পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা | পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য

পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা
Contents
রচনা ১ঃ পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা Class 6সূচনাঃ সন্তানের প্রতি মাতা পিতার অবদানঃমাতা পিতার প্রতি সন্তানের কর্তব্যঃমাতা পিতার আসনঃপরিণতিঃউপসংহারঃরচনা ২ঃ পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা Class 7ভূমিকাঃমাতাপিতার অবদানঃসন্তানের কর্তব্যঃদৃষ্টান্তঃউপসংহারঃরচনা ৩ঃ পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনাসূচনাঃ পিতামাতার অবদানঃপিতামাতার প্রতি কর্তব্যঃপিতামাতার প্রতি সম্মানঃমাতৃষণঃপিতৃঋণঃসন্তানের কর্তব্যঃকর্তব্যের দৃষ্টান্তঃউপসংহারঃরচনা ৪ঃ মা বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্যভূমিকাঃ জীবনে পিতা-মাতার অবদানঃ ছাত্রজীবনে কর্তব্যঃঅবশ্য পালনীয় কিছু দায়িত্বঃমনীষীদের দৃষ্টান্তঃউপসংহারঃএই আর্টিক্যালের শেষ কথাপিতামাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য কি বলে আপনি মনে করেন? আপনার পিতামাতার প্রতি আপনার দায়িত্ব কমপক্ষে ১০০ শব্দে উল্লেখ করুন। পরিবারের প্রতি আমার দায়িত্ব কি? সন্তানদের দায়িত্ব কি? ভালো পিতামাতার গুরুত্ব কি?বাবা মায়ের সন্তানদের ভালোবাসার দায়িত্ব কি?

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুগন আপনাদের আবারো স্বাগতম পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা এই পোষ্টে। এসএসসি পরিক্ষা সহ বিভিন্ন ধরনের পরিক্ষায় ভালো প্রস্তুতির জন্য এই রচনার গুরুত্ব অনেক। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমি এখানে মা বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনার কয়েকটি ভার্সন দিয়েছি। আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন ও খাতায় নোট করুন। আর আপনি আমাদের সাথে কথা বলতে চাইলে যুক্ত হন আমাদের Facebook Page এ।

যাঁরা আমাদের এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, সঠিক লালন-পালনের মাধ্যমে বড় করেছেন, যাদের স্নেহ-ভালবাসা, নিয়মানুবর্তিতা আমাদের জীবনকে সঠিক মাত্রা দিয়েছে তারা আর কেউ নন তারা আমাদের বাবা-মা। সন্তানদের প্রতি পিতামাতার অবদান অনস্বীকার্য। তাই প্রত্যেক শিশুরই পিতামাতার প্রতি অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। এই কারণেই আমাদের ছোটদের জন্য আজকের উপস্থাপনাটি পিতামাতার প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে।

রচনা ১ঃ পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা Class 6

এই রচনাটি বিশেষ করে Class 6 এর জন্য প্রযোজ্য। এছাড়া এটি ক্লাস ৫-৭ পর্যন্ত অনায়াসে লিখতে পারবে। কারন রচনাটি খুব সহজ ও সৃনশীলতা দিয়ে লেখা হয়েছে। নিচে আরোও কয়েকটি রচনা আছে। আপনি টেবিল অফ কনটেন্ট থেকে দেখে নিতে পারেন।

সংকেতঃ সূচনা, সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার অবদান্‌, মাতা-পিতার প্রতি সন্তানে কর্তব্য, মাতা-পিতার আসন, পরিণতি ও উপসংহার।

সূচনাঃ

পৃথিবীতে মাতা-পিতাই হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ আপনজন। মাতা-পিতার স্নেহের কোনো তুলনা হয় না। প্রত্যেক ধর্মেই মাতা-পিতাকে সম্মান ও ভক্তি করতে বলা হয়েছে। ইসলাম ধর্মে আছে- মায়ের পায়ের নিচেই সন্তানের বেহেশ্ত। তাই এমন শ্রদ্ধাভাজন মাতা-পিতার প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক।

সন্তানের প্রতি মাতা পিতার অবদানঃ

মাতা-পিতার জন্য আমরা পৃথিবীতে আলোর পথ দেখতে পেয়েছি। জন্মের পর থেকে মাতা-পিতা আদর যত্নে আমাদেরকে লালন-পালন না করলে বেঁচে থাকাই সম্ভব হতো না। মাতা-পিতা নিজেরা না খেয়ে তার সন্তানকে খাওয়ান। নিজেরা কষ্ট করে সন্তানদেরকে নিরাপদে ও শান্তিতে রাখেন। বিপদ-আপদ থেকে তাঁরা সন্তানদেরকে আগলে রাখেন। তাই মাতা-পিতার কোনো তুলনা হয় না।

মাতা পিতার প্রতি সন্তানের কর্তব্যঃ

মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের অনেক কর্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ কর্তব্য মাতা-পিতাকে শ্রদ্ধা করা। মাতা-পিতা- কালো, পঙ্গু ও অশিক্ষিত হতে পারে, তবুও তাঁদের প্রতি বিন্দুমাত্রও অবহেলা করা যাবে না। সর্বদা তাঁদের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান কখনও সুখী হতে পারে না। তাই সন্তানের উচিত বৃদ্ধ মাতা-পিতাকে শিশুর মতো সেবাযত্ন করা এবং প্রতিপালন করা।

মাতা পিতার আসনঃ

পৃথিবীতে প্রায় সব ধর্মেই মাতা-পিতাকে মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মে মাকে স্বর্গের সাথে তুলনা করা হয়েছে। তাই যারা বেঁচে থাকতে মাতা-পিতার সন্তুষ্টি লাভে ব্যর্থ হয় তারা সবচেয়ে বড় হতভাগা। সেজন্য মাতা-পিতাকে সকল ধর্মেই সর্বোচ্চ সম্মান দান করা হয়েছে।

পরিণতিঃ

মাতা পিতাকে দুঃখ কষ্ট না দিলে এবং তাদের আদেশ-উপদেশ মেনে চললে সন্তান জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে। অপরদিকে মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান জীবনে কখনও সুখী হতে পারে না।

উপসংহারঃ

মাতা-পিতা আমাদের সবচেয়ে পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। স্রষ্টার পরেই মাতা-পিতার স্থান। সুতরাং আমরা যদি ইহকাল ও পরকালের শান্তি ও কল্যাণ চাই, তা হলে মাতা-পিতার প্রতি কখনও অযত্ন ও অবহেলা করবো না।

রচনা ২ঃ পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা Class 7

ভূমিকাঃ

সন্তানের নিকট মাতাপিতার স্থান সবার ওপরে। মাতাপিতার মত প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন আর কেউ সন্তানের কাছে নেই। মাতাপিতাই সন্তানের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী ও সবচেয়ে আপন। তাদের নিকট সন্তানরা এত বেশি ঋণী যে, সে ঋণ এ জীবনে শোধ করা সন্তানদের পক্ষে সম্ভব নয়।

মাতাপিতার অবদানঃ

মাতাপিতার কারণেই সন্তান এ পৃথিবীতে আসতে পারে। মাতা অতি কষ্টে সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন। জন্মের পরও মায়ের কোলই সন্তানের প্রধান আশ্রয়। মায়ের দুধপান করেই সন্তান শৈশবে বেঁচে থাকে। সন্তানের লালন-পালনের জন্য মাতাপিতা কষ্ট ভোগ করেন। সন্তানের লেখাপড়ার জন্য মাতাপিতার চেষ্টা ও সাধনার শেষ নেই। সন্তান অসুস্থ হলে মাতাপিতা আহার-নিদ্রা ভুলে তার পাশে বসে থাকেন; সর্বস্ব ব্যয় করে তাঁরা সন্তানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার জন্য মাতাপিতা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। সন্তানের ভরণ-পোষণের জন্য মাতাপিতার কষ্টের সীমা থাকে না। নিজে না খেয়ে হলেও তাঁরা সন্তানের জন্য আহার যোগান। সন্তানের প্রতি মাতাপিতার ভালোবাসা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। মাতাপিতার এই ভালোবাসার ঋণ সন্তান কোনোদিন শোধ করতে পারবে না। মাতাপিতাই হচ্ছে সন্তানের জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ বন্ধু-পরম আপনজন।

পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা

সন্তানের কর্তব্যঃ

যে মাতাপিতা সন্তানের জন্য সীমাহীন কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেন, সে মাতাপিতার প্রতি সন্তানকেও অনেক কর্তব্য পালন করতে হয়। মাতাপিতার মতো শুভাকাঙ্ক্ষী পৃথিবীতে আর কেউ নেই। তাই তাঁদের প্রতি অনুগত থাকা, তাঁদের আদেশ পালন করা সন্তানদের প্রধান কর্তব্য।

মাতাপিতা যা করতে বলেন তা করার চেষ্টা করা এবং যা করতে নিষেধ করেন তা না করা উচিত। এভাবে আদেশ পালন করলে সন্তানেরও মঙ্গল হয়, মাতাপিতাও সন্তুষ্ট থাকে। মাতাপিতা আশা করেন, তাঁদের সন্তান শিক্ষিত ও চরিত্রবান হোক। তাই নিজেদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা এবং চরিত্রবান করে গড়ে তোলা সন্তানদের কর্তব্য। মাতাপিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাঁদের সেবা করা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা সন্তানের অন্যতম কর্তব্য।

আরও পড়ুনঃ  বাংলা রচনাঃ ছাত্রজীবন অথবা, ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য

মাতাপিতা বুড়ো হয়ে গেলে তাঁদেরকে ছেলেমেয়েদের ওপর নির্ভর করতে হয়। এ সময় তাঁদের যত্ন নেওয়া, তাঁদের সুখ-দুঃখের প্রতি খেয়াল রাখা ‘সন্তানদের উচিত। তাঁরা যাতে কষ্ট না পান, যাতে আনন্দে দিন কাটাতে পারেন, সেদিকে অবশ্যই দৃষ্টি রাখতে হবে। মাতাপিতার প্রতি কটূক্তি করা, কিংবা মনে কষ্ট পান এমন কোনো আচরণ করা সন্তানদের মোটেই উচিত নয়।

মাতাপিতা শৈশবে যেভাবে আদর-যত্ন করে সন্তানদের বড় করে তুলেছেন, তেমনি বৃদ্ধ বয়সে তাঁদেরকে আদর-যত্নের মধ্যে রাখা সন্তানদের কর্তব্য। বৃদ্ধ মাতাপিতার ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব সন্তানদেরই নেওয়া উচিত। মাতাপিতা হঠাৎ কোনো ভুল-ত্রুটি করে ফেললে সে জন্য রাগ করা কিংবা কোনো খারাপ আচরণ করা সন্তানদের উচিত নয়।

দৃষ্টান্তঃ

মাতাপিতার অবাধ্য হয়ে জীবনে উন্নতি করতে পেরেছেন এমন দৃষ্টান্ত বিরল। পৃথিবীতে যাঁরা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন, যাঁরা স্মরণীয় হয়ে আছেন তাঁরা সকলেই মাতাপিতার প্রতি অনুগত ছিলেন। হযরত বায়েজিদ বোস্তামি, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, স্যার সৈয়দ আহমদ প্রমুখ মহাপুরুষদের মাতৃভক্তি ছিল অসাধারণ। যে সন্তান মাতাপিতার অবাধ্য তার পতন অবশ্যম্ভাবী।

উপসংহারঃ

মাতাপিতা যত দিন বেঁচে আছেন তত দিন সন্তানরা হয়তো বুঝতে পারে না যে তাঁরা কত আপনজন। কিন্তু মাতা কিংবা পিতার মৃত্যু হলে তাঁদের অভাব সন্তানেরা মর্মে মর্মে বুঝতে পারে। মাতাপিতার প্রতি কর্তব্য পালন করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো তাঁরা যেভাবে চান সেভাবে নিজেদেরকে গড়ে তোলা। মাতাপিতার মুখে হাসি ফেটানোর চেষ্টা করাই সর্বপ্রধান কর্তব্য।

এই রচনাগুলি দেখতে পারেন>>>

  1. আমাদের এখানে পড়ুন সময়ানুবর্তিতা রচনা ২০ পয়েন্ট | সময়ানুবর্তিতা রচনা
  2. সময়ের মূল্য রচনার ২০ পয়েন্ট | সময়ের মূল্য রচনা
  3. কমন পড়বেই আমাদের বিদ্যালয় রচনা ক্লাস ৬ | আমাদের বিদ্যালয় রচনা
  4. স্বদেশ প্রেম রচনা ২০ পয়েন্ট | স্বদেশ প্রেম রচনা
  5. শেখ রাসেল রচনা ২০০ শব্দ | আমার ভাবনায় শেখ রাসেল রচনা
পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা Class 7

রচনা ৩ঃ পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা

সূচনাঃ

এ পৃথিবীতে সন্তানের কাছে সবচেয়ে আপনজন হলেন মাতা-পিতা। তারা আমাদের জন্ম দেন এবং পরম মমতায় লালন পালন করেন। তাই প্রত্যেকটা সন্তানের উচিত মাতা পিতার প্রতি যথাযথ কর্তব্য পালন করা।

পিতামাতার অবদানঃ

পিতামাতার জন্যেই সন্তান এই সুন্দর পৃথিবীর রূপ-রস, আরাম আয়েশ সুখ স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছে। শিশুসন্তানের প্রতি পিতামাতার অবদান অপরিসীম ও বর্ণনাতীত। মা অতিকষ্টে দশ মাস দশ দিন সন্তানকে তাঁর গর্ভে ধারণ করেন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই মা অসুস্থ ও দুর্বল শরীর নিয়ে সন্তানের সেবাযত্ন করেন। মাতৃস্তন্য পান করে শিশু বেঁচে থাকে। সন্তানের জন্য মায়ের চিন্তার যেন শেষ নেই। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন তাঁর পল্লী জননী কবিতায় লিখেছেনঃ-

রাত থমথম স্তব্ধ নিঝুম ঘন ঘোর আন্ধার
নিঃশ্বাস ফেলি তাও শোনা যায়, নাই কোথা সাড়া কার। রুগ্ন ছেলের শিয়রে বসিয়া একেলা জাগিছে মাতা
করুণ চাহনি ঘুম ঘুম যেন ঢুলিছে চোখের পাতা শিয়া কাছে নিবু নিবু দীপ ঘুরিয়া ঘুরিয়া জ্বলে
তারি সাথে সাথে বিরহী মায়ের একেলা পরান দোলে।

নিজেদের আরাম আয়েশ ভুলে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমের ভিতর দিয়ে পিতামাতা সন্তানদের বড় করে তোলেন এবং লেখাপড়া শেখান। সন্তানের আহার যোগাড় করেন। সন্তান যাতে সুশিক্ষা লাভ করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেজন্যে পিতামাতার চেষ্টার অন্ত থাকে না।

প্রত্যেক পিতামাতাই তাঁদের সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে চান। পিতা নিজে কষ্ট স্বীকার করেও সন্তানের জন্য ধন সঞ্চয় করে যেতে চেষ্টা করেন। তাঁদের এই নিঃস্বার্থ ত্যাগের তুলনা নেই। সন্তানের কোনো অসুখবিসুখ হলে পিতামাতার তখন চিন্তার শেষ থাকে না। আহার নিদ্রার কথা ভুলে গিয়ে তাঁরা তখন সন্তানের আরোগ্য লাভের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে হাত তুলে দোয়া চান সন্তানের জন্যে। এমনকি নিজের জীবনের বিনিময়ে তাঁরা সন্তানের জীবন ভিক্ষা চান। মাতাপিতার এ অবদান অতুলনীয়।

পিতামাতার প্রতি কর্তব্যঃ

মানুষের মতো মানুষ হয়ে পিতামাতার মুখ উজ্জ্বল করা সন্তানের অন্যতম কর্তব্য। সন্তান যদি সুশিক্ষিত হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে সমর্থ হয় ও সুনাম অর্জন করতে পারে তবে পিতামাতা সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট হন এবং গৌরববোধ করেন। পিতামাতার সন্তান হিসেবে প্রত্যেক ছেলেমেয়ের মনে রাখা উচিত যেহেতু বাবা মা সবসময় সুখে দুঃখে বিপদে আপদে সব অবস্থায় তাদের কল্যাণ কামনা করেন সেহেতু তাদের উচিত পিতামাতার উপদেশ নির্দেশ মেনে চলা।

আমরা কিন্তু অনেক সময় পিতামাতার আদেশ নির্দেশ পালন করি না। বরং কখনো কখনো তাঁদের উপদেশের বিপরীত কাজ করে থাকি। এতে পিতামাতা যে কতটা মানসিক কষ্ট ভোগ করেন তা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি? সন্তানের অপরিণত বুদ্ধিই পিতামাতার কষ্ট ভোগের কারণ হয়। সন্তানের বয়স কম থাকলে পিতামাতার নির্দেশ ও উপদেশ পালনের মাধ্যমেই তারা নির্ভুল পথে চলতে পারে। সন্তান ছোট হোক বড় হোক বুদ্ধিমান কিংবা বুদ্ধিহীন হোক পিতামাতা সব সময় তার মঙ্গল কামনা করেন।

সন্তান যদি পিতামাতার উপদেশ ও নির্দেশ মেনে চলে তবে সেটা যেমন সন্তানের জন্য মঙ্গলজনক তেমনই সমাজের জন্যেও কল্যাণকর।সন্তান যদি চরিত্রবান হয় জ্ঞানীগুণী বলে সমাজের প্রশংসা পায় তাহলেই পিতামাতার ঋণ কিছুটা পরিশোধ হতে পারে। তাই পিতামাতার মুখ। উজ্জ্বল করা ও তাঁদের গৌরব বৃদ্ধি করার জন্য প্রত্যেক সন্তানেরই তৎপর হওয়া উচিত। কিন্তু সন্তান যদি পিতামাতার অবাধ্য হয় এবং উচ্ছৃঙ্খলতার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয় তবে তার জীবনে সাফল্য অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

পিতামাতার আদেশ নির্দেশ অমান্য করে চলার অর্থ হচ্ছে জীবনে ব্যর্থতাকে বরণ করা। ফলে তাদের চারিত্রিক অধ্যপতন ঘটবে আর সমাজের কাছে নিন্দার পাত্র হবে। পিতামাতা সন্তানের মঙ্গলের কথা ভেবে তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে বলেন। সন্তান যদি লেখাপড়ায় ফাঁকি দেয় এবং মানুষ না হয়ে অমানুষ হয়, তবে তারা বড় হয়ে অর্থাভাবে কষ্ট ভোগ করে। তখনই তারা পিতামাতার উপদেশের তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রচনা ২০ পয়েন্ট | বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রচনা

কিন্তু তখন শুধু অনুতাপে দগ্ধ হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।পিতামাতার সেবা শুশ্রুষা করা সন্তানের প্রধান কর্তব্য। তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এতটুকু দেরি করা যাবে না, কেননা তাতে তাঁরা মনে কষ্ট পেতে পারেন। তাঁদের সেবাযত্নের বিন্দুমাত্র ত্রুটি যাতে না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে। পিতামাতার বৃদ্ধ বয়সে উপযুক্ত সন্তান স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে গেলে সে মহাপাপী হবে।

সন্তানের সবসময় মনে রাখতে হবে শিশুকালে পিতামাতা তাকে মানুষ করে তোলার জন্য যত্ন নিয়েছেন লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন এবং বড় হলে সুখে শান্তিতে বসবাসের জন্য যথারীতি চেষ্টা চালিয়েছেন। তাই আজীবন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেই সন্তানের কর্তব্য পালন করা হবে না বৃদ্ধ বয়সে পিতামাতা যাতে সুখে শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারেন সেদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিতে হবে এবং তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি কোনো সন্তান পিতামাতার প্রতি অযত্ন ও অবহেলা দেখায় তবে তার পাপের শেষ থাকবে না।

পিতামাতার প্রতি সম্মানঃ

প্রত্যেক ধর্মেই পিতামাতাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে এবং তাঁদের সন্তুষ্টি বিধান করতে বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরিফে ভক্তি ও শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে আল্লাহর পরেই পিতামাতার স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। আল্লাহ বলেছেন যে মাতাপিতাকে সন্তুষ্ট করে সে আমাকে সন্তুষ্ট করে। মহানবি হযরত মুহম্মদ (স) বলেছেন মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত। হিন্দুশাস্ত্রে আছে পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম। জননী আর জন্মভূমিকে স্বর্গের চেয়েও পবিত্র ও পূজনীয় বলে বিবেচনা করে সংস্কৃতে বলা হয়েছে জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী। হজরত আবদুল কাদের জিলানী (র) হজরত বায়েজীদ বোস্তামী ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখ পিতামাতার বাধ্য ও অনুগত ছিলেন। এজন্যে তাঁরা আজ স্মরণীয় হয়ে আছেন। সুতরাং তাঁদের মনে কষ্ট হয় এমন কাজ কখনো করা উচিত নয়। নানা ধর্মে ও নানা মতে ব্যস্ত পিতামাতার এই সম্মান রক্ষার দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রত্যেক মানব সন্তানকে সচেতন হওয়া দরকার।

মাতৃষণঃ

সন্তানের জন্য মা যে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করেন তা কল্পনাতীত। ভূমিষ্ঠ হবার পূর্ব থেকে শুরু করে যতদিন সন্তান সাবলম্বী না হয় ততদিন মা তাকে সর্বক্ষণ সযত্নে আগলে রাখেন। সন্তানের সামান্যতম সুখের জন্য একমাত্র মাতাই তাঁর জীবন উৎসর্গ করে দিতে সদা প্রস্তুত থাকেন। তাই মাতৃঋণ অসমতুল্য।

পিতৃঋণঃ

পিতা সন্তানকে নিজ জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসেন। কীভাবে সন্তান সুস্থ থাকবে সবল থাকবে সুশিক্ষা পাবে দেশ ও দশের কল্যাণে কাজ করবে তার জন্যে পিতার চিন্তার অবধি থাকে না।

সন্তানের কর্তব্যঃ

মাতাপিতার প্রতি আমাদের কর্তব্যের সীমা পরিসীমা নেই। তাঁদের স্নেহের ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। আমাদের কথায় আচরণে বা কাজে তাঁরা যেন মনে কষ্ট না পান এটাই আমাদের মাতাপিতার প্রতি প্রধান কর্তব্য হওয়া উচিত। আমাদের এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে তাঁরা দুঃখ পান। যে কাজ করলে তাঁরা খুশি হবেন সুখ পাবেন যেভাবে চললে তারা ভালোবাসবেন ঠিক সেই কাজ করা এবং সেভাবে চলাই মাতাপিতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য। বৃদ্ধাবস্থায় মাতাপিতা যখন অসহায় হয়ে পড়েন তখন সন্তানের উচিত তাঁদের সেবা যত্ন ভরণ পোষণ ও লালন পালন করা।

কর্তব্যের দৃষ্টান্তঃ

পৃথিবীতে যে সকল মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেছেন, তাঁরা সকলেই তাঁদের মাতাপিতার প্রতি শৈশবকাল থেকেই ভক্ত ও অনুগত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে হযরত ইউসুফ (আ) হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র)বায়েজিদ বোস্তামী (র)রামচন্দ্র এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম বিশেষভাবে স্মরণীয়।

উপসংহারঃ

মাতাপিতার স্নেহের আশ্রয় স্বর্গের চাইতেও শ্রেষ্ঠ স্থান। কোন মানুষের ইহলৌকিক সুখ সমৃদ্ধির জন্য মাতাপিতার প্রতি কর্তব্য সম্পাদন করা অত্যাবশ্যক।

এই রচনাগুলি দেখতে পারেন>>>

  1. আমাদের এখানে পড়ুন সময়ানুবর্তিতা রচনা ২০ পয়েন্ট | সময়ানুবর্তিতা রচনা
  2. সময়ের মূল্য রচনার ২০ পয়েন্ট | সময়ের মূল্য রচনা
  3. কমন পড়বেই আমাদের বিদ্যালয় রচনা ক্লাস ৬ | আমাদের বিদ্যালয় রচনা
  4. স্বদেশ প্রেম রচনা ২০ পয়েন্ট | স্বদেশ প্রেম রচনা
  5. শেখ রাসেল রচনা ২০০ শব্দ | আমার ভাবনায় শেখ রাসেল রচনা

রচনা ৪ঃ মা বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য

ভূমিকাঃ

পৃথিবীর যেকোন পিতা-মাতার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো তাদের সন্তান। প্রত্যেক আদর্শ পিতা-মাতাই সন্তানকে তাদের শরীরের অংশ বলে গণ্য করে নিজেদের সবটুকু দিয়ে তাকে লালন পালন করেন। পিতা মাতার স্নেহ, মায়া-মমতা ও ভালোবাসায় আমরা ছোট থেকে বড় হয়ে উঠি। আমাদের জীবনে প্রতিমুহূর্তে পিতা মাতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেন।

আমাদের ছোট থেকে জীবনের ভালো-মন্দ, সুখ-দুঃখের কথা সবার প্রথমে তারাই দায়িত্ব সহকারে চিন্তাভাবনা করেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমরা যেমন বড় হব এবং তেমনি পিতা-মাতার জীবনেও বার্ধক্য আসবে। সেই সময়ে আমাদের কর্তব্য হলো যে পিতা-মাতার সচেতন ছত্রছায়ায় আমরা বড় হচ্ছি, তাদের খেয়াল রাখা। তারা যে নিজেদের সবটুকু দিয়ে প্রতিদিন আমাদের খেয়াল রাখছেন, আমাদেরও দায়িত্ব নিজেদের সবটুকু দিয়ে পিতা-মাতার বার্ধক্য জীবনকে সুখের করে তোলা।

মা বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য

জীবনে পিতা-মাতার অবদানঃ

জীবনে পিতা-মাতা ছাড়া আমরা কিছুই নই। পিতা মাতার ছাড়া সন্তানের অস্তিত্ব কল্পনাই করা যায় না। মা সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন এবং জন্মের পর থেকে আমাদের জীবনের ন্যূনতম খুশিটুকুর খেয়াল রাখেন। অন্যদিকে পিতাকে সাধারণত আমরা আমাদের সুখের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থান করার উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত ঘাম ঝরাতে দেখি। তাই মা যেমন আমাদের জীবনের সকল দুঃখের আশ্রয়, পিতা তেমন আমাদের জীবনের পরম গুরু।

পিতা-মাতাই আমাদের জীবনের সর্বপ্রথম ও প্রধান আদর্শ। আমরা যখন অসুস্থ হই, তখন পিতা-মাতা রাত জেগে হলেও সেবা শুশ্রূষা করে আমাদের আরোগ্য কামনা করেন। প্রত্যেক পিতা-মাতা চান তাদের সন্তান যেন জীবনে বিদ্বান, স্বাস্থবান এবং সফল হয়। তাদের অকৃপণ অবদানের কথা মাথায় রেখে আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য হলো সর্বপ্রথম পিতা-মাতার এই স্বপ্নকে সফল করা।

ছাত্রজীবনে কর্তব্যঃ

পিতা-মাতার জীবন জুড়ে অনেক ত্যাগ স্বীকার ও কষ্ট সাধনের ফলেই আমাদের জীবন সুখের হয়ে ওঠে। সেই দিক থেকে চিন্তা করলে বর্তমান ছাত্র জীবন থেকেই পিতা মাতার প্রতি আমাদের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে যায়। তেমনি প্রাথমিক কর্তব্যটি হলো আমাদের নিয়ে পিতা-মাতা কি চায় তা চিন্তাভাবনা করা। ছাত্রজীবনে আমাদের দায়িত্ব আমাদের নিয়ে পিতা-মাতার সকল প্রকার স্বপ্নকে সফল করে তোলা। মনে রাখা উচিত পিতা-মাতা সবসময়ই সন্তানদের সবচেয়ে ভালোর জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই আমাদের উচিত পিতা-মাতার দেওয়া সেই সকল পরামর্শকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা। তাছাড়া পিতা-মাতা হলো সন্তানের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমাদের জীবনের সকল প্রকার সমস্যার কথা যদি আমরা সর্বপ্রথম পিতা-মাতাকে জানাই তাহলে তার সমাধান অনেক সহজ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ২০০ শব্দের | বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা

অবশ্য পালনীয় কিছু দায়িত্বঃ

পিতা-মাতা দীর্ঘ সচেতন পরিচর্যা, সদা জাগ্রত স্নেহদৃষ্টি এবং অজস্র ত্যাগ স্বীকার এর মধ্যে দিয়ে আমরা বড় হয়ে উঠি। বড় হয়ে যাওয়ার পর আমাদের মনে রাখা দরকার পিতা মাতাও তাদের বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন। তাই সেই সময় পিতা-মাতার দিকে সদা জাগ্রত স্নেহ দৃষ্টি রাখা আমাদেরও একান্ত কর্তব্য। আমরা যখন বড় হব তখন কাজের চাপে পিতা-মাতার কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা।

তাদের দীর্ঘ নিরলস প্রচেষ্টা ও অবদানে আমরা বড় হয়েছি এ কথা মাথায় রেখে প্রতিনিয়ত পিতা-মাতার সুখের কথা আমাদের চিন্তা করে যেতে হবে। আমাদের কারণে যাতে তাদের কখনো কষ্ট পেতে না হয় সেই খেয়াল রাখাও আমাদের কর্তব্য। তাছাড়া বার্ধক্যকালে তাদের শরীর যখন ভেঙ্গে পড়বে তখন পিতা-মাতার নিয়মিত পরিচর্যা করাও আমাদের পবিত্র দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি।

মনীষীদের দৃষ্টান্তঃ

যুগে যুগে পৃথিবীর ইতিহাসে যত বড় বড় মানুষ জীবনে সফল হয়েছেন, পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তারা সকলেই তাদের পিতা-মাতার একান্ত অনুগত ছিলেন। বইতে আমরা পড়েছি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের পিতা মাতার প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা। রামায়ণে আমরা দেখেছি পিতার আদেশ পালনের জন্য শ্রী রামচন্দ্র দীর্ঘ ১৪ বছর বনবাসে কাটিয়েছিলেন।

এছাড়াও ভারতবর্ষের বাইরে পৃথিবী জুড়ে নানা মহান ব্যক্তিত্বদের পিতা মাতার প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার কথা সুবিদিত। মনীষীরা আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন পিতা-মাতার অনুগত সন্তান সর্বদা এক সফল জীবনের অধিকারী হয়। তাই আমাদেরও জীবনে সাফল্য লাভ করতে হলে পিতা-মাতার প্রতি সকল প্রকার দায়িত্ব ও কর্তব্যকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

উপসংহারঃ

সত্যি বলতে পিতামাতা তাদের সন্তানের জন্য যা অবদান রেখে যান, তার ঋণ শোধ করা এক জীবনে সম্ভব নয়। পিতা-মাতারা নিজেদের ঋণ ফেরত পাবার আশাও করেন না। তারা শুধুমাত্রই ভালোবাসায় এবং স্নেহের বন্ধনে আমাদেরকে বড় করে তোলেন। তাই কেবলমাত্র ঋণ শোধ করবার চেষ্টা না করে আমাদের পরম কর্তব্য হলো পিতা-মাতার ইচ্ছাকে বোঝা এবং সেই ইচ্ছা যথাসম্ভব পালন করা। জীবনে যে কষ্ট তারা স্বীকার করেন তা শুধুমাত্র আমাদের ভালো রাখবার জন্যই। পিতা-মাতার স্বপ্ন পূরণ করে জীবনে সফল হয়ে প্রতিদানে তাদের খুশি রাখা, যথাসম্ভব সুস্থ রাখা এবং সার্বিকভাবে ভালো রাখাই একজন সন্তানের কর্তব্য হওয়া উচিত।

এই রচনাগুলি দেখতে পারেন>>>

  1. আমাদের এখানে পড়ুন সময়ানুবর্তিতা রচনা ২০ পয়েন্ট | সময়ানুবর্তিতা রচনা
  2. সময়ের মূল্য রচনার ২০ পয়েন্ট | সময়ের মূল্য রচনা
  3. কমন পড়বেই আমাদের বিদ্যালয় রচনা ক্লাস ৬ | আমাদের বিদ্যালয় রচনা
  4. স্বদেশ প্রেম রচনা ২০ পয়েন্ট | স্বদেশ প্রেম রচনা
  5. শেখ রাসেল রচনা ২০০ শব্দ | আমার ভাবনায় শেখ রাসেল রচনা

এই আর্টিক্যালের শেষ কথা

পিতা মাতার প্রতি কর্তব্য রচনা টি পড়ে আপনার কেমন লাগলো এবং আপনার ব্যক্তিগত মতামত আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানান। আমরা সবসময় আপনার হৃদয় অনুযায়ী সবচেয়ে সুন্দর রচনা উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। আপনার কাঙ্খিত প্রবন্ধটি পেতে প্রবন্ধের নাম কমেন্ট করুন যা এখানে নেই। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিবন্ধ যোগ করার চেষ্টা করব। সম্পূর্ণ নিবন্ধ পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি আমাদের সাথেই থাকবেন এবং আবার আসবেন।

  1. পিতামাতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য কি বলে আপনি মনে করেন?

    পিতামাতাদের অবশ্যই খুশি হতে হবে যে তাদের সন্তানরা তাদের কথা মেনে চলে। আপনাকে অবশ্যই আপনার পিতামাতাকে সম্মান করতে হবে, তারা যেই হোক না কেন এবং তাদের মর্যাদা যাই হোক না কেন। আপনাকে অবশ্যই তাদের কথাকে সম্মান করতে হবে এবং তাদের আদেশ পালন করতে হবে, রিজার্ভেশন ছাড়াই। তাহলেই সমাজ থেকে সম্মান পেতে পারবে।

  2. আপনার পিতামাতার প্রতি আপনার দায়িত্ব কমপক্ষে ১০০ শব্দে উল্লেখ করুন।

    আমাদের উচিত তাদের সাথে সম্মানের সাথে আচরণ করা এবং তাদের আন্তরিকভাবে ভালবাসা। তারা অসুস্থ হলে আমাদের তাদের যত্ন নেওয়া উচিত। আমাদের বাবা-মা যখন বৃদ্ধ হয়ে যায়, তখন তাদের আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। আমরা যদি আমাদের পিতামাতাকে তাদের বৃদ্ধ বয়সে পাই, তবে তাদের নিষ্ঠার সাথে সেবা করা এবং তাদের জন্য সমস্ত আরামের ব্যবস্থা করা আমাদের কর্তব্য।

  3. পরিবারের প্রতি আমার দায়িত্ব কি?

    আপনার বাচ্চাদের যত্ন নিন। ছোট ভাইবোনদের তত্ত্বাবধান। নিয়মিতভাবে একজন দাদা-দাদি বা বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়কে সহায়তা করা। গৃহস্থালির কাজের যত্ন নেওয়া যেমন রান্না করা, পরিষ্কার করা এবং নিয়মিত কাজ চালানো।

  4. সন্তানদের দায়িত্ব কি?

    তাদের অনুভূতি এমনভাবে প্রকাশ করুন যাতে অন্য মানুষ বা জিনিসগুলিকে আঘাত না করে। যদি তাদের বাবা-মা তাদের এমন কিছু করতে বলে যা সঠিক মনে হয় না, কথা বলুন। তাদের প্রয়োজন হলে সাহায্যের জন্য জিজ্ঞাসা করুন।

  5. ভালো পিতামাতার গুরুত্ব কি?

    গবেষণা দেখায় যে ইতিবাচক অভিভাবকত্ব শিশুদের স্কুলে আরও ভাল করতে, কম আচরণগত সমস্যা এবং শক্তিশালী মানসিক স্বাস্থ্যে সহায়তা করে। নিউরোসায়েন্টিস্টরা আবিষ্কার করেছেন যে ইতিবাচক প্যারেন্টিং বয়ঃসন্ধিকালে আবেগ এবং জ্ঞানের সাথে যুক্ত মস্তিষ্কের আরও ভাল কার্যকারিতায় অবদান রাখে।

  6. বাবা মায়ের সন্তানদের ভালোবাসার দায়িত্ব কি?

    যথেষ্ট অভিজ্ঞতামূলক প্রমাণ রয়েছে যে প্রেমের অভাব একটি শিশুর মানসিক, জ্ঞানীয়, সামাজিক এবং শারীরিক বিকাশের ক্ষতি করতে পারে। এই বিবেচনায়, পিতামাতারা তাদের সন্তানদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ এবং প্রেমময় ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িত থাকার ক্ষমতা বিকাশের চেষ্টা করতে বাধ্য।

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link