ছোটদের কম্পিউটার রচনা খুবই সহজ

ছোটদের কম্পিউটার রচনা খুবই সহজ

বন্ধুরা আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনারা অনেকে হয়ত ইন্টারনেটে কম্পিউটার রচনা এটি সার্চ করেছেন। তবে আপনারা সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব ছোটদের কম্পিউটার রচনা সম্মন্ধে। তো চলুন নিম্নে বর্নিত রচনা টি দেখে নেই। রচনাটি তারাতারি মুখস্ত করতে অবশ্যই খাতায় নোট করে নিন। নাহলে আপনার পড়ায় মনোসংযোগ হবেনা।

(সংকেতসমূহঃ সূচনা, কম্পিউটার আবিষ্কার, কম্পিউটারের অবদান, সুবিধা, অসুবিধা,উপসংহার।)

ছোটদের কম্পিউটার রচনা

সূচনা:

আধুনিক বিজ্ঞানজগতের সর্বশেষ বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো কম্পিউটার। কম্পিউটার শব্দের অর্থ হিসাব করা, গণনা করা। তবে কম্পিউটার এখন শুধুমাত্র এর শাব্দিক অর্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বহুমুখী ব্যবহার যন্ত্রটিকে করে তুলেছে আধুনিক সভ্যতার এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কম্পিউটারের রয়েছে তথ্য গ্রহণ, তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও তথ্য উপস্থাপনের ক্ষমতা।

আরও পড়ুনঃ  কোভিড ১৯ রচনা বাংলা | করোনা ভাইরাস রচনা

কম্পিউটার আবিষ্কার:

চার্লস ব্যাবেজের পূর্বে যে গণনাযন্ত্রের প্রচলন ছিল তা স্বয়ংক্রিয় নয়। ১৬৪২ সালে ফরাসি গণিতবিদ ব্লেইজ প্যাসকেল যোগ ও বিয়োগ করতে সক্ষম এমন একটি গণনাযন্ত্র তৈরি করেন। ১৬৭১ সালে জার্মান গণিতবিদ গডফ্রিড গুণ ও ভাগ করতে সক্ষম এমন একটি গণনাযন্ত্র তৈরি করেন।

১৯১২ সালে চার্লস ব্যাবেজ প্রথম আধুনিক কম্পিউটারের মূলনীতির পরিকল্পনা করেন। এজন্য চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। আইবিএম কোম্পানির প্রকৌশলীরা ১৯৪৪ সালে মার্ক-১ নামের কম্পিউটার তৈরি করেন। ১৯৫৭ সালের পর আরও ব্যাপকহারে কম্পিউটার ব্যবহার বেড়ে যায়। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে ঢাকায় পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে।

কম্পিউটারের অবদান:

বর্তমানে কম্পিউটার মানবজীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। কম্পিউটারের কার্যকলাপের দিক থেকে এটি মানুষের মগজের সাথে তুলনাযোগ্য। কম্পিউটারের কাজ করার প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো:

  • দ্রুতগতিতে কাজ করা
  • নির্ভুলভাবে কাজ করা
  • স্মৃতিতে কাজ জমা রাখা
আরও পড়ুনঃ  ১৫ আগস্ট সম্পর্কে রচনা | জাতীয় শোক দিবস

এবং পরে সেই কাজ ব্যবহার করে কাজ শেষ করা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের আয়-ব্যয়ের হিসাব, পরিসংখ্যান, বিনিয়োগ তথ্য, পণ্য বাজারজাত করা ইত্যাদি নানা কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার হচ্ছে। চলচ্চিত্র নির্মাণ, ভিডিও অ্যানিমেশন তৈরি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ সবকিছুতেই প্রয়োজন কম্পিউটার। মহাকাশ গবেষণা, চিকিৎসা ও জেনেটিক গবেষণা, পারমাণবিক চুল্লি সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রেও কম্পিউটার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

সুবিধা:

কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানজগতকে বিশেষভাবে সহজ করেছে। মানুষের সকল কাজের তদারকি করছে এই কম্পিউটার। শিক্ষাক্ষেত্রেও বর্তমানে কম্পিউটারের ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য। কম্পিউটার ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পৃথিবীর সব তথ্যকে খুব সহজে হাতের কাছে এনে দিয়েছে। এছাড়া মানুষের স্মৃতির তুলনায় কম্পিউটার তার স্মৃতিতে বহুগুণ বেশি স্মৃতি জমা করে রাখতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  সাহিত্যের সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রবন্ধ রচনা শিখুন খুব সহজে

অসুবিধা:

কম্পিউটারের কিছু অপকারিতাও আছে। ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা রেখে কম্পিউটারে গেমস খেলে সময় নষ্ট করে। কম্পিউটারের অবদানের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারের ফলে মানুষ নানা ধরনের সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছে। তবে বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কারই মানুষের কল্যাণের জন্য। তার অকল্যাণকর ব্যবহারের জন্য মানুষই দায়ী। কম্পিউটার অবিকৃত যন্ত্র বা বস্তু নয়।


উপসংহার:

আজকের দিনে কম্পিউটার ছাড়া আমাদের জীবন প্রায় অচল। বর্তমানে বাংলাদেশে বহু ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে। আধুনিক ও উন্নত জীবনযাপন করতে হলে কম্পিউটারের কোনো বিকল্প নেই। তাই কম্পিউটারকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা দরকার।

অন্যান্য রচনা ও বিভিন্ন তথ্য জানতে সহবাংলা আইটি ভিজিট করে দেখতে পারেন। আশাকরি সবার ভালো লাগবে।

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link