Smoking Habit Effect: ধূমপান করলে আইকিউ কতটুকু কমে? যা বলছেন গবেষকরা

ধূমপান করলে আইকিউ কতটুকু কমে

অনেকেই ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও এই অভ্যাস ছাড়তে পারেন না। ধূমপান শুধু ফুসফুস বা হার্টেরই ক্ষতি করে না, মস্তিষ্কেও খারাপ প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি সিগারেট খাওয়ার কুফল নিয়ে নতুন এক গবেষণা বলছে, সিগারেট শুধু ফুসফুস বা হার্টের ক্ষতি করে না, বুদ্ধিমত্তাও কমিয়ে দেয়।

ধূমপান করলে আইকিউ কতটুকু কমে

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ক্যাটাগরির এক দল সম্প্রতি ধূমপায়ীদের ওপর একটি গবেষণা চালায়। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, সিগারেট আমাদের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। University of Washington মেডিসিন টিম 32,94 জন সিগারেট আসক্তের উপর এই পরীক্ষা চালিয়েছে। জেনেটিক্যালি,ধূমপানের প্রভাবও এই গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  শীতে বাতের ব্যথা কেন হয়? জেনে নিন বাতের ব্যথা দূর করার উপায়।

ধুমপান গবেষনায় কি জানা যায়?

প্রতিকী ছবি
প্রতিকী ছবি

Biological Psychiatry জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় গ্লোবাল ওপেন সায়েন্সে দাবি করা হয়েছে যে ধূমপান জ্ঞানীয় হ্রাসের ঝুঁকি বাড়ায়। এবং এই যুক্তির পক্ষে প্রমাণ রয়েছে। শুধু তাই নয়, সিগারেটের নিকোটিনের প্রভাবে আমাদের মস্তিষ্কের আকৃতিও কমে যায়। একই সময়ে, মস্তিষ্কের কোষগুলি দ্বিগুণ হারে ধ্বংস হয়। সিগারেটের কারণে শুধু ফুসফুস বা হৃদপিণ্ডই নয়, মস্তিষ্কও মারাত্মক বিপদে পড়ে। তাই বুঝতেই পারছেন কয়েক মিনিটের সুখ-টানের কারণে কতটা ক্ষতি হচ্ছে

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কের যে ক্ষতি হয় তা স্থায়ী ক্ষতির মধ্যে পড়ে। এই ক্ষতি অপূরণীয়। একবার মস্তিষ্ক সঙ্কুচিত হয়ে গেলে, মস্তিষ্কের কোষগুলি মারা যেতে শুরু করে এবং তা পুনরুদ্ধার করা যায় না। এমনকি ধূমপান ছেড়ে দিলেও এউ ক্ষতিপূরণ হয় না। এই গবেষণার অন্যতম গবেষক সেন্ট লুইস এ প্রসঙ্গে বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষগুলো একটু একটু করে ক্ষয় হতে শুরু করে। আর তার সঙ্গে সিগারেট খাওয়া, যা সেই কাজ অকালেই শুরু হয়। ফলে চিন্তার ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।

যারা পরোক্ষধুমপায়ী তাদের উপর এটির আরও মারাত্মক প্রভাব পড়ে। যে ব্যাক্তি ধুমপান করেনা কিন্তু ধুমপানের জায়গায় নিয়মিত অবস্থান করে তার চিন্তাশক্তিও ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। শর্টটাইম মেমোরি লস সহ বিভিন্ন সিমটং দেখা দেয়।

শেষ কথা,

গবেষকদের মতে, এই নেশার আসক্তির কারণে ধূমপায়ীদের মানসিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে, এমনকি অন্যদেরও করাচ্ছে। মস্তিষ্কের ওপর প্রভাবের কারণে তাদের পেশা ও জীবনযাত্রাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আলঝেইমারের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই এখনই সাবধান হোন। যাইহোক, মস্তিষ্কের ক্ষতির পরিমাণও নির্ভর করে একজন ব্যক্তি সারা দিনে কতগুলি সিগারেট পান করেন তার উপর। ধূমপান ত্যাগ করার পরও ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়।

আরও পড়ুনঃ  কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে | মানসিক শান্তির ওষুধ

এমনই সকল তথ্যমূলক কনটেন্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। আমরা নিয়মিত এসকল কনটেন্ট পাব্লিশ করে থাকি। অন্যান্য কনটেন্ট পড়তে আমাদের Homepage ঘুরে আসুন। যুক্ত থাকুন আমাদের Facebook গ্রুপেওএই তথ্যটি সকলের মাঝে Share করে জানিয়ে দিন

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link