আমাদের দেশ রচনা ক্লাস ৫ | আমাদের দেশ রচনা ক্লাস 4

আমাদের দেশ রচনা ক্লাস ৫
প্রিয় শিক্ষার্থী, আমাদের দেশ রচনাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা। ঘুরেফিরে বারবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আমাদের দেশ রচনাটি আসে। আমাদের দেশ রচনা উক্তি পয়েন্ট সহ নিম্নে তুলে ধরা হলো। তোমরা অনেকেই আমাদের দেশ রচনাটির জন্য সার্চ করেছিলে। তাই বিভিন্ন বই থেকে পয়েন্ট সংগ্রহ করে রচনাটি তোমাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। আশা করি তোমাদের উপকারে আসবে। আপনি চাইলে আমাদের Facebook Page এ যুক্ত থাকতে পারেন। 
আমাদের দেশ রচনা ক্লাস ৫
আমাদের দেশ রচনা ক্লাস ৫

আমাদের দেশ রচনা

সূচনাঃ

বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। এই ভূ-স্বর্গের রূপসি কন্যা বাংলা। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। আমরা বাংলাদেশে জন্মেছি বলে আমদের জীবন ধন্য হয়েছে। আমরা সবাই বাঙালি। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন দেশ। এদেশের মতো এত সুন্দর দেশ আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই তো কবি বলেছেন-

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে না কো তুমি

সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।

স্বাধীনতা লাভঃ

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে সুদীর্ঘ নয় মাসের এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। এ স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লক্ষ মানুষকে বুকের রক্ত দিতে হয়েছে। পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন থেকে বাঁচতে বাংলার মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ নির্বিচারে যে গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানিরা তা থেকে বাঁচতে বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বাঙালি লাভ করে তার কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। যে রচনাটি পড়লে >> স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা পরিক্ষায় কমন পড়বেই।

অবস্থান ও আয়তনঃ

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এর পূর্ব দিকে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও বার্মা; উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়; পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়; দক্ষিণে ময়ানমার ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।

আরও পড়ুনঃ  সত্যবাদিতা রচনা ২০ পয়েন্ট | সততা ও সত্যবাদিতা রচনা

ভূপ্রকৃতিঃ 

বাংলাদেশের প্রায় সবটাই সমতল ভূমি। তবে সিলেটের কিছু অংশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ পাহাড়, টিলা ও জঙ্গলে বৈচিত্র্যময়। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এদেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, তিতাস প্রভৃতি ছোট-বড় নদ-নদী। না জানলে জেনে নিন>> কিভাবে ফেসবুক রিলস থেকে ইনকাম করতে হয় জেনে নিন। 

জনসংখ্যাঃ 

বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। এদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০১৫ জন লোক বাস করে। জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে এর স্থান সপ্তম।

 

ভাষাঃ 

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এ ভাষার ইতিহাস এক হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। বাংলাদেশের প্রায় ত্রিশ কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলে। পৃথিবীর চতুর্থ স্থানীয় ভাষা বাংলা।

উৎসব-পার্বণঃ 

বাংলাদেশের মানুষ খুবই উৎসবপ্রিয়। এদেশে নানা ধরনের উৎসব-পার্বণে মেতে উঠে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই। মুসলমানদের দুটো প্রধান উৎসব রয়েছে- ১. ঈদুল ফিতর ও ২. ঈদুল আজহা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রয়েছে দুর্গাপূজা, কালীপূজা ও লক্ষ্মীপূজা, সরস্বতী পূজা প্রভৃতি উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আছে বৌদ্ধ পূর্ণিমা ও মাঘি পূর্ণিমা। খ্রিষ্টানদের রয়েছে ইস্টার সানডে ও বড়দিন। এ ছাড়াও জাতীয়ভাবে রয়েছে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহিদ দিবস ও পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ। জাতি, ধর্ম ও মানুষের মধ্যে ভিন্নতা থাকলেও উৎসব বা পার্বণে আমরা সবাই একত্রে মিলেমিশে আনন্দ উল্লাস করি। এটাই আমাদের দেশের মানুষের বৈচিত্র্য। পরিক্ষায় কমন পড়বেই>> যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ Class 6, 7, 8, 9। 

অর্থনৈতিক অবস্থাঃ 

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এর অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কিন্তু পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হয় না বলে কৃষির ফলন খুবই কম। সীমিত সংখ্যক শিল্পকারখানা থাকলেও শিল্পকারখানা থেকে উৎপাদিত পণ্য চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

প্রাকৃতিক সম্পদঃ 

ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। আমাদের ভূমি উর্বর। আমাদের জমিগুলো প্রচুর বৃষ্টি, বাতাস ও রোদ পেয়ে থাকে। সূর্যালোক, নদী, মাটি, গ্যাস ইত্যাদি আমাদের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। কিন্তু আমাদের খনিজ সম্পদ অত্যন্ত কম।

আরও পড়ুনঃ  আমার প্রিয় ঋতু বর্ষাকাল রচনা | প্রিয় ঋতু বর্ষাকাল রচনা

শিক্ষাঃ 

সুদীর্ঘকালের পরাধীনতার কারণে বাংলাদেশে যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে নি। ফলে এদেশের অধিকাংশ মানুষ আজো অশিক্ষিত রয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে যথাশীঘ্র উত্তরণের জন্য সরকার গণশিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশের উপজাতিঃ 

বাংলাদেশে জাতিগুলোর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাঙালি হলেও এ ছাড়া আরও বিভিন্ন উপজাতির মানুষ আছে। যাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। যেমন চাকমা, মারমা, মুরং, রাখাইন, গারো, খাশিয়া, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, তনচঙ্গা প্রভৃতি। এ বৈচিত্র্য আমাদের গৌরবের।

নানা পেশার মানুষঃ 

বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশার মানুষ বাস করে। এদেশের প্রতিটি মানুষ সমাজের ও নিজের প্রয়োজনে কাজ করে থাকে। কারও কাজ ছোট আবার কারও কাজ বড়। আমাদের সমাজে রয়েছে কৃষক, শ্রমিক, তাঁতি, জেলে, কামার, কুমোর, ধোপা, নাপিত, ডাক্তার, সেবিকা, উকিল, শিক্ষক প্রভৃতি। সমাজে সব পেশার মর্যাদা ও গুরুত্ব সমান। তাই কোনো পেশাই ছোট নয়।

উপসংহারঃ 

আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে আমরা মায়ের মতোই শ্রদ্ধা করি- ভালোবাসি। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা, আত্মবলি আর শ্রমের বিনিময়ে আমরা এদেশকে স্বাধীন করেছি। 

আমার দেশ রচনা বাংলাদেশ
আমার দেশ রচনা বাংলাদেশ

আমার দেশ রচনা বাংলাদেশ

সূচনাঃ

বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় জন্মভূমি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভ করে এ বিশ্বের মানচিত্রে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

অবস্থান ও আয়তনঃ

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এর পূর্ব দিকে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও বার্মা; উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়; পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়; দক্ষিণে ময়ানমার ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এদেশের আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার।

ভূপ্রকৃতিঃ

বাংলাদেশের প্রায় সবটাই সমতল ভূমি। তবে সিলেটের কিছু অংশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রামের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ পাহাড়, টিলা ও জঙ্গলে বৈচিত্র্যময়। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এদেশে জালের মতো ছড়িয়ে আছে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী, তিতাস প্রভৃতি ছোট-বড় নদ-নদী।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা PDF | রচনা বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য

জনসংখ্যাঃ

বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। এদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১০১৫ জন লোক বাস করে। জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে এর স্থান সপ্তম।

ভাষাঃ

বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। এ ভাষার ইতিহাস এক হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। বাংলাদেশের প্রায় ত্রিশ কোটি মানুষ এ ভাষায় কথা বলে। পৃথিবীর চতুর্থ স্থানীয় ভাষা বাংলা।

অর্থনৈতিক অবস্থাঃ

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। এর অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কিন্তু পুরোপুরি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হয় না বলে কৃষির ফলন খুবই কম। সীমিত সংখ্যক শিল্পকারখানা থাকলেও শিল্পকারখানা থেকে উৎপাদিত পণ্য চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

প্রাকৃতিক সম্পদঃ

ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। আমাদের ভূমি উর্বর। আমাদের জমিগুলো প্রচুর বৃষ্টি, বাতাস ও রোদ পেয়ে থাকে। সূর্যালোক, নদী, মাটি, গ্যাস ইত্যাদি আমাদের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। কিন্তু আমাদের খনিজ সম্পদ অত্যন্ত কম।

শিক্ষাঃ

সুদীর্ঘকালের পরাধীনতার কারণে বাংলাদেশে যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে নি। ফলে এদেশের অধিকাংশ মানুষ আজো অশিক্ষিত রয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে যথাশীঘ্র উত্তরণের জন্য সরকার গণশিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষা বিস্তারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

উপসংহারঃ

আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে আমরা মায়ের মতোই শ্রদ্ধা করি- ভালোবাসি। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা, আত্মবলি আর শ্রমের বিনিময়ে আমরা এদেশকে স্বাধীন করেছি |

TAG: আমাদের দেশ রচনা for class 1,আমাদের দেশ রচনা ক্লাস ৫,আমাদের দেশ রচনা ক্লাস ২,আমাদের দেশ রচনা class 3,আমাদের দেশ রচনা ক্লাস 4,আমার জন্মভূমি রচনা,আমাদের দেশ রচনা class 5,আমাদের দেশ রচনা ৩য় শ্রেণি,আমাদের দেশ রচনা ২য় শ্রেণী,আমাদের দেশ রচনা for class 6,আমাদের দেশ রচনা for class 1,আমাদের দেশ রচনা পঞ্চম শ্রেণি,আমাদের দেশ রচনা চতুর্থ শ্রেণি,আমাদের দেশ রচনা দ্বিতীয় শ্রেণী,আমাদের দেশ রচনা ক্লাস ২।

Thank You All

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link