যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ Class 6, 7, 8, 9 | যানজট অনুচ্ছেদ

যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ

পরিক্ষাতে প্রায়ই আসে “যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ” টি। আর তাই আপনাদের পড়াকে আরও সহজ করে তুলতে আমরা নিয়ে আসলাম ছোট বড় সকল ক্লাসের জন্য কয়েকটি যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ। সম্পূর্ন সময়তি জুড়ে থাকুন আমাদের সাথেই। আশাকরি এটি শিখে ফেললে পরিক্ষায় কমন পড়তেউ পারে এই রচনাটি।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা হলো যানজট। ঢাকা শহর সহ বিভিন্ন সহরের রাস্তা গুলিতে বেশিরভাগ সময় এই চিত্র দেখা যায়। বিভিন্ন কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের যানজট অনুচ্ছেদ নবম দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই পোস্টে আমি যানজট অনুচ্ছেদ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই ব্লগে আমি কয়েকটি যানজট অনুচ্ছেদ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যদি পোস্টটি ভাল লাগে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এছাড়া আপনি চাইলে আমাদের Facebook Page এ যুক্ত হতে পারেন।

যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ

রচনা ১ঃ যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ

বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে প্রতিদিন যে দৃশ্য চোখে পড়ে তা হলো যানজট। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা যানজটের শহর হিসেবেই যানজট থাকে। দুটি সিটি কর্পোরেশনে বিভক্ত এ মহানগরীর লোকসংখ্যা প্রায় দুই কোটি। বাস, ট্রাক, কার, অটো-রিক্শা ইত্যাদি মিলিয়ে কয়েক লাখ যান চলাচল করে প্রতিদিন। এসব যানের সুশৃঙ্খলভাবে চলার জন্য প্রশস্ত রাস্তা এখানে খুব বেশি নেই। বাইক আর রিক্শার দাপটে সাধারণ মানুষ ফুটপাতেও ঠিকমতো চলাচল করতে পারে না। এর ওপর রাস্তার দুপাশে পার্ক করা হয় কার, অটো বা রিক্শা। এছাড়া থাকে ছোট ছোট দোকানপাট, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বালি-রড-সিমেন্ট-ইট-পাথর ইত্যাদি। আবার সারা বছরই বিভিন্ন সংস্থা ইচ্ছেমতো রাস্তা কাটাকাটি করে। এসব কারণে যানজট অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। দুর্ভোগের শিকার হয় রোগী, ছাত্র-ছাত্রী, অফিসগামী মানুষ। নির্দিষ্ট সময়ের ২-৩ ঘণ্টা আগে রওনা হয়েও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছা যায় না। ইতোমধ্যে যানজট নিরসনের জন্য সরকার উড়াল সেতু, ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস, নতুন রাস্তা বা লিংকরোড, মেট্রোরেল ইত্যাদি প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এর পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হলে যানজট অনেকখানি নিরসন হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশা করেন। এটিও পড়ে দেখতে পারেন কোভিড ১৯ রচনা বাংলা | করোনা ভাইরাস রচনা

রচনা ২ঃ যানজট অনুচ্ছেদ রচনা

যানজন হচ্ছে যানবাহনের জট। রাস্তায় যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে না পেরে অস্বাভাবিক যে জটের সৃষ্টি করে, তাকেই আমরা যানজট বলে জানি। জনবহুল এই বাংলাদেশের এক বিরাট সমস্যা যানজন। এই সমস্যা প্রকটতর হয়েছে দেশের রাজধানী ঢাকাতে। যানজটের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার ঢাকার প্রতিটি মানুষ। ঢাকা বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল কেন্দ্র। তাই দেশের সকল শ্রেণির মানুষ ঢাকা শহরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। জনগণের প্রয়োজনের সাথে তাল মিলিয়ে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা তৈরি করছে যানজট। এছাড়া রাস্তার স্বল্পতা, অপ্রশস্ততা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ট্রাফিক আইন অমান্য করাই হচ্ছে ঢাকা শহরের যানজটের অন্যতম কারণ। আর যানজটের ফলে প্রায়ই মারাত্মক সব দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। প্রয়োজনীয় কাজ যথাযথ সময়ে করা সম্ভব হয় না, যা ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনসহ রাষ্ট্রীয় জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যানজট সমস্যা দূর করার জন্য অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ আইন, ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে পালন করাই হতে পারে এক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ। রাজধানী ঢাকার জীবনযাত্রা উন্নয়ন করার লক্ষ্যে যানজট সমস্যা সমাধানে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা অতীব আবশ্যক।

রচনা ৩ঃ অনুচ্ছেদ যানজট সমস্যা

আমাদের দেশের শহর বন্দরে যানজট একটি সাধারণ দৃশ্য। শহুরে জীবনে এটি একটি বড় সমস্যা। যখন রাস্তার কোন স্থানে পরিবহন একত্র হয়ে যায় তখন পরিবহনটি যথাসময় যথাস্থানে পৌঁছাতে পারে না। এ ধরনের অবস্থাকে যানজট বলে। শহরের মানুষ প্রত্যহ এ সমস্যার মুখোমুখি হয়। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ যানজট সৃষ্টির প্রধান কারণ। ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, রিকশা ও অন্যান্য গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি যানজটের অন্যতম কারণ। অন্যদিকে আমাদের দেশে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সঠিক নয়। গাড়ি চালকেরা তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছার জোরে গাড়ি চালিয়ে থাকে। যেখানে সেখানে অন্যায় ও বিশৃঙ্খল ভাবে গাড়ি থামিয়ে রাখা যানজটের আরেকটি অন্যতম কারণ। এটি গাড়ির চালক ও যাত্রীদের জন্য ভীষণ সংকট ও কষ্টকর সময়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষতি করে। এছাড়াও এটি মানুষের মূল্যবান সময়ের অপচয় ঘটায়। এ সমস্যার সমাধানে আমাদের কতগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন। যানজট নিরসনে ট্রাফিক আইন কার্যকর করা প্রয়োজন। রাস্তা নির্মাণের সময় যথাযোগ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। গণসচেতনতা ছাড়া যানজট সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। পরিক্ষাতে এটিও আসে>> অধ্যবসায় রচনা ২০ পয়েন্ট | অধ্যবসায় রচনা PDF

আরও পড়ুনঃ  মে দিবস অনুচ্ছেদ রচনা | আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস অনুচ্ছেদ

রচনা ৪ঃ যানজট অনুচ্ছেদ Class 7

যানজট আমাদের দেশের অতি পরিচিত দৃশ্য, আলােচিত বিষয় এবং নাগরিক জীবনের এক ভােগান্তির অনুষঙ্গ। রাস্তায় প্রয়ােজনের তুলনায় অতিরিক্ত গাড়ি যখন স্বাভাবিক গতিতে চলতে ব্যর্থ হয় তখন আমরা তাকে যানজট বলি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার ত্রুটি যানজটের একটি অন্যতম কারণ। তবে যানজটের প্রধান দুটি কারণ হলাে— অবৈধ রাস্তা দখল এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করা। একটি মেগাসিটিতে শহরের আয়তনের ২৫% রাস্তা থাকতে হয়। কিন্তু ঢাকায় আছে মাত্র ৮%। এই রাস্তার অনেক জায়গা আবার বিভিন্ন অবৈধ দখলদারের হাতে। রাস্তায় দোকানপাট, ময়লার ভ্যান, যত্রতত্র গাড়ি রেখে রাস্তাকে সংকীর্ণ থেকে আরও সংকীর্ণতর করে ফেলা হচ্ছে। ট্রাফিক আইন অমান্য করার ফলে রাস্তার স্বাভাবিক শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া চালকের অদূরদর্শিতা, শহরমুখী মানুষের স্রোত, অপ্রশস্ত রাস্তা প্রভৃতি বিষয়ও যানজটের অন্যতম কারণ। যানজট দেড় কোটি নগরবাসীর জীবন থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক লাখ ঘণ্টা কেড়ে নিচ্ছে। যানজটের কারণে রাস্তাঘাটে ছিনতাইয়ের মতাে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। আমাদের মূল্যবান সময়কে আমাদেরই ভুলে যানজটের কাছে হারাতে হচ্ছে। কর্মক্লান্তির পর যানজটে আবদ্ধ থাকা সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তােলে। প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ আইন,আইনের কঠোর প্রয়ােগ প্রভৃতি বিষয় যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে । শহরকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। যানজট নিরসনে আমাদের সবার সচেতনতা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। উন্নয়নের পথে আমাদের যে যাত্রা, সে যাত্রাকে আরও গতিশীল করতে যানজট সমস্যা সমাধানের কোনাে বিকল্প নেই। বই পড়ার আনন্দ রচনা | বই পড়া প্রবন্ধ রচনা এটি পড়লে কমন পড়বেই পরিক্ষায়।

রচনা ৫ঃ যানজট অনুচ্ছেদ Class 8

যদি কোনাে কারণে বেশ কিছু যানবাহন রাস্তায় প্রায় অচল অবস্থায় পড়ে থাকে, তখন এটিকে যানজট বলে। আমাদের দেশের বড় বড় শহরে এটি একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। সাধারণত এটি শহরের ব্যস্ততম এলাকায় সংঘটিত হয়ে থাকে। নগর জীবনের নাগরিক সমস্যাগুলাের মধ্যে এটি অন্যতম। প্রতিদিন শহরের জনগণকে এই অসহনীয় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জনসংখ্যার ঘনত্ব যানজটের প্রধান কারণ। বাস, প্রাইভেট কার, অটোরিকশা, রিকশা প্রভৃতির সংখ্যা বৃদ্ধিই এর জন্য দায়ী। এ ছাড়াও আমাদের দেশের যান চলাচল ব্যবস্থা ততটা উন্নত নয়। যানবাহনের চালকরা তাদের ইচ্ছামতাে যানবাহন চালাতে চায়। অবৈধভাবে যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং করাও যানজটের জন্য দায়ী। এটি যাত্রী ও পৃথচারী উভয়ের জন্যই অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট বয়ে আনে। এটি আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে এবং আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যানজটের ফলে শুধু ঢাকাতেই গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া যানজটের কারণে প্রতিদিন যে বাড়তি জ্বালানি পােড়ে তা জাতীয় অর্থনীতির জন্য বােঝা হয়ে দাঁড়ায়। কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়ােগ করতে হবে। চলাচলের অনুপযােগী গাড়ি রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রাইভেট কারের উপর অধিক শুল্ক আরােপ করে এর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পাবলিক পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে হবে। সুপরিকল্পিতভাবে প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। গাড়িচালকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে। যেখানে সেখানে পার্কিংয়ের যথেচ্ছতা বন্ধে নিতে হবে উদ্যোগ। ফুটপাথ ও সড়ক দখল করে দোকানপাট খােলা কিংবা জিনিসপত্র রাখার প্রবণতা রুখতে হবে। যেখানে সেখানে বাসে লােক উঠানাে বন্ধ করতে হবে। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির মহােৎসব বন্ধেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবতে হবে। তবে সবচেয়ে জোর দিতে হবে ট্রাফিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায়। এর জন্য গণসচেতনতাও প্রয়ােজন। তাহলেই আমরা মুক্তি পাব অসহনীয় যানজটের হাত থেকে। এই রচনাটি প্রায় পরিক্ষাতেই আসে>> পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা | পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য

আরও পড়ুনঃ  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা | আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 10

রচনা ৫ঃ যানজট অনুচ্ছেদ for Class 10

যানজট যানবাহনের একটি দীর্ঘ লাইন যা চলাচল করতে পারে না বা কেবল খুব ধীরে চলতে পারে কারণ রাস্তায় প্রচুর যানবাহন থাকে। বড় শহর ও শহরে যানজট একটি সাধারণ বিষয়। এটি আধুনিক সময়ের অন্যতম প্রধান সমস্যা। যানজটের কারণ অনেক। আমাদের জনসংখ্যার অনুপাতে রাস্তা বাড়েনি। রাস্তা সব একই। রাস্তাগুলি দখল করছে অনেক লাইসেন্সহীন যানবাহন। এমনকি চালকরাও ট্রাফিক নিয়ম মানতে রাজি নয়। তারা তাদের ইচ্ছা অনুসারে গাড়ি চালাতে চায়। ওভারটেকিং প্রবণতা যানজটের কারণও বটে। ট্র্যাফিক পুলিশের সংখ্যা অপর্যাপ্ত। অফিস সময়ে ট্র্যাফিক জ্যাম অসহনীয়। কখনও কখনও যানজট এত ভারী হয় যে এটি আধ কিলোমিটার অবরুদ্ধ করে। এটি আমাদের মূল্যবান সময়কে হত্যা করে এবং আমাদের কাজ ব্যাহত হয়। এতে করে মুমূর্ষু রোগীদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে এবং ফায়ার ব্রিগেডের যানবাহন চরম দুর্ভোগ পোহায়। তবে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। সুপরিকল্পিত প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করা উচিত। একমুখী যানবাহন চলাচল চালু করা উচিত। ট্র্যাফিক নিয়মগুলি কঠোরভাবে চাপানো উচিত যাতে চালকরা সেগুলি মানতে বাধ্য। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে পর্যাপ্ত ট্র্যাফিক পুলিশ নিয়োগ করতে হবে। লাইসেন্সবিহীন যানবাহন সরানো উচিত। এই সমস্ত কাজ করার পরে আমরা আমাদের সহজ এবং আরামদায়ক চলাফেরার জন্য একটি ভাল ট্র্যাফিক সিস্টেমের আশা করতে পারি।

যানজট একটি ভয়াবহ সমস্যা প্রতিবেদন রচনা

আমাদের দেশে যানজট, বিশেষত ঢাকা শহরে কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। যানজট হলো মহাসড়কের নির্দিষ্ট স্থানে বা রাস্তায় প্রচুর যানবাহনকে আটকে রাখা, ফলস্বরূপ যানগুলি আটকে থাকে এবং গন্তব্যে এগিয়ে যেতে পারে না। এটি একটি দুর্দান্ত সমস্যা তৈরি করে। জরুরি ব্যবসায় ব্যস্ত ব্যক্তিরা তাদের সময়সূচি অনুসরণ করতে পারেন না। উদাহরণস্বরূপ, অনেক লোক সময় মতো তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হন। পণ্য পরিবহন বিলম্বিত হয়। সম্ভবত সবচেয়ে খারাপ পরিণতি মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলিতে বহন করে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হয়। মানসিক ও শারীরিক দুর্ভোগও খুব কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাধারণত রিকশাওয়ালা বা ট্যাক্সিচালক, যারা কষ্ট করে আহার জোটান, তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে এমন নয় যে এটি সর্বদা সব জায়গায় ঘটে থাকে। কেবলমাত্র রাস্তার পরিস্থিতি এবং ড্রাইভারদের নিয়ম-লঙ্ঘনমূলক আচরণই এর কারণ হতে পারে। যানবাহনের সংখ্যা, বিশেষত রিকশা, এই উপদ্রবগুলির একটি বড় কারণ। কারণ যাই হোক না কেন এটি অবিশ্বাস্য নয়। সর্বোপরি, আমরা এত দূর্ভোগ পোহাতে চাই না।

যানজট একটি ভয়াবহ সমস্যা প্রতিবেদন রচনা

অনুচ্ছেদ যানজট Class 10

যানজট মানে এক জায়গায় অনেক বেশি যানবাহন আটকা পড়া। যখন বিভিন্ন যানবাহন একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করে সামনে যাওয়ার চেষ্টা চালায় তখনই এর প্রকোপ দেখা দেয়। যানজটের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে রাস্তার বেহাল দশা এবং ট্রাফিক বিধি লঙ্ঘনই এর প্রধান কারণ। ব্যস্ততার সময় আমরা যানজটে আটকে গেলে অনেকটা অসহায় ও হতাশাবোধ করি। এটি আমাদের মূল্যবান সময়কে কেঁড়ে নেয়। শিক্ষার্থীরা তাদের বিদ্যালয়ে সময় মতো পৌঁছতে পারে না। অফিস কর্মীরা সময়মতো অফিসে পৌঁছতে পারন না। ট্র্যাফিক জ্যামে প্রচুর কাজের সময় নষ্ট হয়। এমনকি গুরুতর রোগীদেরও সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না। ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে পড়েই অনেক রোগী মারা যান। যানজটে আটকা পড়ে থাকা দূরপাল্লার যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমাদের দেশের সমস্ত মানুষ যদি নিজেদের মধ্যে নাগরিক বোধ গড়ে তোলে এবং ট্রাফিক নিয়মগুলি অনুসরণ করে তবে যানজট নিরসন করা যেতে পারে। সরু রাস্তা প্রয়োজনমতো প্রশস্ত করা, মূল ক্রসিংয়ে ফ্লাইওভার তৈরি করা, কঠোর আইন এবং সর্বোপরি ক্রমবর্ধমান জনসচেতনতা যানজট অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।

অনুচ্ছেদ যানজট

যানজট হচ্ছে এক জায়গায় অনেক গাড়ির প্রতিবন্ধকতা। স্থানটি হতে পারে রাস্তা অথবা মহাসড়ক। এটা আমাদের দেশে অপরিচিত নয়, বিশেষ করে ঢাকার মতাে বিভাগীয় শহরগুলােতে। যখন অনেকগুলাে গাড়ি একে অপরকে পাল্লা দিয়ে চলতে চায় তখন এটা ঘটে। প্রতিকূল রাস্তার অবস্থা এবং ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন হচ্ছে এর অন্যতম কারণ যেভাবেই ঘটুক কেন এটা আমাদের সময় ও অর্থনৈতিক শক্তি নষ্ট করে। যখন আমরা যানজটে আটকে যাই তখন আমরা অসহায় ও হতাশাবােধ করি। অনেক মানুষ সময় মত অফিসে যেতে পারে না। যেসব রােগীদের এলেন্সে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নেওয়া হয় তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রিকশাচালক ও ট্যাক্সি চালকরা ও অনেক কষ্ট করে। কারণ তারা তাদের গন্তব্যের দিকে খুব ধীরে ধীরে চলে সময় নষ্ট করে। নিত্যপ্রয়ােজনীয় পণ্যের যানবাহনগুলাে দেরিতে পৌঁছে। যানজট নিরসন করা যেতে পারে যদি ভেবে চিন্তে কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায়। রাস্তা প্রশস্তকরণ, প্রধান পারাপারের স্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণকরণ, রিকশার সংখ্যা কমানাে এবং সর্বোপরি, জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

অনুচ্ছেদ যানজট

আরও কিছু অনুচ্ছেদ নিচে থেকে পড়ুন>>>

  1. মে দিবস অনুচ্ছেদ রচনা | আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস অনুচ্ছেদ
  2. আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা | আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 10
  3. পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ class 7 | পহেলা বৈশাখ অনুচ্ছেদ রচনা
আরও পড়ুনঃ  মে দিবস অনুচ্ছেদ রচনা | আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস অনুচ্ছেদ

যানজট হওয়ার কিছু কারণ নিচে দেয়া হলোঃ

  • গাড়ি চালকরা ট্রাফিক আইন অমান্য করে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালায়। এর ফলে সৃষ্টি হয় যানজট।
  • গাড়ি পার্কিংয়ের সঠিক নিয়ম না থাকায় চালকরা যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে এর ফলে সৃষ্টি হয় যানজটের।
  • জনসাধারণের অসতর্কভাবে রাস্তা পারাপার, অতএব সড়ক দুর্ঘটনার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
  • শহর গুলিতে অপরিকল্পিতভাবে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলায় রাস্তা গুলি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে।
  • একই রাস্তা বা রুটে যখন দ্রুত গতি সম্পন্ন যানবাহন (যেমন: বাস, ট্রাক) ও ধীর গতি সম্পন্ন যানবাহন (যেমন: রিকশা, অটো-রিকশা) চলাচলের কারণে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
  • জনসমাবেশ, আন্দোলন এবং ধর্মঘটের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
  • চালু করে যখন ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞ না থাকে তখন যানজটের সৃষ্টি হয়।
  • দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি অপরিকল্পিত যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।

যানজট থেকে মুক্তির উপায় নিচে দেয়া হলোঃ

  • লাইসেন্স বিহীন ও অসচেতন চালকদের আওতায় আনতে হবে।
  • শহরের ব্যস্ত রাস্তা গুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ দিতে হবে।
  • সরকারকে প্রচারের মাধ্যমে রাস্তা চলাচলের নিয়ম নীতি সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে হবে।
  • গাড়ি পার্কিং করার জন্য নির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে, যাতে কোন চালক যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং না করতে পারে। এই আইন মেনে না চললে শাস্তি এবং জরিমানা আদায় করতে হবে।
  • রাস্তাঘাটে ধীর গতিসম্পন্ন গাড়ি চলাচল কমিয়ে আনতে হবে। যেমন: রিকশা, অটোরিকশা ইত্যাদি।
  • সর্বশেষে কর্তৃপক্ষকে শহরের রাস্তাগুলো প্রসারিত করতে হবে এবং চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরি করতে হবে। এভাবেই সরকার এবং জনসাধারণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে যানজট সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

এই ব্লগের শেষ কথাঃ

আজকের “যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ” রচনাটি আপনাদের নিকট সবার ভালো লেগেছে। আর “অনুচ্ছেদ যানজট” রচনাটিতে আমরা প্রায় কয়েকটি উল্লেখ করেছি। আর আমি জানি আপনারা সবাই এই ব্লগটি উপভোগ করেছেন। যদি তাই হয় তবে আবার আসবেন। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন কনটেন্ট আমাদের এই ব্লগসাইটে পাব্লিশ করে থাকি। আশাকরি আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত বিষয়টি আমাদের এই সাইটে পেয়ে যাবেন। যদি না পেয়ে থাকেন, তবে আমাদের কমেন্ট করবেন। আপরা আপডেট করার চেষ্টা করব। রচনাগুলি ভালো লাগলে স্কুল/কলেজের ফ্রেন্ডসার্কেলের সাথে শেয়ার করুন।

FAQs: যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ

যানজট বলতে কী বোঝায়?

সড়কপথে যখন সড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনের সংখ্যা সড়কের ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়, তখন যানবাহনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না, এরকম অবস্থাকে যানজট বলা হয়। যানজটের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে গাড়ির স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর গতি, দীর্ঘ যাত্রাকাল, যানবাহনের দীর্ঘ সারি, শব্দদূষণ ইত্যাদি।

যানজট কমানোর উপায় রচনা কি?

কারপুল এবং শেয়ারিং যানবাহনের ব্যবহার বায়ু দূষণ হ্রাস করে এবং এর ফলে কম ট্রাফিক জ্যাম হয়। ট্রাফিক নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে এবং গাড়ির নিবন্ধন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নীতি কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষের উচিত ভারতের রাস্তার অবস্থার উন্নতি করা।

যানজটের সংক্ষিপ্ত বিবরণ কি?

রাস্তায় কিছু সময়ের জন্য যানবাহন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে যানজট হয়। এছাড়াও যানবাহনকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় জ্যাম থেকে সরে যেতে। কখনো কখনো যানজটের মতো হয়ে যায়। ক্রমবর্ধমান যানবাহন এবং রাস্তার অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে পরিবহন নেটওয়ার্কে এটি ঘটে।

পরিবহন ব্যবস্থা কত ধরনের?

এগুলো হচ্ছেঃ উড়োপথ, আকাশপথ পরিবহন, মহাসড়ক, পাইপ-লাইন, জলপথ, বন্দর, উপকূল ও সমুদ্রপথ; এবং নগরকেন্দ্রিক পরিবহন

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link