Women Safety: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI বলতে নতুন কিছু নয়। বর্তমানে সবকিছুতে AI এর স্পর্শ। আপনি AI দিয়ে আপনার ইচ্ছা মত ছবি এবং ভিডিও বানাতে পারবেন। এছাড়া, আপনি চাইলে গল্প লিখতে পারেন, AI দিয়ে আপনার CV এডিট করতে পারেন ইতাদি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন।
কিন্তু বিশ্ব AI এর ভিন্ন রূপও দেখেছে। এআই-জেনারেটেড ছবি এবং ভিডিও দিয়ে অন্যদের ছবি বা ভিডিও কিভাবে নোংরা বানানো হচ্ছে সেটিও দেখছে। সম্প্রতি দক্ষিণী অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানার এবং বলিউড অভিনেত্রী আলিয়ার ভুয়া ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা ডিপফেক দিয়ে তৈরি।
Women Safety from Deepfake
শুধু সেলিব্রেটিই নয়, সাধারণ মানুষেরও এই ভয়ানক সমস্যায় রয়েছে। অনলাইনে এই ফাঁদ থেকে কীভাবে নিরাপদ থাকবেন তা জানুন নিচের পয়েন্টগুলি থেকে জানুনঃ-
১) অনলাইনে ছবি শেয়ারে সতর্ক থাকুন
অনলাইনে ভিডিও এবং ছবি শেয়ার করার সময় সতর্ক থাকুন। অপ্রয়োজনীয় ভিডিও বা ছবি শেয়ার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এবং যদি আপনি তা করেন, তবে আপনার গোপনীয়তা সেটিংস চেক করতে ভুলবেন না। একবার হলেউ চেক করে দেখে নিন।
২) পাসওয়ার্ড নিয়মিত চেঞ্জ করুন
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পাসওয়ার্ড অবশ্যই শক্তিশালী হতে হবে। আপনি ভিডিও এবং ফটো লক করতে পারেন। এতে করে কেউ আপনার আপলোড করা ফটো এবং ভিডিওগুলি ব্যবহার করতে সক্ষম হবে না। মাঝে মাঝে আপনার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
৩) Antivirus ব্যাবহার করুন
আপনার ডিভাইসে জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন। এতে করে ম্যালওয়্যার আপনার মোবাইল বা ল্যাপটপে সহজে প্রবেশ করতে পারে না। হ্যাকাররা সাধারণত ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করতে ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে। আর এখানেই অ্যান্টিভাইরাস আপনাকে রক্ষা করবে।
৪) ছবি ও ভিডিও শেয়ার করার সময় সতর্কীকরন
সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ফটো এবং ভিডিও ব্যবহার করার সময় আঙুলের ছাপ এবং ওয়াটারমার্কগুলি আপনাকে সুরক্ষিত রাখার মূল চাবিকাঠি। আপনার ছবি বা ভিডিও অন্যদের দ্বারা ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করা হয়।যাইহোক, ডিপফেক এড়াতে এই বিকল্পটি দুর্দান্ত কাজ করবে। আর কোথা থেকে ভিডিও বা ছবি চুরি হয়েছে, সেই সূত্র সহজেই জানা যাবে।
৫) Deepfake সম্মন্ধে জানুন
ডিপফেক সম্পর্কে আরও জানুন। অন্যদের জানান এবং তাদের থেকেও শেখার চেষ্টা করুন। বিষয়টি সম্পর্কে সব তথ্য থাকলে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুবিধা হবে।
উপসংহার
প্রযুক্তি মানুষের জীবনে যেমন কল্যান বয়ে আনে। ঠিক তেমনি অভিশাপও বয়ে আনে। আমরা মানুষেরাই মানুষের ধ্বংসের কারন হতে চলেছি। অতীতে মানুষ যুদ্ধ বিগ্রহ করে পৃথিবী এবং প্রকৃতির ক্ষতি করেছে। আর বর্তমানে বিনাযুদ্ধে প্রযুক্তির সাহায্যে এক্সট্রা মর্ডান প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হচ্ছে যা ভবিষ্যতে বিরুপ প্রভাব ফেলবেই। এমন সব আরও খবর পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং অন্যান্য খবর পড়তে মূলপাতায় ভিজিট করুন।