মঙ্গল গ্রহে জীবন ছিলো তা অনেকেই জানেন না। যারা জানে না তাদের জন্য আজ এই পোষ্ট। আমি এখানে ভিডিও তথ্য সহ উল্লেখ করে দিব আসলে মঙ্গলে কিভাবে জীবনের অবসান হয়েছে। আমাদের এই ইনফরমেটিভ পোষ্টগুলি আপনাদের সত্যি ভালো লাগলে আমাদের অন্যান্য পোষ্টগুলি পড়ার অনুরোধ রইলো।
বিস্তারিত জানতে ভিডিও তথ্যটি দেখতে পারেন। ভালো লাগলে চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করবেন।
মঙ্গল গ্রহ, যা বর্তমানে শুকনো এবং নির্জন জায়গা। যেখানে জীবনের কোনো অস্তিত্ব নেই। কিন্তু আজ থেকে প্রায় বিলিয়ন বছর আগে মঙ্গল গ্রহ এমন ছিলোনা। সে সময় মঙ্গল গ্রহে বড় বড় সমূদ্র এবং নদীও ছিলো।
এছাড়া এই লাল গ্রহে গাছপালাও ছিলো। হয়ত সেখানে তখন জীবনের অস্তিত্বও ছিল। যা আমরা এখনো জানতে পারিনি। আর এই রহস্য জানার জন্য মানুষ কয়েক দশক ধরে এই লালগ্রহে বিভিন্ন মিশন পাঠিয়েছে।
আর এটি জানার জন্য চেষ্টা করছে যে, আসলে মঙ্গল গ্রহের সাথে কি হয়েছিলো?
যারফলে আজ এত শুখনো এবং নির্জন হয়ে গেছে। কারন অনেক বছর রিসার্চের পর আমরা এমন কিছু পাই যে, যা এই কথার সংকেত দেয় যে, কখনো হয়ত মঙ্গল গ্রহ বসবাসের উপযোগি ছিল।
যেমন নাসার পার্সেভিয়ারেন্স রোভার একটি তথ্য পাঠিয়েছিলো। যেটায় অনেকগুলো পাথরের সমষ্টি দেখা যায়। যার আকার এমন, যা বড় এবং গভীর নদী বয়ে যাবার কারনে সৃষ্টী হয়।
কিন্তু বর্তমানে মঙ্গল্গ্রহে জলের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু এই গ্রহে “ভালিস মেরিনারি”(Valles Marineris) নামক এক জায়গা আছে, যা ৪০০০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আর এই জায়গার মাটির নিচে জলের এক বিশাল ভান্ডার রয়েছে। যা ৭ কিলোমিটার গভির পর্যন্ত বিসৃত। আর এসকল তথ্য প্রমান বিজ্ঞানীদের ভাবতে বাধ্য করে যে, অতীতে মঙ্গল গ্রহ আজকের মত অবস্থা কখনোই ছিল না।
যে কারনে ধ্বংস হলো মঙ্গল গ্রহে জীবন
আজ থেকে প্রায় ৪ বিলিয়ন বছর আগে মঙ্গল গ্রহের কোর ঠান্ডা হতে থাকে। যার ফলাফল হিসাবে এই গ্রহের ম্যাগনেটিক ফিল্ড ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আপনাদের বলে রাখা ভালোঃ যেকোনো গ্রহের ম্যাগনেটিক ফিল্ড এক সুরক্ষা বলয়ের ন্যায় কাজ করে। যা সূর্যের থেকে আসা সোলার উইন্ড এবং রেডিয়েশন থেকে সেই গ্রহকে বাচিয়ে রাখে।
আর সেজন্য মঙ্গলগ্রহের ম্যাগনেটিক ফিল্ড শেষ হওয়ায় এই গ্রহের এটমসফিয়ার ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে যায়। এতে থাকা সকল নদনদী-সমূদ্র ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। এক সময় এই মঙ্গলগ্রহ সবুজশ্যামল ছিলো, আর তা এখন শুখনো এবং নির্জন জাগায় পরিনত হয়েছে।
অর্থাৎ মঙ্গলগ্রহের অবস্থা আজ এতোই খারাপ যে, আমরা মানুষ সেখানে বিনা স্পেস স্যুটে ১মিনিটও বাচতে পারব না।
আমাদের মতামত নিচে দিলাম,
অর্থাৎ আমাদের যদি ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহে থাকতেউ হয়, তবে আমাদের হ্যাবিটেবল কলোনি নির্মান করতে হবে। যা আমাদের ক্ষতিকারন রেডিয়েশন থেকে বাচাতে পারবে, এরসাথে এই কলোনিতে আমরা চাষাবাদও করতে পারব। যাতে আমরা মানুষ, মঙ্গলগ্রহে অনেক সময় পর্যন্ত টিকে থাকতে পারি।
বন্ধুরা আপনাদের কি মনে হয়? আমরা কি মঙ্গল গ্রহে থাকতে পারব? নাকি না? কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন। আপনি এটি পড়ে দেখুনঃ যেভাবে আমাজন নষ্ট করবে পৃথিবীর ভারসাম্য।