আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা | আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 10

Contents
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 10 আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 7আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 9 আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 6 আমাদের শেষ কথা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা
বন্ধুরা স্বাগতম আমাদের আজকের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা পোষ্টে। আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই গুগল/বিং এ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ লিখে সার্চ করেছেন। যারফলে সবার আগে আপনারা আমাদের এই পোষ্টটি পেয়েছেন। আপনারা একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনি পেয়ে যাবেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনাটি। নিচে কয়েকটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ দেয়া হলো, আপনার যেটি সহজ মনে হয় সেটি শিখে পরিক্ষায় ও অন্য যেকোনো জায়গায় এপ্লাই করতে পারেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় ও ঐতিহ্যবাহী দিন। বাঙালির জাতীয় জীবনের সকল চেতনার উৎস হচ্ছে এ দিনটি। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার ঐতিহাসিক দিন এটি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমরা শহীদ দিবস হিসেবে পালন করি। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর শুধু আমাদের মাতৃভাষা দিবস নয়। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে। এ দিবসটির ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে।

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মােহাম্মদ আলী জিন্নাহ ‘উর্দু ভাষাকে’ একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘােষণা দিলে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে শুরু হল তীব্র গণ-আন্দোলন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদাদানে প্রত্যয়ী ছাত্রসমাজ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে সরকারের নির্দেশে পুলিশ মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে নিহত হয়। অতঃপর ক্রমাগত আন্দোলনের ফলে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৫৬ সালের সংবিধানে সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর জাতিসংঘ ১৯৫২ সালের এই দিনের শহীদদের স্মৃতিকে সারা বিশ্বে স্মরণীয় করে রাখতে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

২০০১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বব্যাপী প্রথম পালিত হল ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। তাই ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতীয় জীবনে এক গৌরবদীপ্ত ঐতিহাসিক দিন। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিনটির তাৎপর্য অপরিসীম। বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়ে অর্জিত হয়েছে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার। এ দিবসে প্রত্যেক ভাষার মানুষ নিজের মাতৃভাষাকে যেমন ভালােবাসবে তেমনি অন্য জাতির মাতৃভাষাকেও মর্যাদা দেবে। এভাবে একুশকে চেতনায় ধারণ করে মাতৃভাষাকে ভালোবাসার প্রেরণা পাবে মানুষ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 10
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 10
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 10
একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতীয় জীবনের এক গৌরবময় ও ঐতিহ্যবাহী দিন। বাঙালির জাতীয় জীবনের সকল চেতনার উৎস হল এই দিনটি। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার ঐতিহাসিক দিন হল এটি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একুশে ফেব্রুয়ারিকে আমরা শহীদ দিবস হিসেবে পালন করি। একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আর শুধু আমাদের মাতৃভাষা দিবস নয়। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে। এ দিবসটির ঐতিহাসিক পটভূমি রয়েছে।

১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ‘উর্দু ভাষাকে‘ একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করার দাবিতে শুরু হল তীব্র গণ-আন্দোলন। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদাদানে প্রত্যয়ী ছাত্রসমাজ ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছাকাছি এলে সরকারের নির্দেশে পুলিশ মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে নিহত হয়। অতঃপর ক্রমাগত আন্দোলনের ফলে পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।

১৯৫৬ সালের সংবিধানে সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর জাতিসংঘ, ১৯৫২ সালের এই দিনের শহীদদের স্মৃতিকে সারা বিশ্বে স্মরণীয় করে রাখতে, একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২০০১ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বব্যাপী প্রথম পালিত হল ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। তাই, ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতীয় জীবনে এক গৌরবদীপ্ত ঐতিহাসিক দিন। আমাদের জাতীয় জীবনে এ দিনটির তাৎপর্য অপরিসীম। বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়ে অর্জিত হয়েছে বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকার। এ দিবসে, প্রত্যেক ভাষার মানুষ নিজের মাতৃভাষাকে যেমন ভালোবাসবে, তেমনি অন্য জাতির মাতৃভাষাকেও মর্যাদা দেবে। এভাবে, একুশকে চেতনায় ধারণ করে মাতৃভাষাকে ভালোবাসার প্রেরণা পাবে মানুষ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ
আরও পড়ুনঃ মে দিবস অনুচ্ছেদ রচনা | আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস অনুচ্ছেদ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ
একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা দিবস। এটি বাঙালি জাতির জীবনে এক মহান দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির মাতৃভাষা রক্ষার জন্য রাজপথে নেমেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সালাম বরকত-রফিক-জব্বারসহ বেশ কয়েকজন। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছিল। ফলস্বরূপ আমরা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে পেয়েছি। ভাষার দাবিতে শহীদদের স্মরণে ১৯৫২ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাতে নির্মিত হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। এরপর থেকে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে সকলে একত্রিত হয়ে, শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে পুষ্পতবক অর্পণ করে থাকি। বর্তমানে একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু বাঙালির একার নয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সেই থেকে সারা বিশ্বে এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। একুশের এই স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার নিমিত্তে বাঙালিদের ত্যাগেরই স্বীকৃতি। জাতি হিসেবে এই মর্যাদা যেমন আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবময়, তেমনি এই মর্যাদা সমুন্নত রাখা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য। পৃথিবীর মাতৃভাষাসমূহের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে এবং পৃথিবীর কোনো ভাষা যাতে হারিয়ে না যায় তা রোধ করতে এই দিবস অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 7
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 7
আরও পড়ুনঃ যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ Class 6, 7, 8, 9 | যানজট অনুচ্ছেদ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 7
মহান ভাষা যুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ও গৌরবময় অধ্যায়। একদিকে এই দিনটিতে যেরকম অর্জনের আনন্দ রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে হারানোর বেদনা। লাখো শহীদের রক্তের প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই মাতৃভাষা পেয়েছি। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সরকার পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রীয় ভাষাকে উর্দু ভাষা হিসেবে গঠন করার জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু এই আদেশ অমান্য করে বাংলার দামাল ছেলেরা প্রতিবাদ করেছিল। তারা সরকারের প্রদত্ত 144 ধারা ভঙ্গ করে প্রতিবাদ মিছিল তৈরি করেছিল। মিছিলে রফিক জব্বার বরকত ও সালাম সহ অনেকেই প্রাণ দেয়। যার বিনিময়ে আমরা আমাদের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আমাদের মায়ের ভাষা বাংলাকে পেয়েছি। এই আত্মত্যাগ কখনো ভুলবার নয়, বাঙালির হৃদয়ে মনে ও প্রাণে সারা জীবন এই ত্যাগের কথা স্মরণে থাকবে। মহান এই ভাষাযুদ্ধ উপলক্ষে অনেক সুন্দর সুন্দর গান রচিত হয়েছে। আবদুল গাফফার চৌধুরী লিখেন- “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি” -গানটি। বাসার জন্য যুদ্ধ করেছে এবং জীবন দিয়েছে এরকম ঘটনা শুধুমাত্র বাংলাদেশেই রয়েছে। তাই পরবর্তীতে পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে ভাষার জন্য আত্মত্যাগের এই বিরল ঘটনাকে সম্মান দিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকেই প্রতিবছর এই দিনটি বাংলাদেশ সহ জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকটি দেশে অনেক জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। আমরা কৃতজ্ঞ, আমাদের সকল ভাষা শহীদদের প্রতি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 9
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি,আমি কি ভুলিতে পারি” -এ চরণ দ্বারা আমরা স্মরণ করি আমাদের সকল ভাষা শহীদ দের, যারা মাতৃভাষা বাংলার জন্য প্রাণ দিয়েছিল। মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে এরকম ঘটনা বিরল, পৃথিবীর মানচিত্রে শুধু বাংলাদেশেই একমাত্র দেশ। এই দিনটি ইতিহাসের পাতায় অমরত্ব লাভ করেছে যা কখনো ভুলবার নয়। ১৯৪৭ সালের ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ‘পাকিস্তান’ সৃষ্টি হলেও পশ্চিম পাকিস্তান, পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের মাতৃভাষার মর্যাদা দিতে চায়নি। তারা জোর করে উর্দু ভাষাকে পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দাবি জানায়। তৈরি হয় প্রতিবাদ মিছিল, রজ্জিত হয় ঢাকার রাজপথ। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে মিছিল বের করে। হানাদার বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারসহ অনেকে। তরুণ এই ধামাল ছেলেদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা। প্রতিবছর এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সকল ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে ফুল দিয়া শ্রদ্ধা জানাই। বর্তমানে এই দিবসটিতে শুধু বাংলাদেশী পালিত হয় তা নয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদের ৩০তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলা ভাষার জন্য আত্মবিসর্জনের সে ঘটনা আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলা ভাষার কথা বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 6
‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাসে অত্যন্ত স্মরণীয় ও মর্যাদাপূর্ণ দিবস। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতি মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার্থে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করেছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো জাতি তাদের ভাষা রক্ষার জন্য এভাবে আত্মদান করেনি। এদিন ভাষাকে কেন্দ্র করে বাংলার বীর সন্তানেরা যে রক্তবীজ বপন করেছিল, তারই সফল পরিণতি হলো একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আর তাই মাতৃভাষা বাংলা আর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ যেন বাঙালির অস্তিত্বের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা। বাঙালির এই অর্জনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদ ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাঙালি জাতির জন্য এ এক বিরাট গৌরব। এর ফলে একদিকে যেমন সারাবিশ্বের মানুষ জানতে পারবে বাংলাদেশ নামে একটি দেশের কথা, বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষার কথা, তেমনি অন্যদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মাতৃভাষাও মর্যাদা লাভের পথ খুঁজে পাবে। আর এভাবে ভাষার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এক বিরাট ভূমিকা পালন করবে। ২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। কারণ এদিন থেকেই বিশ্বব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। আজ আমরা গর্ব করে বলতে পারি, পৃথিবীতে একমাত্র জাতি হিসেবে আমরাই মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেছি। সেই রক্তদানের গৌরব বৃথা যায়নি। বিশ্ববাসী স্বীকৃতি দিয়েছে আমাদের মাতৃভাষাকে, সম্মান জানিয়েছে আমাদের আত্মত্যাগকে। একুশে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পাশাপাশি বাংলাদেশের গুরুত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। এই দিবসটি পালনের মাধ্যমে বিশ্ববাসী অনুভব করতে সক্ষম হবে মাতৃভাষা একটি দেশের জাতিসত্তার প্রধান বিবেচ্য বিষয়। তাই যখনই তাদের মাতৃভাষার ওপর কোনো আঘাত আসবে, তখনই তারা আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠবে তাদের মাতৃভাষা রক্ষার জন্য। একই সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের নাম।
আমাদের শেষ কথা
আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই মাতৃভাষা অর্জন করতে পেরেছি। তাই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এই অর্জনকে রক্ষা করা। সকলের উচিত আমাদের ভাষা শহীদের কে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো। আজকের এই পোস্টে আমি আপনার সাথে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজনকৃত অনুচ্ছেদ বা রচনা প্রতিযোগিতার নমুনা শেয়ার করেছি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা কিভাবে লিখতে হয় তা জানতে এবং কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
ভাষা আন্দোলন রচনা ২০ পয়েন্ট | ভাষা আন্দোলন রচনা PDF
সকল ক্লাসের জন্য বেগম রোকেয়া রচনা | বেগম রোকেয়া রচনা ২০ পয়েন্ট
ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা ২০২৩ | বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা
আমাদের বিদ্যালয় রচনা ক্লাস ৬ | আমাদের বিদ্যালয় রচনা
আরও পড়ুনঃ অনুচ্ছেদ রচনা বৈশাখী মেলা – কমন পড়বেই
TAG: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 10,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ,শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ,আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রচনা,শহীদ দিবস অনুচ্ছেদ,২১ শে ফেব্রুয়ারি অনুচ্ছেদ,একুশে ফেব্রুয়ারি রচনা ক্লাস ৫।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *