হরতালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কী বন্ধ হবে: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্তমানে দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। আবারও অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। ধর্মঘটের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে কি না জানতে চান শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী বলেছে তা আমরা আপনাদের জানাচ্ছি এই ব্লগে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। যেখানে হরতাল-অবরোধ হচ্ছে। ফলে জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের অবস্থা খুবই খারাপ, রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সব এলাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ খোলা রাখলেও সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। কিন্তু গ্রামের স্কুল-কলেজের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন – শিক্ষার্থীরা সেখানে স্বাভাবিকভাবে উপস্থিত বাড়ছে।
কিন্তু ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে স্কুল-কলেজে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ অবরোধ ও ধর্মঘটের কারণে সড়ক বন্ধ থাকায় কোনো গণপরিবহন চলছে না।
আরও পড়ুন: অল্প বিনিয়োগে দুর্দান্ত পাঁচটি খেলনা ব্যাবসার আইডিয়া, কম পুঁজি এবং খাটনিও কম – এখনি জানুন।
যার কারণে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ছেড়ে স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। এ অবস্থায় সামনে তাদের বার্ষিক পরীক্ষাও রয়েছে। এখন বার্ষিক পরীক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
তবে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য দেয়নি। যেহেতু অবরোধের পর অবরোধ আবার দেওয়া হচ্ছে। জনজীবনে অবশ্যই এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে, তা না হলে স্বাভাবিকভাবেই স্কুল-কলেজ খোলা থাকবে। এই ক্ষেত্রে যে সমস্ত শিক্ষার্থী স্কুলে থাকতে পারে তাদের অবশ্যই কলেজে থাকতে হবে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আর যারা পারবে না, তাদের পড়ালেখায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে।
রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়নরত তিন কোটির বেশি শিক্ষার্থী প্রাণহানির মুখে পড়তে পারে। তাই এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবা উচিত, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জীবন ধ্বংস না হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সমুদ্র জয় রচনা, পড়ুন এবং শিখুন (বাংলা প্রবন্ধ রচনা)।
আপনাদের মতামত কি তা আমাদের জানান। আপনারা কি হরতাল চান নাকি চান না?