাড়েঘাড়ে তার চলন বলন, এবং মানুষের হাতেহাতে তার বিশেষ ভঙ্গিমা। চরিত্র হিসেবে আমারেন্দ্রা বাহুবালী ধারেকাছেও নেই পুষ্পার। কিন্তু ফিল্ম হিসেবে যদি তুলনা হয়, তাহলে আবার এর উল্টোটা হবে।
পুষ্পা মুভি বিশেষ দিক
পুষ্পা মোটেও টেকনোলজিক্যালি হেভি ছিলো না। খুব আহামরি স্টারপাওয়ার-ও ছিলো না। যে জিনিসটা পুষ্পাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করে, সেটা হলো আল্লু আর্জুনের স্ক্রীন প্রেজেন্স। পুষ্পা হিসেবে যে চরিত্রটি তিনি তৈরি করেছেন এবং তার কিছু ক্যারেক্টার অ্যাট্রিবিউটস যোগ করেছেন, সেটা ফিল্ম না দেখে মানুষের কাছে শুনে হাস্যকর মনে হবে, কিন্তু ফিল্ম দেখলে যথেষ্ঠ যৌক্তিক মনে হতে বাধ্য।
পুষ্পা মুভির মূল কথা
“ম্যায় ঝুকেগা নেহি সালা” মূলত এটাই পুষ্পার সারকথা। সে সবসময় মাথা উঁচু রাখতে চায়। যা-ই হোক না কেনো, যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই যেতে হোক না কেনো, পুষ্পার ঘাড় কখনো হেঁট হবে না, মাথা কখনো নিচু হবে না। সমাজে বড় হতে হলে (ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেভাবেই হোক না কেনো) একটা প্রচলিত ধ্যানধারনা আছে, যে নিজেকে ছোটো না করে, বিত্তবানদের তৈলমর্দন না করে তা সম্ভব না। আমরা ছোটোবেলায় বাগধারা বা ভাবসম্প্রসারণেও পড়েছি, “বড় যদি হতে চাও, ছোটো হও আগে।” পুষ্পা ফিল্মটি খুব জোরগলায় বলে, যে এই ধারনা ভুল। নিজেকে ছোটো না করেও বড় হওয়া সম্ভব, যদি মাথায় যথেষ্ঠ মগজ, আর বুকে যথেষ্ঠ সাহস থাকে।
অন্যান্য রিভিউঃ
- থেরি মুভি বাংলা ডাবিং Full Movie | থেরি মুভি বাংলা ডাবিং ফুল মুভি
- Kgf chapter 2 full movie download vegamovies
- হাওয়া মুভি রিভিউ | Movie Review
- ibomma new movies watch | ibomma website কি | ibomma website এর বিষয়বস্তু
পুষ্পা মুভির নেতিবাচক দিকগুলো
পুষ্পার প্রতিটি সিদ্ধান্ত ফিল্ম দেখে আপনার কাছে যৌক্তিক মনে হবে। পুষ্পার যায়গায় নিজেকে রেখে প্রতিবারই তার সিদ্ধান্তের সাথেই আপনি একমত হবেন। এবং ফিল্মটি শেষ করে নিজেকে আপনার পুষ্পারাজ মনে হবে। কিন্তু গোড়ায় গলদ। অনেকটা ভাইস সিটির মতো হয়ে গেলো ব্যাপারটা। পুষ্পার গোটা “রাইজ” বা উত্থানই অপরাধজগত কেন্দ্রিক। যার চরিত্রটি অনুকরণ করার উপযোগী রকমের পছন্দ হয়েছে মানুষের, সে পেশাগতভাবে সমাজ ও পরিবেশ ধ্বংসের জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। পুষ্পার চরিত্রটিকে ভালোবেসে ফেলার পর কি তাহলে এই মুভির ভক্তরা তার দেখানো প্রক্রিয়াতেই প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে চাইবে?
পুষ্পার আরেকটি বড় সমস্যা হলো, অনেকগুলো সূতা খোলা হয়েছে, কিন্তু তার একটিকেও সেলাই করে জোড়া দেওয়া হয়নি। রাইভালরি বা শত্রুতা তৈরি হয়েছে ঢালাওভাবে, কিন্তু তার একটিও পূর্ণরূপ পায়নি। প্রতিবারেই মনে হয়েছে যেই লোকটির সাথে পুষ্পা এই মূহুর্তে লাগতে গিয়েছে, সে ভীষণ কিছু একটা করবে কিছুক্ষণের মধ্যেই, কিন্তু তারপরেই পুষ্পা সেই লোককে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে অন্য কারো সাথে শত্রুতা শুরু করে দিয়েছে। পুষ্পার শেষ না হওয়া শত্রুতাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
আল্লু অর্জুনের নতুন মুভি পুষ্পা
১। জলি রেড্ডিঃ কোন্ডা রেড্ডির ছোটোভাই। যে কিনা তাকে পঙ্গু বানিয়ে দেওয়ার পর-ও তার বড় ভাইকে পুষ্পার ব্যাপারে বলেনি। তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য এখন পুষ্পাকে মাত দেওয়া। কিন্তু পুষ্পার সাথে হাতাহাতি হওয়ার পর ফিল্ম তাকে ভুলে গেছে।
২। মাঙ্গালাম স্রিনুঃ স্রিনু-র শালার হত্যার প্রতিশোধ সে এখনো নিতে পারেনি। প্রথমদিকে যে প্রতিপত্তি তার দেখানো হয়েছে, সে অনুযায়ী শেষের দিকে পুষ্পার দিকে কট্মট করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই সে করতে পারেনি।
৩। দাকশায়ানিঃ স্রিনুর স্ত্রী। ভাই মারা যাওয়ার পর সে “ফ্ল্যাশপয়েন্ট প্যারাডক্স”-এর ভং ধরে মার্থা ওয়েইনে রূপান্তর করেছে। নিজের স্বামীকে গলা কেটে খুন করার চেষ্টাও করেছে। কিন্তু স্রিনুকে মরতে দেখা যায়নি। কিন্তু দাকশায়ানির ভৌতিক টার্নের পর এখন তাকেও আলাদা থ্রেট হিসেবে ধরতে হবে।
৪। আজায়ঃ পুষ্পার ভাই, যে কিনা পুষ্পাকে নিজের রক্ত বলে পরিচয় দিতে চায় না, কিন্তু নিজের পয়সা খরচ করে পুষ্পার ভোটার আইডি কার্ড প্রিন্ট করেকরে তার বিয়ে ভাঙ্গার জন্য ঘুরে বেড়ায়। এই ভাইয়ের সাথে পুষ্পার বোঝাপড়া এখনো বাকি আছে।
৫। ডিসিপি গোভিন্দাপ্পাঃ ফিল্মের প্রথমদিকে ডিসিপি-র সাথে পুষ্পার সেই একটা রাইভালরি ছিলো, কিন্তু মাঝামাঝি পর্যায়ে ডিসিপি পুষ্পার মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে দোয়া করে সেই যে বিদায় নিলো, এরপর থেকে তাকে আর ফিল্মের দেখা যায়নি। সে কিন্তু শেষবার হার মেনেছিলো পুষ্পার কাছে, কিন্তু তাকে ফিল্মে যেরকম একরোখা দেখা গিয়েছে, তাতে তার সাথে মনে হচ্ছে না পুষ্পার বোঝাপড়া শেষ হয়েছে।
৬। ভাওয়ার সিং শিখাওয়াতঃ এবং শেষদিকে হঠাত আবির্ভূত হওয়া লকড়বজ্ঞা চিকনা পুলিশ ইন্সপেক্টর। শেষদিকে তাকে উলঙ্গ হয়ে জোকার-এর হাসি দিতে দেখা গেছে। কাজেই সে-ও প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর।
আশা করা যাচ্ছে পুষ্পার সেকেন্ড পার্টে এই সিনিস্টার সিক্স একত্রে আসবে পুষ্পার ওপরে প্রতিশোধ নিতে।
আইএমডিবি রেটিংঃ ৭.৯/১০
পার্সোনাল রেটিংঃ ৬.৫/১০
পার্সোনাল রেটিংঃ ৬.৫/১০