![]() |
Nokia C110 Full phone specifications |
বন্ধুরা ফোনের বাজারে যদি কোনো বিশ্বস্ত ব্রান্ডের কথা বলতে হয় তাহলে Nokia এর নাম খুব সহজেই মানুষের মুখে আসবে। এন্ড্রয়েড আসার আগে যখন বাটন নির্ভর ফোনে Java ফোন ব্যবহার করা হতো তখন সারাবিশ্বে Nokia এর ব্যবহার ছিলো সর্বোচ্চ। এন্ড্রয়েড আসার পরে Nokia তাদের পুরানো ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। তবে বর্তমানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তারা বাটন মোবাইল ও কাইওএস ফোন সহ Nokia এন্ড্রয়েড ফোন উৎপাদন শুরু করে তাদের পুরানো ঐতিহ্য পুনরায় ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নিয়ে এলো তাদের নতুন মডেল Nokia C110।
Nokia C110 design and display
172 গ্রাম ওজনের এই ফোনটি আপনি পাচ্ছেন প্লাস্টিক ফ্রেমে যেটার পিছনের অংশে প্লাস্টিক এবং সামনের অংশে গ্লাস এর ব্যবহার হয়েছে। সিংগেল সিম (ন্যানো সিম) এর পাশাপাশি এই ফোনে স্প্ল্যাশ এবং ডাস্ট রেসিসটেন্ট এর সুবিধা রয়েছে। তবে দেশভেদে ডাবল সিম ভার্সনও পাওয়া যেতে পারে। ডিসপ্লেতে আপনি পাচ্ছেন ৬.৩ ইঞ্চি LCD স্ক্রিন। সাথে থাকছে ২৭৩ পিপিআই ডেনসিটি সম্পন্ন HD+ রেসোলুশন। এর সাথে রয়েছে স্ক্রাচ রেসিসটেন্ট ক্ষমতা যুক্ত প্রোটেক্টিভ গ্লাস। যেটা আপনার ফোনের স্ক্রিনে দাগ পড়া থেকে সহায়তা করবে। এই ফোনের এসপেক্ট রেশিও ২০:৯ এবং এটি সর্বোচ্চ ৪০০ পর্যন্ত ব্রাইটনেস পর্যন্ত অফার করে।
Nokia C110 processor
নকিয়া তাদের এই ফোনে মিডিয়াটেক MT6762 হেলিও P22(12 nm) চিপসেট ব্যবহার করেছে। চিপসেট হিসেবে Octa-core(4×2.0 GHz Cortex-A53 & 4×1.5 GHz Cortex-A53) ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফোনে জিপিউ হিসেবে PowerVR GE8320 ব্যবহার করা হয়েছে। সর্বোপরি এই বাজেটের ফোনের মধ্যে আপনাকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার উপযোগী সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে নকিয়ার নতুন এই মডেলটি । অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এই ফোনে এন্ড্রয়েড ১২ এর সুবিধা নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
RAM and Storage of Nokia C110
নোকিয়া তাদের নতুন এই মডেলের ফোনে ৩ জিবি র্যাম ও ৩২ জিবি এর স্টোরেজ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। তবে এই স্টোরেজ এর ক্ষমতা microSD স্লটের মাধ্যমে বাড়ানো সম্ভব।
Nokia C110 camera
Nokia C110 মডেলের এই ফোনে ১৩ মেগাপিক্সেলের একটি সিংগেল ক্যামেরা রয়েছে। এর সাথে LED ফ্লাশলাইটের সুবিধা রয়েছে। যেটির মাধ্যমে 1080p 30fps এ ভিডিও করা সম্ভব। ফোনটির সামনে একটি ৫ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। যদিও সেলফি ক্যামেরার সাথে ফ্লাশলাইটের সুবিধা ব্যবহারকারীরা নিতে পারবেন না।
Nokia C110 battery
Nokia C110 ফোনে ৩০০০ মিলি এম্পিয়ারের লি-প্রো ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যেটি ফোনের সাথে সংযুক্ত থাকবে। চার্জার হিসেবে ৫ওয়াটের একটি ওয়্যার্ড চার্জার পাওয়া যাবে ফোনের সাথে। ফোনটিতে ৩.৫ মিমি জ্যাক এর সুবিধা রয়েছে। ব্যবহারকারীরা USB টাইপ C 2.0 পোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
Nokia C110 Price in Bangladesh
ফোনটি শুধুমাত্র গ্রে কালারেই পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটি এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য পাওয়া যাচ্ছে। এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ৯৯ ডলার। তবে আশা করা যায় বাংলাদেশের বাজারেও ফোনটি নিকট ভবিষ্যতে চলে আসবে। তখন এর দাম ১২ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। আপনার ফোনের বাজেট যদি অল্প হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই ফোনটি বাংলাদেশের বাজারে আসার পরে ক্রয় করে আপনার চাহিদা খুব সহজেই মিটিয়ে নিতে পারবেন। বন্ধু আপনার কাছে নোকিয়ার নতুন মডেলের এই ফোনটি কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।
- কোন মোবাইল কোম্পানির ফোন ভালো | কোন মোবাইল সবচেয়ে ভালো ২০২৩
- Realme C55 একটি সাশ্রয়ী মূল্যে আইল্যান্ড ফিচার আসলো বাজারে