নিজের দৈনন্দিন যত্ন ও পরিচর্যা | নিজের যত্ন নেওয়ার উপায়

Contents
নিজের দৈনন্দিন যত্ন ও পরিচর্যা সম্মন্ধে কিছু টিপসঃআমাদের শেষ কথাঃFAQs: নিজের যত্ন নেওয়ার উপায়নিজের যত্ন নেওয়ার কথা বলার অর্থ কি?যত্ন বলতে কি বুঝায়?কিভাবে শরীরের যত্ন নিব?নিজের যত্ন নেওয়া আমার জন্য এত কঠিন কেন?
নিজের দৈনন্দিন যত্ন ও পরিচর্যা অথবা নিজের যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানব আমাদের আজকের এই ব্লগে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা চেহারা, শরীরের গঠন নিয়ে মনে মনে কষ্ট পান। আমার মুখে অনেক দাগ আছে, আমি খুব মোটা বা খুব পাতলা, এই চিন্তাগুলি প্রায়ই আমাদের মাথায় আঘাত করে এবং ধীরে ধীরে আমাদের আত্মবিশ্বাস কমতে শুরু করে। ফলে সামাজিক উদ্যোগের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়।

নিজের দৈনন্দিন যত্ন ও পরিচর্যা
এর জন্য প্রয়োজন কিছু মাইন্ডসেট শিফট।

নিজের দৈনন্দিন যত্ন ও পরিচর্যা সম্মন্ধে কিছু টিপসঃ
নিজের দৈনন্দিন যত্ন ও পরিচর্যা সম্মন্ধে কিছু টিপস
বাহ্যিক সৌন্দর্য তোমাকে ডিফাইন করে নাঃ তোমার ফিজিকাল ডিটেইল যেমন স্কিন,বডি, চুল এইসব কিছু এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর। এদের উপর অনেকাংশেই তোমার নিয়ন্ত্রণ নেই।তুমি কেমন দেখতে,সেটা তোমার হাতে নেই। যে জিনিসটা তোমার হাতে নেই,তুমি চাইলেই যেটা হয়তো পরিবর্তন করতে পারবে না,সেটা নিয়ে ইনসিকিউরিটি তে ভুগে নিজেকে সবার থেকে নিজেকে আইসোলেট করা কি খুব ভালো সিদ্ধান্ত? তুমি কি নিজের সুন্দর বর্তমান টা নষ্ট করে ফেলছো না?
লাইফের কোন কোন ফ্যাক্টর তোমাকে ডিফাইন করে,সেটা সেট করঃ নিজেকে জিজ্ঞেস কর আমার নাম শুনলে প্রথম কোন শব্দ টা মানুষের মাথায় আসলে আমি খুশি হব? সেটা যদি হয় খুব বিনয়ী, নিরহংকারী মানুষ তাহলে কি তুমি খুব খুশি হবে নাকি জাস্ট সুন্দর দেখতে একজন মানুষ হলে খুশি হবে।তোমার বিশ্বাস,প্রতিভা,অনুপ্রেরণা,প্যাশন, স্বপ্ন,গোল তোমাকে তোমার বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য থেকে অনেক বেশি ডিফাইন করে।এবং এই ফ্যাক্টর গুলোর উপর তোমার নিয়ন্ত্রণ আছে।তাই ইন্টারনাল বিষয়ের উপর নিজের ডেভেলপ আনার ট্রাই কর।
সোশ্যাল মিডিয়াতে পিকচার পারফেক্ট ইনফ্লুয়েন্সার দের সাথে নিজের কম্পেয়ার করা থেকে সরে আসতে পারোঃ সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা যাদের দেখি,তাদের কেবল জীবনের পজিটিভ দিক গুলোই দেখে থাকি।তাদের স্ট্রাগল,ইনসিকিউরিটি নিয়ে আমরা কিছুই জানি না। তাদের সুন্দর দেখানোর জন্য মেক আপ,লাইট,এডিটিং ইত্যাদির পিছনে যে ইনভেস্টমেন্ট করা হয়,সে ইনভেস্টমেন্ট সম্পর্কে আমরা অনেকেই কিছু জানি না।তাই তুমি যা বাইরে থেকে দেখছো,সেটা একচুয়াল রিয়েলিটি নাও হতে পারে।
কম্পেয়ার না করে ইন্সপায়ার হওঃ যাদের দেখে তোমার কাছে নিজেকে ইনফিরিয়র মনে হচ্ছে, তাদের কে খেয়াল কর।ঠিক কি কারনে তাদের কে তোমার কাছে সুন্দর লাগছে। ধরে নাও,কারো স্কিন খুব সুন্দর। তার থেকে জেনে নাও তার স্কিন কেয়ার রুটিন।আইডিয়া টা হলো,তোমার সাধ্যে যতটুকু আছে অথবা বেসিক কিছু স্টেপস নিয়ে ফেলো।কারন নিজের যত্ন নিলেও তোমার ভালো ফিল হতে পারে।কিন্তু এই বিষয় নিয়ে স্ট্রেস নেওয়া যাবে না।
তুমি একজন পরিপূর্ণ মানুষ ইনসাইড এবং আউটসাইডঃ চিন্তা করে দেখো,পৃথিবী তে আমরা যাদের সাকসেসফুল হিসেবে চিনি,তাদের খুব কম সংখ্যক মানুষ বিউটি স্ট্যান্ডার্ড এ ফিট করে।তারা তাদের আইডিয়া,ভিশন,গোল দিয়েই পরিচিতি লাভ করেছে এবং তাদের ভিশন,গোল এর মাধ্যমে আমরা তাদের চিনতে পেরেছি।
আরও পড়ুনঃ Best Time To Eat Fish: শীতে মাছ খাওয়া বেশি জরুরি কেন? জানতে পড়ুন
আপনার মধ্যকার আপনি কে জানতে চেষ্টা করুন।এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর এর উপর ডিপেন্ড করে নিজেকে ডিফাইন করার চেষ্টা থেকে সরে আসতে পারেন। আপনার বাহ্যিক সৌন্দর্য আপনার পারিপার্শ্বিকতা কে যতটা প্রভাবিত করে,আপনার সুন্দর চিন্তা,ভিশন তার থেকে অনেক গুন বেশি প্রভাবিত করে।

আমাদের শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠকগন, আমি আশাকরি আজকের এই ব্লগআর্টিক্যালটি অর্থাৎ ‘নিজের দৈনন্দিন যত্ন ও পরিচর্যা‘ এই পোষ্ট আপনাদের একটু হলেউ উপকারে এসেছে। শুধু উপকারে আসলেই হবে না। বাস্তব জীবনে কাজে লাগান। দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়া আপনি এই ‘কোন জায়গায় গেলে মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে‘ আর্টিক্যাল থেকে জেনে নিন আরও বিস্তারিত টিপস।

আমাদের এমন সব ব্লগ ভালো লাগলে আমাদের সোসাল মিডিয়াগুলিতে যুক্ত থাকুন। এতে করে সবার আগে আমাদের পোষ্টগুলি আপনাদের নিকট পৌছাবে। ভালো থাকুন সবাই, ধন্যবাদ সবাইকে।

আরও পড়ুনঃ চা খেলে কি ক্ষতি হয়, জেনে নিন দিনে কয় কাপ চা খাবেন – নইলে বিপদ হবে
FAQs: নিজের যত্ন নেওয়ার উপায়
নিজের যত্ন নেওয়ার কথা বলার অর্থ কি?
নিজের যত্ন নেওয়া মানে নিশ্চিত করা যে আমি যা করছি তা স্বাস্থ্যকর এবং উপভোগ্য । এর মধ্যে রয়েছে রিচার্জ করার জন্য একাকী পর্যাপ্ত সময় নেওয়া কিন্তু আমি যখন চাই তখন সামাজিকীকরণ, সেইসাথে সীমানা স্থাপন করা।

যত্ন বলতে কি বুঝায়?
যত্ন বলতে চেষ্টা; উদ্যোগ; প্রয়াস, উদ্যম; অধ্যবসায়; প্রবৃত্তি বোঝায়।

কিভাবে শরীরের যত্ন নিব?
১. মুখের ত্বক ঝলমলে রাখতে লবণ-পানি সামান্য পরিমাণ খাবার লবণ পানিতে গুলিয়ে নিন। …
২. ঠোঁট সুন্দর রাখতে তেল …
৩. আর্দ্র ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল …
৪. ব্রণের দাগ দূর করতে মধু …
৫. ব্রণের আরেক ওষুধ আই ড্রপস …
৬. মেকআপ তুলতে পানি ও অলিভ অয়েল …
৭. বেকিং সোডা দিয়ে চোখের নিচের কালো দাগ দূর

আরও পড়ুনঃ টনসিল হলে কি কি সমস্যা হয় জানা জরুরি | টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না
নিজের যত্ন নেওয়া আমার জন্য এত কঠিন কেন?
কখনও কখনও স্ব-যত্ন করা কঠিন কারণ কেবল নিজের যত্ন নেওয়ার জন্য আসক্তিগুলিকে ধ্বংস করার প্রয়োজন হয় । এবং এটি সবচেয়ে কঠিন জিনিসগুলির মধ্যে একটি যা আমাদের করতে হবে। আসক্তির মাধ্যমে কাজ করার জন্য প্রচুর সংস্থান উপলব্ধ, এবং আপনি যদি স্ব-যত্নের সাথে লড়াই করছেন তবে সেগুলিকে আপনার প্রয়োজন হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *