বুদ্ধিমান হবার লক্ষণ: পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা বাকিদের থেকে আলাদা।কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ আছে বা আমরা বলতে পারি কিছু অভ্যাস, যেগুলো মেধাবী, বুদ্ধিমান, চতুর ব্যক্তিরা অনুসরণ করে থাকে। আপনিও কি সেই জিনিয়াস মানুষের ক্যাটাগরিতে পড়েন? এক নজর দেখে নিন।
১) গভীর রাতে জেগে থাকার অভ্যাস বুদ্ধিমান হবার লক্ষণ।
অনেক জিনিয়াসদের উদাহরণ রয়েছে যারা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকতো। কিছুনা কিছু পড়া, চিন্তা করা, লেখালেখি করা ইত্যাদি এগুলি হচ্ছে অভ্যাস। ইতিহাস নিজেই সাক্ষী রয়েছে, অনিদ্রা বা নিদ্রাহীনতার রোগ ছিলো অনেক প্রতিভাবান মানুষদের।
বেশিরভাগ বুদ্ধিমান ব্যাক্তির আত্মজীবনী থেকে আপরা দেখতে পাই যে ওনাদের প্রায় সকলের সাথে এই একটি জিনিস ছিলো ব্যাপল মিল। তারা রাতে কম ঘুমাতেন। বিজ্ঞান, রাজনীতি,ব্যাবসা, খেলাধুলা, শিল্পকলা ইত্যাদির ক্ষেত্রে মহান মহান ব্যাক্তিদের ছিলো খুব কম ঘুমানোর অভ্যাস।
সবসময় কিছু করার আবেগ, চিন্তা ও মনোবল তাদের ঘুমাতে দেয়না। নিকোলা টেসলা (Nikola Tesla) যার পরিশ্রমে ও আশীর্বাদে আপনার আমার সবার বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌছেছে।
আপনি জেনে অবাক হবেন যে, তিনি মাত্র ২ থেকে ৩ ঘন্টা ঘুমোতেন। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি (Leonardo da Vinci) যে কিনা তার মেধা খাটিয়ে মোনালিসার একটি দূর্দান্ত চিত্র এঁকেছিলেন। আর তিনি মাত্র ৩ঘন্টা ঘুমোতেন।
২) ভুলে যাওয়া বা সাধারণ জিনিস মনে না রাখা।
তালা,চাবি অথবা ছোটখাটো জিনিস কোথায় রাখেন তা ভুলে যান? তবে জেনে খুশি হবেন যে অনেক বুদ্ধিমান লোকদের ভুলে যাবার অভ্যাস ছিলো।
ফরগেটিং (Forgetting) নামের প্রবন্ধে লেখা হয়েছিলো, ‘ছোয় খাটো জিনিস মনে রাখেন না অসাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষজন’।
যদি আপনি সমস্ত জিনিসের উপর ফোকাস করতে থাকেন তবে আপনি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে Focus করতে পারবেন না। মহান প্রতিভামান বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এরও স্মৃতিশক্তি খুব ভালো ছিলো না। সে অনেক সময় তারিখ সহ অনেক কিছুই মনে রাখতে পারতেন না।
আরেকটি মজার বিষয় হচ্ছে যে, তিনি ট্যাক্সিতে যাবার সময় নিজের বাড়ির ঠিকানাটিও ভুলে গেছিলো?।
৩) ঘুমানোর আগে চিন্তা করা।
জিনিয়াস হবার আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে ঘুমানোর আগে চিন্তা ভাবনা করা। কাল কি হবে, আজকে কি হবে, আমি কি কাজ করবো ইত্যাদি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে একেকটি অভ্যাস।
যারা সাধারন মানুষ তারা মূলত বিছানায় যাবার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে যায়। আর অপরদিকে প্রতিভাবান মানুষদের মনে সারাটাক্ষন ছুটতে থাকে বিভিন্ন ভাবনায়। তারা ঘুমাতে যেয়েও বিছানায় বিভিন্ন জিনিস নিয়ে চিন্তা করে। চিন্তা তাদের পিছুই ছাড়েনা।
৪) নিজের সঙ্গে কথা বলা
যখন আপনি নিজেই নিজের সাথে কথা বলেন তখন কিন্তু আপনার মস্তিষ্ক খুবই ভালোভাবে কাজ করে।
মনস্তাত্ত্বিকদের মতানুযায়ী, অনেক সময় হারিয়ে যাওয়া জিনিস খুজে পেতে সাহায়তা করে নিজের সাথে নিজে কথা বলায়। যা প্রমাণিত একটি উদাহরণ। নিজে নিজে নতুন জিনিস খোজা, নিজে নিজেই যুক্তি পরামর্শ করা ইত্যাদি ভালো একটি দিক। যাদের মাঝে এই ক্ষমতাগুলি আছে তাদের অন্যদের তুলনায় অনেকবেশি মেধাবী।
এই চিহ্নগুলি জিনিয়াস (Genius) হবার লক্ষণ:
১) ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলে সাদা রঙের চাঁদের চিহ্ন থাকা। এই চিহ্নটি যত গাড় হবে আপনি তত বেশি বুদ্ধিমান হবেন।
২) অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনায় এটিও দেখা গেছে যে, যাদের চোখ ‘নীল’ তাদের বুদ্ধি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
উপসংহার
আপনি কোন ক্ষেত্রে বেশি বুদ্ধিমান তা আমাদের কমেন্টে জানান। আশাকরি আপনাদের এই বুদ্ধিমান ব্লগটি পছন্দ হয়েছে। এমনসব ব্লগ পেতে আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন। আমাদের হোয়াটসএপ গ্রুপগুলিতে যুক্ত থাকুন।