প্রিয় পাঠক, হঠাৎ দেখা কবিতাটি পড়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাই আজকের নিবন্ধে আমরা আপনাকে সেই হঠাৎ দেখা প্রেমের কবিতা সরবরাহ করতে যাচ্ছি যা আপনি হঠাৎ দেখা প্রেমের কবিতা লিখে সার্চ করেছিলেন। আমরা সবাই জানি যে বাঙালিরা সব সময়ই কবিতাকে খুব ভালোবাসে। তাই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার জন্য বিভিন্ন কবিতা প্রদর্শন করি। আজকের কবিতা “হঠাৎ দেখা“। আজ আমরা এই কবিতা এবং এর মূলভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
হঠাৎ দেখা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,
ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন।
আগে ওকে বারবার দেখেছি
লালরঙের শাড়িতে
দালিম ফুলের মতো রাঙা;
আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়,
আঁচল তুলেছে মাথায়
দোলনচাঁপার মতো চিকনগৌর মুখখানি ঘিরে।
মনে হল, কালো রঙে একটা গভীর দূরত্ব
ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে,
যে দূরত্ব সর্ষেখেতের শেষ সীমানায়
শালবনের নীলাঞ্জনে।
থমকে গেল আমার সমস্ত মনটা;
চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে।
হঠাৎ খবরের কাগজ ফেলে দিয়ে
আমাকে করলে নমস্কার।
সমাজবিধির পথ গেল খুলে,
আলাপ করলেম শুরু —
কেমন আছ, কেমন চলছে সংসার
ইত্যাদি।
সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে
যেন কাছের দিনের ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে।
দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব,
কোনোটা বা দিলেই না।
বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায় —
কেন এ-সব কথা,
এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ করে থাকা।
আমি ছিলেম অন্য বেঞ্চিতে
ওর সাথিদের সঙ্গে।
এক সময়ে আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে।
মনে হল কম সাহস নয়;
বসলুম ওর এক-বেঞ্চিতে।
গাড়ির আওয়াজের আড়ালে
বললে মৃদুস্বরে,
“কিছু মনে কোরো না,
সময় কোথা সময় নষ্ট করবার।
আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই;
দূরে যাবে তুমি,
দেখা হবে না আর কোনোদিনই।
তাই যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে,
শুনব তোমার মুখে।
সত্য করে বলবে তো?
আমি বললেম, “বলব।”
বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল,
“আমাদের গেছে যে দিন
একেবারেই কি গেছে,
কিছুই কি নেই বাকি।”
একটুকু রইলেম চুপ করে;
তারপর বললেম,
“রাতের সব তারাই আছে
দিনের আলোর গভীরে।”
খটকা লাগল, কী জানি বানিয়ে বললেম না কি।
ও বললে, “থাক্, এখন যাও ও দিকে।”
সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে;
আমি চললেম একা।
হঠাৎ দেখা কবিতার মূলভাব
এই কবিতায় একজন প্রেমিকের আত্মকথন তুলে ধরা হয়েছে। একজন প্রেমিক কখনো ভাবেনি যে হঠাৎ ট্রেনের বগিতে তার প্রেমিকের দেখা হবে। সেখানে আবারও প্রেমিক প্রশাকের প্রশংসা করতে থাকেন। কবি ইতিমধ্যেই তার প্রিয় মানুষটিকে হারিয়েছে এবং সে তার প্রিয় মানুষটিকে জিজ্ঞেস করে তার পরিবার কেমন চলছে। এর আগে কবি উল্লেখ করেছিলেন যে তার নিকটতম এবং প্রিয়তম ব্যক্তিটি সেদিন তাকে অপরিচিত বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু তার প্রেমিকার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বিভিন্ন প্রশ্ন করে। এই জিনিসগুলির মধ্যে একটি জিজ্ঞাসা করছিল যে তাদের এখনও সম্পর্ক বা কিছু আছে কিনা। অনেক কথার শেষে কখন আবার একা হাঁটা শুরু করল।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক, এই নিবন্ধে আপনাদেরকে হঠাৎ দেখা কবিতাটি প্রদান করা হয়েছে এবং এর পাশাপাশি এই হঠাৎ দেখা প্রেমের কবিতার মূলভাব সম্পর্কে সামান্য ধারণা প্রদান করা হয়েছে।
TAG: হঠাৎ দেখা কবিতা,কবিতা – হঠাৎ দেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,হঠাৎ দেখা কবিতা lyrics,হঠাৎ দেখা,রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,হঠাৎ দেখা কবিতা লিরিক্স,হঠাৎ দেখা কবিতার সারমর্ম,রবীন্দ্রনাথের হঠাৎ দেখা কবিতা,রেল গাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা কবিতা,হঠাৎ দেখা প্রেমের কবিতা,হঠাৎ দেখা পুরো কবিতা,হঠাৎ দেখা কবিতা সৌমিত্র,রেল লাইনের কামরায় হঠাৎ দেখা,হঠাৎ দেখা কবিতার বিষয়বস্তু,হঠাৎ দেখা স্ট্যাটাস,হঠাৎ দেখা আবৃত্তি,মোড়ের মাথায় শেষমেশ শেষ করেছিলো যারা হঠাৎ দেখার বৃষ্টিদিনে ভালো থাকুক তারা,হঠাৎ দেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,রেল গাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা কবিতা,হঠাৎ দেখা কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,রেলগাড়ির কামড়ায় হঠাৎ দেখা,হঠাৎ দেখা lyrics,হঠাৎ দেখা কবিতা আবৃত্তি,হঠাৎ দেখা প্রাক্তন নিয়ে উক্তি,ট্রেনের কামরায় হঠাৎ দেখা,রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,রেল গাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হঠাৎ দেখা কবিতা,রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা কবিতা।