HSC পরিক্ষার্থীরা বেশি ফেল করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে – কিন্তু কেনো?

HSC পরিক্ষার্থীরা বেশি ফেল করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে - কিন্তু কেনো?

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অর্থাৎ HSC 2023 exam এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ খাতা দেখছে শিক্ষকরা। শিক্ষকরা বলছেন যে এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে শিক্ষার্থীরা।

কেনো ফেল করেছে এত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা কোন সহযোগিতা শিক্ষার্থীদেরকে করছে কিনা তা নিয়ে আমরা জানতে চেয়েছিলাম শিক্ষকদের কাছে। এক্ষেত্রে শিক্ষকরা বলেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির পরীক্ষা হয়েছে নতুন মানবন্টন অনুযায়ী।

৩টি সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার জন্য বলা হয়েছিল শিক্ষার্থীদের, যেখানে ৩০ নম্বরে শিক্ষার্থীদের পাস করার জন্য ১০ নম্বর দরকার ছিল এবং বহুনির্বাচনি ২০ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে যেখানে পাস করতে হলে শিক্ষার্থীদের ৭ নম্বর দরকার হবে।

আরও পড়ুনঃ  এইচএসসি রেজাল্ট ২০২৩ কবে দিবে জেনে নাও | HSC Result 2023 Published Date in Bangladesh

এখানে বহুনির্বাচনি সম্পন্ন আলাদাভাবে দেখা হয়েছে, তাই বহুনির্বাচন নিয়ে শিক্ষকরা তেমন কোন কিছু বলছে না।

HSC পরিক্ষার্থীরা বেশি ফেল করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে – কিন্তু কেনো?

কিন্তু সৃজনশীল খাতা নিয়ে শিক্ষকরা বলছে। অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রথম পত্র এবং দ্বিতীয় পত্র একত্রে পাশ করা হচ্ছে অর্থাৎ প্রথম শিক্ষার্থী যদি নম্বর কম পায় এবং দ্বিতীয় পত্র নম্বর যদি বেশি পায় তাহলে তাকে মিলিয়ে পাস করে দেওয়া হয়।

কিন্তু তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রথম পত্র দ্বিতীয় পত্র নেই, যার কারণে শিক্ষার্থীরা ফেঁসে গেছে।

মূলত 30 নম্বরে পরীক্ষা হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভালো ভাবে লিখতে পারেনি, অনেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো ছিল না।

আরও পড়ুনঃ  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি ৩য় বর্ষের ৩টি ও মাস্টার্সের ১ পরীক্ষা স্থগিত করে নোটিশ প্রকাশ করেছে

যার কারণে লিখেছে কেউ হয় মাত্র দুইটি সৃজনশীল প্রশ্ন লিখেছে, যেখানে উত্তর গুলো সঠিক ভাবে হয়নি।

তাই শিক্ষার্থীদেরকে ১০ নম্বর দিয়ে দেওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকরা বলে আমরা তাদেরকে চেষ্টা করছি পাশ করে দেওয়ার, তারপরও যারা একদম লিখতে পারেনি তাদের তো আমাদের পক্ষে সম্ভব না খাতায় লিখে তারপর নম্বর দিয়ে পাস করে দেওয়া।

এক্ষেত্রে তারা নিজের যোগ্যতা যতটুকু নাম্বার পাবার আমরা তাদেরকে ততটুকু দিব। এরপর ও যদি ফেল করে আমরা চেষ্টা করব এক বা দুই নম্বর বাড়িয়ে তাদেরকে পাস করে যাওয়ার। তবে এখানে সম্পূর্ণ বিষয়টি শিক্ষার্থীদের উপর নির্ভর করছে।

শেষ কথা:

আসলে পর্যাপ্ত না লিখলে পাশ করে দেওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আরো বলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পরীক্ষা নতুন মানবন্টনে হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা একটু রেগে গেছে। এখন যদি শিক্ষা বোর্ড তাদের নিয়ে কোন সহযোগিতা প্রদান করে সেটা তাদের বিষয়।

আরও পড়ুনঃ  সরকারি/বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৪

আশাকরি আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। এমন সব তথ্য পাবার জন্য আমাদের Social Media গুলির সাথেই থাকবেন।

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link