No Man’s Land Fort England: হিটলারের জাহাজ ধংসের ঘাঁটি সমুদ্রের মাঝখানে একটি দুর্গ, জানুন অজানা ইতিহাস

Contents
No Mans Land Fort England এ অবস্থিত এই হোটেল দেখতে কেমন?কেমন ছিল সেই দুর্গ?উপসংহারFAQs
ফরাসি আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সমুদ্রের উপর একটি দুর্গ তৈরি করা হয়েছিল। যা একটি বিলাসবহুল হোটেলে বর্তমান রূপ নিয়েছে। No Man’s Land Fort নামের এই হোটেলটি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া করা হয়। সমুদ্রের মাঝখানে এমন একটি হোটেলে আশ্চর্যজনক দর্শনীয় স্থান এবং ঘটনাগুলি সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।

ইংল্যান্ডের সোয়েন স্ট্রেটের মাঝখানে নির্মিত এই দুর্গটি ভিক্টোরিয়ান যুগে নির্মিত হয়েছিল। যুদ্ধের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছিল এই বিশাল দুর্গ। যে শত্রুরা আক্রমন করতে চাচ্ছিলো তারা পরে আর আক্রমন করেনি। এখন এটি বিলাসবহুল হোটেলে রূপ নিয়েছে।

No Mans Land Fort England এ অবস্থিত এই হোটেল দেখতে কেমন?
No Mans Land Fort England
No Mans Land Fort England
এর অন্দরমহলের সুযোগ সুবিধা থেকে টেক্কা দিতে পারে নামজাদা যেকোন হোটেলকে। কর্পোরেট অফিস এবং ২২টি বেডরুমের মতো বড় হল রয়েছে এতে। রেস্তোরাঁ ছাড়াও পাব, নাইট ক্লাব, শপিং মল রয়েছে এখানে।

আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সুন্দরবন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য | সুন্দরবন সম্পর্কে ১০ টি বাক্য ইংরেজিতে
কেমন ছিল সেই দুর্গ?
এই দুর্গটি ২০০ মিলিয়ন একর জায়গার উপর নির্মিত করা হয়। খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ পাউন্ড। ৪৯টি কামান এবং বিপুল সংখ্যক সৈন্যকে স্থান দেওয়া হয়েছিল এই দূর্গে। বৃত্তাকার দুর্গের মাঝখানে একটি ডুবে যাওয়া অংশ ছিল, যেখানে সমুদ্রতল থেকে খাবার সরবরাহ করা হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, সাবমেরিন আক্রমণ প্রতিরোধে দুর্গটিকে একটি প্রতিরক্ষা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, এটি আক্রমণের প্রতিবন্ধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

৯০ এর দশকে, No Man’s Land এর আকৃতি বদলে যায়। একসময় এই দুর্গ বিলাসবহুল হোটেলে পরিণত হয়। হোটেলটিতে দুটি হেলিপ্যাড রয়েছে। আগে এখানে ২১টি বেডরুম, রেস্টুরেন্ট এবং বাগান ছিল। গরম পানিতে গোসলের ব্যবস্থা করা হয় এখানে। আছে রাজকীয় বসতি।

২০০৪ সালে, ‘হরমেশ পুনি‘ নামে এক ব্যক্তি এই দুর্গটি কিনেছিলেন। দাম কমেছে ৬০ লাখ পাউন্ডে। তার উদ্দেশ্য ছিল বিশেষ দিনে দুর্গটিকে একটি বিশেষ হোটেলে ভাড়া দেওয়া কিন্তু তা হয়নি। হোটেলের সুইমিংপুল ছিলো সেটি থেকে মারাত্মক দূষণ ছড়ায়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দুর্গটি পরিণত হয়েছে শুকনো গাছ, ধুলাবালি, আসবাবপত্র এবং শুকিয়ে যাওয়া সুইমিংপুলে।

আরও পড়ুনঃ কিভাবে এবং কেন পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩৩ হলো?
উপসংহার
হারমেশ পুনিকে দুর্গ থেকে উচ্ছেদ করা হয়। বিশাল দর কষাকষির পর হোটেলটি £910,000 এ বিক্রি করা হয়। ১৫০ বছর আগে যা তৈরি হয়েছিল তার দ্বিগুণ দামে। একটি কর্পোরেশন সেই দুর্গের মালিক হয়। কোম্পানি কিভাবে এই দুর্গ ব্যবহার করবে তা স্পষ্ট নয়। বেশ কয়েকটি হেলিপ্যাড নির্মাণের কথা জানা গেছে। আপাতত বর্তমানে এজাগায় বেড়াতে যাওয়া যায়। দুর্গটি ২০১৫ সালে আধুনিকীকরণ করা হয়। অন্যান্য লেখা পড়তে আমাদের হোমপেজ ভিজিট করুন।

কেমন ছিল সেই দুর্গ
FAQs
No Mans Land Fort কী?

ফরাসি আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সমুদ্রের উপর একটি দুর্গ তৈরি করা হয়েছিল। যা একটি বিলাসবহুল হোটেলে বর্তমান রূপ নিয়েছে।

No Mans Land Fort দেখতে কেমন?

অন্দরমহলের সুযোগ সুবিধা থেকে টেক্কা দিতে পারে নামজাদা যেকোন হোটেলকে। কর্পোরেট অফিস এবং ২২টি বেডরুমের মতো বড় হল রয়েছে এতে। রেস্তোরাঁ ছাড়াও পাব, নাইট ক্লাব, শপিং মল রয়েছে এখানে।

কেমন ছিল সেই দুর্গটি?

দুর্গটি ২০০ মিলিয়ন একর জায়গার উপর নির্মিত করা হয়। খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ পাউন্ড। ৪৯টি কামান এবং বিপুল সংখ্যক সৈন্যকে স্থান দেওয়া হয়েছিল এই দূর্গে। বৃত্তাকার দুর্গের মাঝখানে একটি ডুবে যাওয়া অংশ ছিল, যেখানে সমুদ্রতল থেকে খাবার সরবরাহ করা হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, সাবমেরিন আক্রমণ প্রতিরোধে দুর্গটিকে একটি প্রতিরক্ষা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, এটি আক্রমণের প্রতিবন্ধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। সম্পূর্ন তথ্য উপরে দেওয়া আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *