১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা | ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা

১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা

আমি আপনাদের কি বলব জানিনা,  আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা। যারা ১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা খুজছেন তাদের জানাই আমাদের এই পোষ্টে স্বাগতম। এই পষ্টে আমরা ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস এর বক্তব্য সম্মন্ধে জানতে পারব। যা আপনাদের জন্য নিচে দিয়ে দিব।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা
১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা

জাতীয় শোক দিবস হচ্ছে ১৫ আগস্ট। আসন্ন ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা নিয়ে আপনাদের নিকট পোষ্ট হাজির করলাম। এই নিবন্ধে আমরা আপনাদের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভাষণ, বক্তৃতা ও কবিতা লেখা শেয়ার করবো। শোকাবহ এই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য খুবই কলঙ্কময় একটি মাস।

আপনি যাতে 15 আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সঠিক বক্তৃতা প্রদান করতে পারেন সেই জন্য সহজ ভাষায় এই পোস্টে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তৃতা এর ডেমো প্রদান করা হলো। আপনি যদি কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান তবে আমাদের এই ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা | জাতীয় শোক দিবস পোষ্টি পড়তে পারেন।

আমি একজন স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিসেবে ১৫ আগস্ট ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই। এই পোস্ট ভালোভাবে পড়লে ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ কিভাবে দিতে হয় সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পাবেন।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না, ১৫ আগস্ট রাতে এই মহান বাঙালি নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ১৫ ই আগস্ট এর বক্তব্য বা ১৫ ই আগস্ট এর ভাষণ এ আপনি কিভাবে সহজ ভাষায় এই দিনটিকে উপস্থিত বক্তৃতায় পেশ করবেন সেই সম্পর্কে জানবেন এখানে।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা
১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা

১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা

15 আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা, ভাষণ আপনি তখনি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন যখন আপনি ঐ দিনের পুরো ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখবেন ও পাবেন। শোকের মাস আগস্ট সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনীতিবিদের এই কমবেশি জানা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের জন্য এই দিনটি খুবই দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে

১৫ আগস্ট ইতিহাসের এই দিনে অনেক ঘটনাই ঘটেছে তবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালো দিন হিসেবে পালন করা হয় ১৫ ই আগস্টকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে মুছে ফেলতে একটি নয়, দুটি ঘটনা ঘটেছে আগস্ট মাসে। তাই 15 আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য খুবই বেদনাদায়ক একটি দিন।

এই পোষ্ট রিলেটেড অন্যান্য পোষ্ট>> 

  1. বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ১০০০ শব্দ | বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা
  2. শেখ রাসেল রচনা ২০০ শব্দ | আমার ভাবনায় শেখ রাসেল রচনা
  3. বিজয় দিবস রচনা ২০ পয়েন্ট | বিজয় দিবস রচনা
  4. ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা | জাতীয় শোক দিবস
  5. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা
  6. স্বাধীনতা দিবস রচনা ২০০ শব্দ | মহান স্বাধীনতা দিবস রচনা

শোকাবহ ১৫ আগস্ট

শোকের আগষ্ট বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জার মাস। এ মাসেই সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বাঙালি জাতিকে নেতা ও মেধাশূন্য করার প্রয়াস বরাবরই করছিল শত্রুপক্ষ।

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে। সেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে বেঁচে যান, তবে আওয়ামী লীগের ৩১ জন বিশিষ্ট নেতাকর্মী নিহত হন আহত হন আরো শত শত নেতা কর্মী।

১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা
১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা

15 আগস্ট সম্পর্কে কিছু কথা

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদেরকে ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা দিতে হয়। কিন্তু অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ 15 আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ভাষণ দিতে গিয়ে ১৫ ই আগস্ট এর মূল কথাগুলোই তুলে ধরতেই ভুলে যান। তাই ১৫ই আগস্ট উপলক্ষে উপস্থিত বক্তৃতা ভাষণ হিসেবে কিভাবে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এখনই।

এই পোষ্ট রিলেটেড অন্যান্য পোষ্ট>> 

  1. বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ১০০০ শব্দ | বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা
  2. শেখ রাসেল রচনা ২০০ শব্দ | আমার ভাবনায় শেখ রাসেল রচনা
  3. বিজয় দিবস রচনা ২০ পয়েন্ট | বিজয় দিবস রচনা
  4. ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা | জাতীয় শোক দিবস
  5. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা
  6. স্বাধীনতা দিবস রচনা ২০০ শব্দ | মহান স্বাধীনতা দিবস রচনা

15 আগস্ট সম্পর্কে বক্তব্য- ১ 

উপস্থিত প্রধান অতিথি, আমন্ত্রিত সকল অতিথিবৃন্দ এবং উপস্থিত সুধিবৃন্দ আসসালামুয়ালাইকুম। সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে যিনি আমাকে আপনাদের সামনে যথাসময়ে কিছু কথা বলার উপযুক্ত সুযোগ দিয়েছেন। সেই সাথে আরো কৃতজ্ঞতা জানাই এই মহান অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদেরকে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে এবং আমাকে এই মহতি অনুষ্ঠান ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

সেই সাথে উপস্থিত সকলকে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন থেকে জানাতে চাই আজকে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তা খুবই মর্মান্তিক এবং হৃদয় বিদারক একটি ঘটনা। সমগ্র বিশ্বে এমন ঘটনা খুবই বিরল। কেননা যিনি একটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য নিজের জীবনের অর্ধেক সময় জেলে কাটিয়েছেন তাকেই সপরিবারে হত্যা করা হলো সেই দেশে।

যা কিনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এবং বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম ও নিস্রংস একটি ঘটনা। আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আজকের এই শোকাবহ দিনে আমি কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  Khatian search: অনলাইনে জমির রেকর্ড যাচাই কিভাবে করবেন, জেনে নিন

প্রিয় সুধীবৃন্দ,

হ্যাঁ আমি কথা বলতে চাচ্ছি ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস নিয়ে। বাংলার ইতিহাসে ১৫ ই দিবস একটি কালো অধ্যায়। শুধু ১৫ই আগস্ট নয় আরো একটি কারণে আগস্ট মাস বাঙালি হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ঘটায় প্রতিবছর।

আসলে ১৫ ই আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা প্রদান করে সেই দিনের ভয়াবহ তাকে ভাষায় প্রকাশ করা খুবই দুষ্কর ব্যাপার এবং কেননা এই দিনের জঘন্য ঘটনাগুলো বর্ণনা করতে গেলে আজও যেকোনো দেশ প্রেমিক গা শিউরে ওঠে। আমি একজন সাধারণ ক্ষুদ্র মানুষ আমি তো এর বর্ণনা করার মত যথার্থ যোগ্যতা রাখি না। তথাপিও আপনাদের সামনে আজকের দিন ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানে শোকাবহ এই দিন সম্পর্কে কিছু আলোচনা করতে চাই।

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাঙালি জাতির সুযোগ্য সন্তান এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পরিবারের সকল সদস্যদের কে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্য নিঃসংশ ভাবে হত্যা করে। শুধু তাই নয় হত্যাকারীরা এতটা নির্দয় ছিল যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্ব কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল তারা হত্যা করে ফেলেছে।

ঘাতকরা এতটাই বিপথগামী ছিল যে আট বছরের একজন সত্য শিশুকেও গুলি করতে দ্বিধা করেনি, নরপশুরা কতটা নির্দয় নির্মম হলে একজন শিশুকে পর্যন্ত হত্যা করতে পারে তা কল্পনাতীত!

তারা ১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। সেই সাথে বাংলাদেশে বিশৃংখল পরিবেশে তৈরি করে এই দেশকে আরও পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করে।

অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে যারা ক্ষমতা দখল করে নেয়, তারাও দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেনি। এরপরে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। এবং ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকান্ডের ব্যাপারটি রাজনৈতিকভাবে দমিয়ে রাখা হয়।

প্রিয় সুধীবৃন্দ ১৫ই আগস্ট সম্পর্কে আপনাদের আরো জানাতে চাই

তৎকালীন সরকার, যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পরিকল্পনা করে এবং সফলভাবে তার সম্পন্ন করে তাদেরকে সরকারি উচ্চ প্রদস্থ পদে ও বিদেশী দূতাবাসগুলোতে চাকরি প্রদান করে। এছাড়াও ১৫ই আগস্টের মত ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের জন্য তাদের সাধারণ গণ ঘোষণা করা হয় এবং এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অনেকের নাম নথি থেকে মুছে ফেলা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য দুই কন্যা জননেত্রী ও জনদরদি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা অধ্যয়নরত অবস্থায় লন্ডনে থাকার কারণে সে যাত্রায় বেঁচে যান। তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে ৩৫ বছর পরে হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন হয় সোনার বাংলাদেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করার মাধ্যমে এদেশে আইনের প্রতিষ্ঠা করে।

যিনি মাতৃভূমির জন্য কেঁদেছেন, কারাবরণ করেছেন, তার অসীম নেতৃত্বগুনে সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন, সমগ্র জাতিকে একত্রিত করে দেশকে স্বাধীন করেছেন।

সেই মহানায়ককে কেন স্বাধীন বাংলাদেশে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো! এটি বাঙালি জাতির জন্য খুবই লজ্জার এই দেশের জন্য লজ্জার এবং চিরদিন বাঙালি জাতির কলঙ্কময় অধ্যায় হয়ে থাকবে এই দিনটি।

যাইহোক অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আবারো সঠিক পথে নিয়ে যাচ্ছেন।

আরো একবার অন্তরের অন্তস্থল থেকে আমি নিজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া করছি আপনারাও সবাই দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতের উঁচু মকাম দান করেন।

জিনি দেখে ছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন

যাই হোক আজকের এই দিনে আরো একবার স্মরণ করতে চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে ঐক্য নিয়ে মাঠে কাজ করছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আপনারা সবাই সহযোগিতা করবেন। আমার আরো বলার ছিল এই মহান ব্যক্তি সম্পর্কে, সময় কম থাকার কারণে ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা এখানেই শেষ করছি।

চলুন শোকাবহ এই মাসে আরো একবার প্রতিজ্ঞা করি বাংলাদেশকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। বাংলাদেশের উত্তরোত্তর মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।

সকলকে ধন্যবাদ।

15 আগস্ট সম্পর্কে বক্তব্য- ২ 

স্বাগতম সবাইকে, আজকের এই শোকাবহ দিনে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আবারও আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনুষ্ঠানের সভাপতি,পরিচালক ও নেতৃবৃন্দ এবং এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে শোকের এই মাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। 

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে স্বাধীন ভাবে নিজের মত প্রকাশ করছি এজন্য মহান নেতা ও তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে আমাকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দান করার জন্য আরেকবার কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

উপস্থিত সুধীবৃন্দ,

এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনারা সবাই অবগত, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও সমগ্র বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দিনে জাতির মহান নেতা কে স্মরণ করছে। তথাপিও আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিচ্ছি এবং আপনারা আমাদের পিছনে থাকা ব্যানার দেখে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে আজকে আমাদের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন এর কারণ কি? বা কেন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

একজন সচেতন বাঙালি হিসেবে আপনারা সকলেই জানেন যে, বাঙালি জাতির অস্তিত্ব যখন সংকটের পথে, যখন বাঙালি জাতি নির্যাতিত স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে বাঙ্গালী জাতিকে মুক্ত করার লক্ষ্যের রাজপথে নেমেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদর্শি নেতৃত্ব গুনে বাংলাদেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশকে রক্ষা করতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। সব শেষ ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ দেশকে রক্ষা করতে সকলকে আহবান জানিয়েছিলেন এবং একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে ঘোষণা করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের জাতীয় দিবস কবে পালিত হয় | বাংলাদেশের জাতীয় দিবস কোনটি

সম্মানিত সুধিবৃন্দ,

তারপরের ঘটনা আপনারা জানেন, সমগ্র পৃথিবীর স্বাধীনতার ইতিহাস বিবেচনায় বাঙালি জাতির মত এত আত্মত্যাগ কোন জাতি করেনি। দুর্ভাগ্য বাঙালি জাতির, আমরা একজন মহান নেতা কে হারিয়েছি আজকের এই দিনে। যিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য নিজের জীবনের বেশিরভাগ সময় জেলখানায় ছিলেন এবং মৃত্যু কেউ ভয় করেননি সেই জাতির কিছু বিপথগামী সদস্য তাকেই সপরিবারে হত্যা করল।

মূলত প্রত্যেক দেশেই প্রত্যেক জাতির মধ্যেই গাদ্দার বা মুনাফিক থাকে বাঙালি জাতীও আলাদা কিছু ছিল না অর্থাৎ বাঙ্গালীদের মধ্যে এমন কিছু পাকিস্তানের দোসর ছিল যারা কিনা উপরে উপরে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যশীল থাকলেও মূলত তারা ছিল পাকিস্তানের দোসর।

যাইহোক বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে বাংলাদেশ ভুল পথে পরিচালিত হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর। বিশ্বের বুকে আবারো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

যে মহান নেতার আত্মত্যাগের ফলে আজ আমরা স্বাধীন বাংলায় স্বাধীনভাবে চলাফেরা করছি এবং নিজের মত প্রকাশ করতে পারছি এজন্য আরো একবার ধন্যবাদ জানাই দেশের কৃতি সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে।

১৫ ই আগস্ট শোকের আজকের এই দিনে বক্তৃতা দেওয়ার মতো কিছুই নেই, তথাপিও আমি কিছু বর্ণনা ব্যাখ্যা করলাম। আসুন সবাই মিলে দেশ ও জাতির দুশমন এই অপশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলাদেশের মঙ্গল ও সমৃদ্ধি সাধনে এরা কোন ব্রাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

জনগণকে সাথে নিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। বাংলাদেশ থেকে, দুর্নীতি ,অন্যায়, ও অবিচার উৎখাত করে সোনার বাংলায় পরিণত করবো যা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন ছিল। এই আশা ব্যক্ত করে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।

সকলকে ধন্যবাদ।

জাতীয় শোক দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৩

আমি সবার আগে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এ অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের প্রতি- যাঁরা আমাকে এখানে প্রধান অতিথি হবার দুর্লভ সুযোগ করে দিয়েছেন। আজকে আমরা এ মহতী অনুষ্ঠানে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সমবেত হয়েছি জাতীয় শোক দিবস পালন করার জন্য।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে এক দল বিপথগামী সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর পরিবার ও আত্মীয়-পরিজনসহ নির্মমভাবে হত্যা করে মানব ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ ঘটিয়েছিল। সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দিনটিকেই জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই দিবসটি বাঙালী জাতি তাদের প্রাণপ্রিয় নেতা

বঙ্গবন্ধুর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধায় অভিভূত হয়, শোকাভিভূত হৃদয়ে শ্রদ্ধার অশ্রু নিবেদন করে।

সুধীবৃন্দ,

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বাঙালি জাতীর জন্য এক চরম কলঙ্কজনক অধ্যায়। আপনারা জানেন, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমা হানাদারদের বিরুদ্ধে জীবনপণ সংগ্রাম করে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের সগৌরব উত্তরণ ঘটিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রমের যে আহব্বান জানানো হয়েছিল তাতে সাড়া দিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বীর জাতি হিসেবে বাঙালি বিশ্বের বুকে অনন্য ইতিহাসের সৃষ্টি করেছে।

এর জন্য ত্রিশ লক্ষ বাঙালিকে আত্মহুতি দিতে হয়েছে। এই সংগ্রাম ও স্বাধীনতার পিছনে বঙ্গবন্ধুর সীমাহীন প্রেরণা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। অথচ ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পড়েই কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্যের উচ্চাকাঙ্খার জন্য তাঁকে সপরিবারে প্রাণ দিতে হলো। শোকসাগরে ভাসল সারা দেশবাসী। এতে সারা বিশ্ববাসী স্তম্ভিত হলো। স্বাধীন দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার যে উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেছিলেন তা এভাবেই মর্মান্তিক পরিণতি লাভ করে।

সুধীবৃন্দ,

আজকে শোক দিবস পালনের অর্থ বঙ্গবন্ধুর জন্য বেদনার অশ্রুপাত নয়। তিনি সোনার বাংলা গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা সফল করে তুলতে পারলে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে। দীর্ঘ দিন পড়ে হলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবার জাতির শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে জাতিকে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেয়ার সাধনায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।

বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যেমন পরম গৌরবের, তেমনি স্বাধীনতার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আত্মত্যাগের সাধনাও পরম আকাঙ্কিত। শিক্ষার অভাব ও দারিদ্র্য জন-জীবনকে বিপর্যস্ত করেছিল। স্বাধীন দেশে সাম্প্রতিককালে শিক্ষায় যেমন অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, তেমনি খাদ্যেৎপাদনেও স্বয়ংম্পূর্ণতা এসেছে। স্বাধীন দেশের মর্যদা সমুন্নত করে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। তাঁর মহান আদর্শকে প্রতিটি বাঙালরি জীবন প্রতিফলিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যদি সর্বশক্তি নিয়ে আত্মনিয়োগ করা যায় তাহলেই জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে।

সুধীবৃন্দ,

জাতীয় শোক দিবসকে শোক প্রকাশের দিন বলে বিবেচনা না করে অঙ্গীকারের দিন বলে বিবেচনা করতে হবে। সে অঙ্গীকার হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার। আসুন আমরা সেই মহৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের নিবেদিত করি।

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

এই পোষ্ট রিলেটেড অন্যান্য পোষ্ট>> 

  1. বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা ১০০০ শব্দ | বঙ্গবন্ধুর জীবনী বাংলা রচনা
  2. শেখ রাসেল রচনা ২০০ শব্দ | আমার ভাবনায় শেখ রাসেল রচনা
  3. বিজয় দিবস রচনা ২০ পয়েন্ট | বিজয় দিবস রচনা
  4. ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা | জাতীয় শোক দিবস
  5. বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা
  6. স্বাধীনতা দিবস রচনা ২০০ শব্দ | মহান স্বাধীনতা দিবস রচনা
১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা
১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা

১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা

আজ আমরা একটি গভীর শোকের দিনে আসছি, একটি দিন যেখানে আমরা আমাদের দেশের বীর শহীদদের স্মরণ করতে এবং তাদের বিচার এবং প্রতিরক্ষায় আমাদের গভীর শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস আমাদের দেশের ইতিহাসে একটি গৌরবময় দিন, একটি দিন যেখানে আমরা সত্যিকারে মূল্যায়ন করতে পারি তাদের সঙ্গে যে সমর্পণ আমরা করেছি।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৪ (সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার ২০২৪)

আমাদের বীর শহীদদের প্রতি আমরা একটি অগোচর ঋণ বাধিত আছি। তাদের অত্যন্ত সাহস, বীরত্ব এবং দেশপ্রেম আমাদের জীবনে একটি নতুন দিক দেয়ায় যেটি সব সময় আমাদের নিত্যজীবনে প্রভাবিত হয়। তাদের সঙ্গে আমরা একটি মহান ঐতিহ্য রক্ষা এবং সমর্পিত হওয়া বাধ্য করা উচিত, যাতে তাদের প্রাপ্ত শহীদি শখের মাধ্যমে আমরা দেশটির উন্নতি এবং উন্নতির পথে এগিয়ে যাতে পারি।

আমরা তাদের স্মরণে সমর্পিত হওয়া এবং তাদের প্রাপ্ত বীরত্বে অত্যন্ত গর্ব বোধ করি। তাদের যোগাযোগের মাধ্যমে, তাদের অদ্ভুত প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে, আমরা আমাদের দেশকে একটি নতুন উচ্চতায় এনে দিতে পারি, এমন একটি দেশ যেখানে সমগ্র জনগণ শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সামাজিক সমগ্রতা অর্জন করতে পারে।

আমরা আমাদের বীর শহীদদের স্মরণে উন্মুক্ত হতে পারবো, তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে আমরা পর্যাপ্ত শক্তি এবং প্রেরণা পেতে পারবো, এবং তাদের প্রতি আমরা সদা কৃতজ্ঞ থাকবো এবং তাদের মৌন প্রতিরক্ষা করতে সমর্থ থাকবো। আসুন আমরা একসাথে বিচার করি, আমরা কীভাবে আমাদের বীর শহীদদের স্মরণ বজায় রাখতে এবং তাদের স্বাধীনতা আদর্শ অনুসরণ করতে পারি। আমরা তাদের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যেতে পারি, আমাদের দেশকে একটি নতুন আওতা এবং উন্নত করতে পারি, যাতে তাদের সঙ্গে আমরা সদা সমর্থ থাকি।

আমরা এই দিনটি একটি বিশেষ দিন হিসেবে মনোনিবেশ করি এবং আমরা আমাদের বীর শহীদদের স্মরণে আমাদের সমর্থন এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করি।

উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ।

15 august er boktrita

১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথি সম্মানিত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সুধিমন্ডলী আসসালামু আলাইকুম…. সমবেত সকলের মত আমিও গোলাপ ফুল খুব ভালোবাসি, রেসকোর্স পার হয়ে যেতে সেই সব গোলাপের একটি গোলাপ গতকাল আমাকে বলেছে, আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি। আমি তার কথা বলতে এসেছি । শহীদ মিনার থেকে খসে পড়া একটি রক্তাক্ত ইট গতকাল আমাকে বলেছে । আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি আমি তার কথা বলতে এসেছি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধায় তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আজ শোকাবহ ১৫ই আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে বেদনা বিধুর ও বিভীষিকাময় একটি দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ভোরের আলো ফোটার আগেই বাঙালি জাতিকে মুক্তির আলো দেখানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল চক্রান্তকারী কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য। ঘাতকেরা ঐদিন নারী ও শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি। যা ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

বাংলাদেশের কোন বাঙালি তার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না এমন দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বঙ্গবন্ধুর। সেজন্যই সরকারি বাসভবনের পরিবর্তে তিনি থাকতেন তার প্রিয় ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিজ বাসভবনে। বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার এই বাড়িতে থেকেই বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ করার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন । সেদিন ঘাতকদের মেশিনগানের মুখে ও বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম, একটি ইতিহাস বাঙালি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানের জীবন ছিল সংগ্রামমুখর, সংগ্রামের মধ্যেই তিনি বড় হয়েছেন। ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ তখনকার বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি ছাত্র অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামী নেতা। শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফার প্রণেতা ছিলেন । ৭০ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এ দেশের গণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষায় পরিণত করেন। পাকিস্তানের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ষাটের দশক থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনাকে পরিণত হন।

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বজ্রদৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন।

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ।

এই ঘোষণায় উদ্দীপ্ত উজ্জীবিত জাতি স্বাধীনতা লড়াই ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। ৯ মাস এক সাগর রক্ত পেরিয়ে ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা, লাল-সবুজ পতাকার বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

আসুন আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। আজকের এই শোকাবাহ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ করছি আমার বক্তব্য ধন্যবাদ সবাইকে।

আমাদের শেষ কথা

15 আগস্ট সম্পর্কে কীভাবে বক্তৃতা দিতে হয় তার দুটি নমুনা আমরা আপনাকে দিয়েছি। এই দুটি নমুনা থেকে, আপনি আপনার পছন্দের 15 আগস্ট জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে বক্তৃতা রচনা তৈরি করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, উপরের আলোচনায় 1975 সালের 15ই আগস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যার ইতিহাস ও ঘটনার কিছু অংশ সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে।

সুতরাং আপনি যদি উপরে উল্লিখিত বক্তব্য অনুসরণ করেন, তাহলে ১৫ই আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে আপনার কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে মনে রাখবেন এখানে আমরা ১৫ আগস্ট সম্পর্কে কিছু নমুনা ভাষণ দিয়েছি। আপনি আপনার পছন্দের বাক্যাংশ দিয়ে আপনার বক্তৃতায় এই নমুনা বক্তৃতাটি আরও ভালভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।

সেজন্য বক্তৃতা দেওয়ার আগে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন মহান ব্যক্তিকে নিয়ে বক্তৃতা দিতে হলে সঠিক তথ্য জানতে হবে। তবে আপনার বাচনভঙ্গি সুন্দর হবে এবং সবার কাছে গ্রহন যোগ্য হবে। আশা করি ১৫ আগস্ট সম্পর্কে উপস্থিত বক্তৃতা নিয়ে আপনার আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না। আমাদের ফেসবুক পেইজ লিংক থেকে আমাদের সাথে যুক্ত হতে পারেন আপনিও।

 

FAQs: ১৫ আগস্ট সম্পর্কে বক্তৃতা

No schema found.

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link