চাকরির টেনশন ভুলে যান, ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করুন, মাসে ভালো পরিমানে আয়!

Contents
ব্রেকফাস্ট জয়েন্ট:এমব্রয়ডারির ​​দোকান:রান্নার ক্লাস:ওয়েডিং ব্যুরো:উপসংহার
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারে, একা কাজ করে সংসারের ভরন-পোষন করে শেষ মেটানো কঠিন। আবার অনেক তরুণ প্রজন্ম আছে যারা চাকরির পরিবর্তে ব্যবসার ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছে। কিন্তু ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অনেকের প্রধান সমস্যা হল মুনাফা বা বিনিয়োগ।

অনেকে মনে করেন একটি ব্যবসা শুরু করতে বিশাল বিনিয়োগ করার প্রয়োজন। আবার এক শ্রেণীর মানুষ মনে করেন, ভারী বিনিয়োগ ছাড়া ব্যবসা থেকে ভালো মুনাফা পাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আজকাল এমন অনেক ব্যবসা আছে যেগুলো আপনি খুব অল্প টাকায় শুরু করতে পারেন। তো আসুন এই ছোট ব্যবসার ধারণাগুলির কয়েকটি উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক। যাকে ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা বল্লেউ ভুল হবেনা।

আরও পড়ুনঃ মশার কয়েল তৈরি করে লাখ টাকা আয় – জানুন কিভাবে!
ব্রেকফাস্ট জয়েন্ট:
আপনি চাইলে ‘খাদ্য শিল্পে’ আপনার অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। খাদ্য শিল্পে প্রবেশের অর্থ মানে এই না যে এতে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করতে হবে এবং একটি রেস্তোঁরা খুলতে হবে। একটি ছোট পরিসরে ফুড জয়েন্ট বা ব্রেকফাস্ট যৌথ ব্যবসা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। ঐতিহ্যবাহী প্রাতঃরাশের মেনুর সাথে ঐতিহ্যবাহী প্রাতঃরাশের(ব্রেকফাস্ট) মেনু যুক্ত করে নিতে পারেন।

এমব্রয়ডারির ​​দোকান:
দর্জি এবং সূচিকর্মের(এমব্রয়ডারির) ব্যবসাও আজকাল খুব জনপ্রিয়। আপনি বাড়িতে থেকে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন. ছোট-বড় বুটিক থেকে অর্ডার আসবে এমব্রয়ডারির ​​দোকানে। ভবিষ্যতে এই ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রান্নার ক্লাস:
অনেক লোক যেমন,যাদের রান্নার দক্ষতা রয়েছে তারা একটি ক্লাউড কিচেন তৈরি করার পরিকল্পনা করতে পারেন। কিন্তু রান্না শেখানো যে ‘ক্যারিয়ার’ হতে পারে তা অনেকেই জানেন না। আপনি চাইলে অফলাইন বা অনলাইন রান্নার ক্লাস শুরু করতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ রিয়েল এস্টেট ব্যাবসা করে মাসে লাখ টাকা আয়, জেনে নিন রিয়েল এস্টেট মানে কি?
ওয়েডিং ব্যুরো:
ওয়েডিং ব্যুরো আজকাল ছোট এবং বড় শহরে বেশ জনপ্রিয় ব্যবসা। এই ধরনের ব্যুরো বিয়ের আগে দুই পরিবারের দেখা করার ব্যবস্থা করে দেয়। ১-২ জন কর্মী, একটি নিবন্ধন সনদ(রেজিস্ট্রেশন সাটিফিকেট) এবং ভাল যোগাযোগ থাকলেই আপনি এই ব্যাবসার রাজা।

উপসংহার
ব্যাবসা শুরু করতে প্রথমে অবশ্যই আপনার ধৈর্য থাকতেই হবে। কারন ধৈর্য ছাড়া ব্যাবসায় সফল হবেন না। এছাড়া প্রয়োজন অধ্যবসায় ও কঠিন পরিশ্রম। কৃষকরা ধান বোনার সাথে সাথেই কিন্তু ফল পায়না। ফল পায় কঠোর পরিশ্রমের ফলে ও ধৈর্যের ফলে। তাই যেকোনো কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সেসব গুন থাকতেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *