অনুচ্ছেদ রচনা বৈশাখী মেলা – কমন পড়বেই

Contents
বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ রচনাএছাড়া পড়ুনঃ বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ For Class 4বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ For Class 10এছাড়া পড়ুনঃ আমার মতামতঃ
সামনেই বৈশাখ মাস। আর তাই বর্তমানে বিভিন্ন বার্ষিক পরীক্ষায় বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ রচনা এসে থাকবে। আপনাদের পড়াকে সহজ করার জন্য আমাদের আজকের এই ছোট্ট প্রয়াস। যদি আপনি এই অনুচ্ছেদ রচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে আপনি ১০০% পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করবেন। নিচে আমি ছোট-বড় কয়েকটি বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ রচনা উল্লেখ করেছি। আমাদের লেখা এই অনুচ্ছেদ রচনা আপনাদের পছন্দ হলে একটি স্টাররেটিং দিয়ে দিবেন।

বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ রচনা
বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ রচনা
বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ রচনা
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে সারাদেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলা প্রদর্শনীর জন্য কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। বৈখাশী মেলা এক জায়গায় এক দিনের জন্য, এক জায়গায় এক সপ্তাহ এবং অন্য কোনো জায়গায় এক মাস ধরেও হয়ে থাকে। বৈশাখী মেলা নতুন বছরে মানুষের আনন্দ প্রকাশের একটি সুযোগ। প্রদর্শনীতে উপস্থিত পরিচিতদের সাথে কুশল বিনিময় করে থাকে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জনপ্রিয় উৎসবের মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর হয়ে উঠে এই দিনটি। বলীখেলা, ঘোড়দৌড়, লাঠি খেলা ইত্যাদি ক্রীড়া ইভেন্ট বৈশাখী প্রদর্শনীকে আরও আকর্ষণীয় মেলাতে পরিণত করে। এই প্রদর্শনীতে বিভিন্ন স্থানীয় গান পরিবেশিত হয়। বৈশাখী মেলা সাধারণত গ্রাম, বাজার, নদীর তীরে এবং মন্দির চত্বরের বাইরে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রদর্শনীতে বিক্রি হওয়া পণ্যের মধ্যে আমরা সব ধরনের হস্তশিল্পের কথা উল্লেখ করতে পারি। বৈশাখী প্রদর্শনীতে না গিয়ে তালপাতার পাখা কেনেন এমন মানুষ কমই আছে এই দেশে। বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার ও মিষ্টি এই মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলে। এই প্রদর্শনীতে সব ধরনের পণ্য বেচা-কেনা হয় এটা ঠিক, তবে বৈশাখী মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের সমাগম।

আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ রচনা | আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অনুচ্ছেদ class 10
এছাড়া পড়ুনঃ
বাল্যবিবাহ রচনা | Child Marriage Essay in Bengali
শ্রমের মর্যাদা রচনা ২০ পয়েন্ট | শ্রমের মর্যাদা রচনা সহজ
আমাদের দেশ রচনা ক্লাস ৫ | আমাদের দেশ রচনা ক্লাস 4
বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ For Class 4
বৈশাখী মেলা হলো নববর্ষের জনসাধারণের অন্যতম অনুষ্ঠান। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশের অনেক ছোট-বড় বাণিজ্য মেলা নববর্ষের দিনে শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এইসব মেলার আয়োজন করে থাকেন। মেলার সময়কাল সাধারণত এক থেকে সাতদিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু জায়গায় এই মেলা চলে পুরো বৈশাখ মাস পর্যন্ত। উত্তরবঙ্গের দিনাজপুর জেলার নেকমর্দনে পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠিত মেলাটি উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ ও জমকালো মেলা। সাধারণত এই মেলা এক সপ্তাহ চলে। উত্তরবঙ্গের এমন পণ্য নেই যা এই মেলায় পাওয়া যায় না। এই মেলা সবার জন্য উপযুক্ত। নাচ, গান, নাগরদোলা ইত্যাদি মেলার হাজার বছরের ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। মেলা চলাকালীন তরুণ-তরুণী উভয়েই স্মার্ট পোশাক পরেন। বাংলাদেশের মেলায় দেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যায়, যা বাঙালি ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে বিবেচিত হয়। বৈশাখী মেলা বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সমাহার। এই মেলা সবার জীবনে আনন্দ নিয়ে আসে এবং সারা বছরের কাজের ক্লান্তি ও মানসিক অশান্তি দূর করে দেয়। আমরা বাঙালি ঐতিহ্যের পুনর্মূল্যায়ন করতে অনুপ্রাণিত হই এই বৈশাখী মেলা থেকে।

আরও পড়ুনঃ যানজট সমস্যা ও সমাধান অনুচ্ছেদ Class 6, 7, 8, 9 | যানজট অনুচ্ছেদ
https://www.youtube.com/watch?v=rlwNUsqQrWE

বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ For Class 10
বৈশাখী মেলা বাংলাদেশের মানুষের জন্য অন্যতম অনুষ্ঠান। নববর্ষের সূচনা উপলক্ষে বৈশাখের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলার জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। এই মেলা শুরু হয় এবং এক মাস স্থায়ী হয়। নববর্ষে বৈশাখী মেলার মাধ্যমে মানুষের আনন্দ প্রকাশ পাওয়া যায়। বাঙালি সংস্কৃতিতে এটি গুরুত্বপূর্ন ঐতিহ্য। আমাদের দেশে প্রাচীনকাল থেকেই বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এই প্রদর্শনীতে একই সময়ে বিভিন্ন উৎসব এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলা অনুষ্ঠিত হয়, বল খেলা, ঘোড়দৌড় এবং নৌকায় চড়ার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। বৈশাখী প্রদর্শনী সাধারণত খোলা আকাশে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর সকালে রমনা বটমূলে এই মেলা হয়। তদুপরি, গ্রামের হাটবাজারে, নদী তীরে, মন্দির প্রাঙ্গণে মেলা বসে। প্রদর্শনীর সময় মানুষ ভিড় করে। এটি এমন এক প্রদর্শনী যেখানে বিভিন্ন পণ্য যেমন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, বিভিন্ন গৃহ নির্মাণ শিল্প, খেলনা ইত্যাদি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। যাত্রা, পুতুল নাচ, নাগরুদ্র, সার্কাস ইত্যাদির মতো বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এছাড়াও মেলায় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায়। নতুনদের স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীতে কোনো ধর্মীয় চেতনা নেই। তাই উৎসবটি বিশ্বব্যাপী চলে। প্রদর্শনীটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের মিলনস্থল হয়ে উঠে। প্রগতিশীল চেতনা মানুষকে জাগিয়ে তোলে এই মেলা। তাই সবদিক বিবেচনায় এই প্রদর্শনীর গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের বাঙালি ঐতিহ্যের পুনর্মূল্যায়ন করতেই এই বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *