ছোটদের গরুর রচনা | গরুর রচনা বাংলা

গরুর রচনা
গরুর রচনা
গরুর রচনা

হ্যালো দর্শক, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সকলেই ভালো আছে। আপনারা আজকে সার্চ করেছেন গরুর রচনা লিখে। সেজন্য আমরা আজ আপনাদের পড়ার সুবিধার্থে ছোটদের গরুর রচনা লিখেছি। যা সহজ সরল ভাষায় নিচে উল্লেখ করেছি। আপনারা যারা পরিক্ষার্থী তারা আমাদের আজকের লেখা গরুর রচনা বাংলা পড়তে পারেন। এছাড়া রচনা টি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে কমেন্ট করবেন। 

   ছোটদের গরুর রচনা   

সংকেতঃ আকার আকৃতি,আকার আকৃতি,গরুর উপকারিতা,উপসংহার।

সূচনাঃ

পৃথিবীর জন্ম লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের পাশাপাশি যে পশুটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার নাম হলো গরু। গরু প্রকৃতিতে খুব সহজভাবে বেঁচে থাকতে পারে, স্বভাবে শান্ত প্রকৃতির হয়। মানুষের প্রয়োজনে গরু ধীরে ধীরে গৃহপালিত পশু হয়ে ওঠ। কারণ গরু মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত সাহায্য করে।

আকার আকৃতিঃ

প্রাচীনকাল থেকে মানুষ বাড়িতে নানা রকম পশু পালন করছে। বাড়িতে পোষা এই সমস্ত পশুদের গৃহপালিত পশু বলা হয়। গৃহপালিত পশুদের মধ্যে আমাদের সবচেয়ে পরিচিত হল গরু। গরু চার পা বিশিষ্ট তৃণভোজী প্রাণী। গরু আকারে বেশ বড় হয়। গরুর একটি নাক, দুটি চোখ, দুটি কান এবং মাথার ওপর দুটি শিং থাকে। এছাড়া গরুর একটি লেজও আছে। সাদা, কালো, বাদামি নানা রঙের গরু দেখতে পাওয়া যায়। গরুর সারা শরীর ছোট ছোট লোমে ঢাকা থাকে। এছাড়া গরুর লেজের শেষের দিকে এক গুচ্ছ চুলও হয়। তৃণভোজী প্রাণী হাওয়ায় গরু ঘাস, লতাপাতা, বিচুলি, ভাতের ফ্যান ইত্যাদিকে খায়।

প্রকৃতিঃ

গরু স্বভাবে একদম শান্ত প্রকৃতির তবে, পুরুষ গরু ও স্ত্রী গরুর মধ্যে স্বভাবে একটু পরিবর্তন হয়। শ্রী গুরু স্বভাবে শান্ত হলেও পুরুষ গরু বা ষাঁড় একটু অন্য ধরনের হয় মেজাজে। গরুর বাচ্চাকে বাছুর বলা হয় এবং পুরুষ গরুকে বলদ বা ষাঁড় বলা হয়।

গরুর উপকারিতাঃ

গরু খুবই উপকারী প্রাণী। গরু আমাদের দুধ দেয়। গরুর দুধ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া গরুর দুধ থেকে নানা রকমের খাবার ও মিষ্টি তৈরি হয়, যেমন- দই, ঘি, ক্ষীর, মাখন ইত্যাদি। গরুর গোবরও বেশ উপকারী, কারণ গরুর গোবর দিয়ে ঘুঁটে তৈরি করা হয়। সেই ঘুঁটে উনুন জ্বালানোর কাজে লাগে। তাছাড়া হিন্দুদের ধার্মিক অনুষ্ঠানে গোবর জল ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই না গরুর গোবর দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করা হয়ে থাকে। গোবর পচলে সার তৈরি হয়, যা চাষের জন্য খুব উপকারী। গরু যেমন আমাদের দুধ ও গোবর দিয়ে সাহায্য করে তেমনি চাষবাসের ক্ষেত্রে বলদ লাঙ্গল টেনে থাকে। এছাড়া গরুর গাড়িতেও গরুকে ব্যবহার করা হয়। জীবিত অবস্থায় গরু যেমন মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করে তেমনি মৃত্যুর পরেও সাহায্য করে। নানা দেশে মৃত্যুর পর গরুর হাড় ও চামড়া ব্যবহার করা হয়। গরুর চামড়া দিয়ে চামড়ার জিনিস তৈরি করা হয়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত গরু মানুষের উপকার করে থাকে। তাই হিন্দু ধর্মে এই প্রাণীটিকে গোমাতা হিসাবে সম্মান করা হয়। এত উপকারী প্রাণী হওয়ার জন্য অন্যান্য গৃহপালিত পশুর মধ্যে গরুই শ্রেষ্ঠ।

উপসংহারঃ 

গরু নানা গুণ থাকা সত্ত্বেও গরুর প্রতি আমরা যত্নশীল নই। গরুর উপকারিতার দিকে চেয়ে আমাদের সবাইকে গরুর প্রতি সদয় হওয়া দরকার।গরু পালনে আমাদেরকে উৎসাহিত হওয়া দরকার তাহলে নানাভাবে উপকৃত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারব।

গরুর রচনা বাংলা

বন্ধুরা গৃহপালিত পশু গুলির মধ্যে গরু একটি অন্যতম প্রাণী। সভ্যতার আদিলগ্ন থেকে মানুষের নানান উপকার করে এসেছে গরু। ছোটদের জন্য গৃহপালিত পশু গরু রচনাটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা। তাই ছোটদের জন্য একদম সহজ ভাষায় লেখা আমাদের আজকের উপস্থাপন গরু/ গৃহপালিত পশু গরু প্রবন্ধ রচনা।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রচনা ২০ পয়েন্ট | বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রচনা

ভূমিকা:

সভ্যতার শুরু থেকেই পৃথিবীতে জন্তু জানোয়ার এবং মানুষ একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়েই বেঁচে আছে। সেই অতীতকাল থেকে যে সমস্ত প্রাণী মানুষের পোষ মেনে মানুষের ঘরে পালিত হয়েছে এবং জীবনের বহু ক্ষেত্রে মানুষকে প্রতিনিয়ত সাহায্য করেছে তাদেরকে আমরা গৃহপালিত পশু বলে জানি। ইতিহাসে আমরা দেখেছি গাধা, ঘোড়া, কুকুর প্রভৃতি প্রাণীরা জীবনের বিভিন্ন কাজে মানুষকে সাহায্য করেছে।ঘোড়া যেমন প্রধানত যাতায়াতের কাজে মানুষের বাহন হয়েছে, তেমনই গাধাকে দিয়ে মানুষ নিজের মাল বইয়েছে। গৃহপালিত পশুদের এই তালিকায় একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম হল গরু। সেই প্রাচীনকাল থেকে মানুষের জীবনে এমন কোনো ক্ষেত্র পাওয়া দুষ্কর যেখানে গরুর ভূমিকা নেই। তাই গরু হল এই পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গৃহপালিত পশু।

আরও পড়ুনঃ  শেখ রাসেল রচনা ৭০০ শব্দ - সকল শ্রেণির জন্য

প্রাণীরূপে গরু:

গরু হল একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। এর দুই জোড়া পা ও একটি লেজ থাকে। এই প্রাণীটির পুরুষ রূপকে আমরা ষাঁড় বলে চিনি। ষাঁড়ের পিঠে সাধারণত কুঁজ থাকে এবং তাছাড়া এই প্রাণীটির মাথার উপরে একজোড়া শিং আমরা দেখতে পাই। গরু মূলত একটি তৃণভোজী প্রাণী। মাঠের সবুজ ঘাস এর প্রিয় খাদ্য। তাছাড়া এই প্রাণীটিকে খড় কিংবা বিচুলিও খাওয়ানো হয়ে থাকে। গরুর পেটে চারটি পাকস্থলী বর্তমান। এইগুলি গরুর খাবার হজমে সাহায্য করে। প্রাণী হিসেবে গরু খুবই শান্ত প্রকৃতির।

মানুষের জীবনে গরু:

মানুষের জীবনে গরুর ভূমিকা এককথায় অপরিসীম। ইতিহাসের কোনো না কোনো পর্যায়ে জীবনের কোন না কোন ক্ষেত্রে এই প্রাণীটি আমাদের সাহায্য করেছে। এখনো অবধি পৃথিবীর কোনায় কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে মানুষের জীবনে গরু এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। সেজন্যই এই প্রাণীটি অন্যান্য গৃহপালিত পশুদের থেকে অনেকখানি আলাদা। ভারতীয় উপমহাদেশের গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন গৃহস্থের বাড়িতে গরু পরিবারেরই এক অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। গ্রামের মানুষ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রাণীটির সাথে একরকম আবেগের বন্ধনে জড়িয়ে যান।

কৃষিকাজে গরুর ভূমিকা:

সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে মানুষের কৃষিকাজে গরু এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই প্রাণীটিকে ব্যবহার করেই মানুষ জমিতে লাঙ্গল এর সাহায্যে চাষ করে, শষ্যদানার বীজ রোপন করেন এবং সেই বীজ মানুষকে জীবনধারণের অন্ন জোগায়। তাছাড়া গরুরই অপর রূপ ষাঁড় এবং বলদকে ব্যবহার করে মানুষ ঘানি থেকে তেল উৎপাদন করে।

দুধের জোগান:

মানুষের জীবনে হয়তো গরুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল দুধের জোগান দেওয়া। গরুর দুধ মানুষের কাছে একটি অন্যতম সহজলভ্য পুষ্টিকর খাদ্য। চিকিৎসকেরা গরুর দুধকে শিশুদের জন্য সুষম খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাছাড়া আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা নির্বিশেষে সকলে গরুর দুধকে প্রতিদিনকার খাদ্য রূপে গ্রহণ করে থাকেন। এই দুধ পৃথিবীর অন্যান্য বিভিন্ন দ্রব্য তৈরিতে কাজে লাগানো হয়। দুগ্ধজাত দ্রব্য ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীজুড়ে নানা বৃহৎ বৃহৎ শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে। সর্বোপরি আমাদের সবার অত্যন্ত পছন্দের সুস্বাদু মিষ্টি উৎসও হলো এই দুধ।

গোবরের উপযোগিতা:

এই পৃথিবীতে সম্ভবত গরুই একমাত্র প্রাণী যার ত্যাগ করা বর্জ্য পদার্থটুকুও মানুষের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় বলে গণ্য হয়। গরুর গোবর মানুষের জীবনে এক পরম উপযোগী বস্তু। গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে গোবর থেকে তৈরি ঘুঁটে অন্যতম প্রধান জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া গোবর গাছপালার সার তৈরীর জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গোবর সার কৃষি ক্ষেত্রের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় বস্তু। এই সার গাছপালা তথা কৃষি ক্ষেত্রের ফলন বৃদ্ধি করে এবং শস্যকে পুষ্টি যোগায়। তাছাড়া ভারতবর্ষের গ্রামাঞ্চলে আজও মানুষের বাড়ির আঙিনায় গোবর জলের ছিটা দেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সহজ ভাষায় রচনা: বাংলাদেশের নদ নদী রচনা / বাংলাদেশের নদ-নদী

গরুর অন্যান্য ব্যবহার:

উপরে উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলি বাদেও গরু মানুষের জীবনে আরো নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেই প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে কিছুদিন আগে অবধিও যাতায়াত ব্যবস্থার মাধ্যমে হিসেবে গরুর গাড়ি ব্যবহার করা হতো। এটি এমন এক প্রাণী যার শরীরের কোন অংশই মানুষের ব্যবহারের বাইরে থাকে না। গরুর শিং এবং হাড়ও জৈব সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া গরুর চামড়া ঢাক ঢোল ইত্যাদি নানা বাদ্যযন্ত্র এমনকি জুতো তৈরিতেও কাজে লাগে।

উপসংহার:

মানুষের জীবনে গরু এতটা প্রয়োজনীয় বলেই হয়তো ভারতবর্ষের মানুষ এই প্রাণীটিকে নিজের মায়ের মতো শ্রদ্ধা করে থাকেন। গ্রামের মানুষেরা নিজেদের পালিত গরুকে পরিবারের থেকে আলাদা করে দেখতে পারেন না। এই প্রাণীটিও তার সারা জীবনের দানে মানুষকে পূর্ণ করে দেয়। গৃহপালিত পশু হিসেবে গরু এবং মানুষের ভালোবাসার সম্পর্ক পৃথিবীর বুকে এভাবেই আবর্তিত হতে থাকে।

শেষ কথাঃ

ছোট্ট বন্ধুরা আশাকরি আজকের রচনাটি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। ছোটদের গরুর রচনা আজকের এই রচনাটি ভালো লেগে থাকলে এখনি শিখে ফেলুন এবং খাতায় নোট করে ফেলুন। 
TAG: ছোটদের গরুর রচনা,গরুর রচনা বাংলা,গরুর রচনা চতুর্থ শ্রেণীর,গরুর রচনা ইংরেজিতে,গরুর রচনা প্রথম শ্রেণী,গরুর রচনা প্রথম শ্রেণী,মজার গরুর রচনা,গরুর রচনা ইংলিশে,গরুর রচনা ৩য় শ্রেণি,আধুনিক গরুর রচনা সমগ্র pdf,আধুনিক গরুর রচনা,গরুর রচনা বল।

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link