বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট
Contents
 বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট ভূমিকা: মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট: মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি:পূর্ব-পশ্চিম: ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ:২৫ মার্চের অতর্কিত আক্রমণ:বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার ও স্বাধীনতার ঘোষণা:অস্থায়ী সরকার গঠন: স্বাধীনতা আন্দোলন: মুক্তিবাহিনী গঠন: বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডো বাহিনীর আক্রমণ:মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড: পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ: বাংলাদেশকে  স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশসমূহ:মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা:মুক্তিযুদ্ধে কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের ভূমিকা:চূড়ান্ত বিজয়: উপসংহার: আশাকরি আমাদের আজকের আয়োজন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট রচনাটি আপনারা শিখেছেন। যদি না শিখেউ থাকেন তাহলে শিখে ফেলুন এই রচনাটি। এই রচনা লিখে পরিক্ষায় ২০ পয়েন্ট পাবেন। 
সহবাংলা আইটি এর বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছেন। যাইহোক শিক্ষার্থী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রচনা। ঘুরেফিরে বারবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট আসে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট নিম্নে তুলে ধরা হলো। তোমরা অনেকেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট এর জন্য সার্চ করেছিলে। তাই বিভিন্ন বই থেকে পয়েন্ট সংগ্রহ করে রচনাটি তোমাদের মাঝে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা উপস্থাপন করলাম।

 বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্বের ইতিহাস। দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রামের পর বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছিল। শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতায় লিখে নম্বর পাওয়ার জন্য নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। নিম্নে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট রচনাটি তুলে ধরা হলো।

ভূমিকা: 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ 1971 সালের 26 মার্চ শুরু হয়েছিল কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার সংগ্রাম যুগ যুগ ধরে চলে এসেছিল। অবশেষে দীর্ঘ 9 মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে 30 লক্ষ শহীদের রক্ত অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এর সমাপ্তি ঘটে 1971 সালের 16 ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে। এদিন  পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একদিকে যেমন করুন, শোকাহত, অন্যদিকে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত ও বীরত্বপূর্ণ।

স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল জায়নামাজের উদার জমিন।” – শামসুর রাহমান

মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট: 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক পটভূমি। 1957 সালের 23 জুন ষড়যন্ত্রমূলক যুদ্ধে পলাশীর প্রান্তর বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজিত হন ইংরেজদের কাছে। সেখান থেকেই বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। বাঙালির জাতী চলে আসে ইংরেজদের শাসনাধীনে। 200 বছর রাজত্ব চালায়। বিজাতীয় শাসন, শোষণ, বঞ্চনা আর  নিপীড়নের যাঁতাকলে বাঙালি জাতি নিষ্পেষিত হয়েছে। মনের লালিত স্বাধীন স্বাধীনতার ঝুলি- লুণ্ঠিত স্বপ্নসাধ থেকে বিভিন্ন সময়ে দেশের মানুষের মনে এর জন্ম।

মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি:

১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ইংরেজদের শাসনামলের অবসানের মধ্য দিয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। বর্তমান বাংলাদেশের তৎকালীন নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর পূর্ব পাকিস্তানের অধিবাসীদের প্রতি মনোভাব ছিল বিরূপ। তাদের বিরূপ মনোভাবের প্রথম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে। নিজের মায়ের ভাষার সম্মান রক্ষার্থে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রফিক, সালাম, ররকতেরা ১৪৪ ধারা অমান্য করে নেমে এসেছিল রাজপথে। তাদের বুকের তাজা রক্তে ভিজেছিল রাজপথ। ফলশ্রুতিতে, পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকেরা বাধ্য হয় বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দিতে। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ধীরে ধীরে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে৷ ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন ছিল সে প্রতিবাদের বহিঃপ্রকাশ। জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ সালে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। আওয়ামী লীগ ১১ দফার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ও বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকরা ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৫ম শ্রেণি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৫ম শ্রেণি

 

পূর্ব-পশ্চিম: 

পাকিস্তানি তাদের ধর্মের কারণে ঐক্যবদ্ধ ছিল ইসলাম। পশ্চিম পাকিস্তান 97  ভাগ মুসলমান এবং পূর্ব  পাকিস্তানে ছিল 85  ভাগ মুসলমান। যাইহোক,বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ  ছিল যা পূর্ব পাকিস্তান এর জনগণকে তাদের পক্ষে লড়াই করতে বাধ্য করেছিল স্বাধীনতা অর্জনে। পশ্চিম পাকিস্তানের প্রদেশ ছিল: পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তান, এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত। পূর্ব পাকিস্তান পঞ্চম প্রদেশ ছিল। প্রদেশ গুলির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা অবস্থায়, পশ্চিমের চেয়ে বেশি সম্পদ ব্যবহার করছে পূর্ব পাকিস্তান।

আরও পড়ুনঃ  প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান রচনা | প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান রচনা class 10

৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ:

১৯৭০ সালে জাতীয়  পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় লাভের পরেও পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ জাতীয় পরিষদে অধিবেশন ডাকলেও ১ মার্চ তা মুলতবি ঘোষণা করেন। পূর্ব পাকিস্তানে এ খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র দেশের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অবশেষে আসে ৭ মার্চ। তৎকালীন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমান সামরিক আইন প্রত্যাহার, সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, গণহত্যার তদন্ত, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মত বিষয়গুলো জনগণের সম্মুখে উপস্থাপন করেন। শেখ মুজিবের অগ্নিঝরা কন্ঠের “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম” আজো কোটি বাঙ্গালিকে উজ্জীবিত করে।

২৫ মার্চের অতর্কিত আক্রমণ:

শেখ মুজিবের নিকট ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা হস্তান্তরের নাটক পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ভেতর প্রবল ক্ষোভের জন্ম দেয়। সারা দেশে শুরু হয় আন্দোলন। অন্যদিকে ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে ধীরে ধীরে অস্ত্র ও সামরিক সেনাদের জড়ো করতে থাকে। অবশেষে আসে বাঙ্গালীর ইতিহাসের কালোরাত্রি ২৫ মার্চ৷ ইয়াহিয়া খান তার সেনাদের কুকুরের মতো লেলিয়ে দেয় ঘুমন্ত বাঙ্গালীর উপর। পৃথিবীর ইতিহাসের ঘৃণিত এই হত্যাযজ্ঞ ‘অপারেশন সার্চ লাইট‘ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাসে এটি এক নির্মম অধ্যায়।

মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের
মুক্তিযুদ্ধ রচনা ১০০ শব্দের

বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার ও স্বাধীনতার ঘোষণা:

ইয়াহিয়া খান জানতো, যে বঙ্গে বঙ্গবন্ধু আছে সে বাঙ্গালীকে যুদ্ধে হারানো এত সহজ হবে না। তাই কাপুরুষের মতো ২৫ মার্চ আক্রমণের রাতে তারা বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তবে বঙ্গবন্ধু আগেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ২৬ মার্চ বেলা ২টায় প্রথম চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার করা হয়। মেজর জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ কালুরঘাটস্থ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

অস্থায়ী সরকার গঠন: 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থায়ী সরকার গঠন করা হয়৷ ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরের মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার‘ শপথ গ্রহণ করেন৷ বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতা আন্দোলন: 

পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ 1948 সালে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই মূলত স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ বপন করা হয়। রাষ্ট্রভাষা করার জন্য সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। হাজার  1952 সালে পুনরায় উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা দিলে ছাত্র-জনতা পুনরায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

হাজার  1952 সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে। এ আন্দোলন স্তিমিত করার জন্য গুলি চালানো হয়। শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত প্রমুখ সহ অনেক। 1954 সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ ভরাডুবি এবং যুক্তফ্রন্টের অভূতপূর্ব পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতার ভিতর করে  নড়বড় করে দেয়।

ভরাডুবি এবং  যুক্তফ্রন্টের অভূতপূর্ব  বিজয় লাভ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতার  ওকে  নড়বড় করে দেয়। 1965 সালে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে প্রহসনের নির্বাচন দিয়ে এদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে নেয়। এখান থেকে থেকেই স্বাধীকার আদায়ের আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে।

মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৩০০ শব্দের
মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৩০০ শব্দের

বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে 1966 সালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি উত্থাপন হয়। মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা 1968 সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সাজিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগারে আটক করা হয়। কিন্তু গণআন্দোলনের মুখে তাকে আটকে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। 1966 সালে শেখমুজিবুর রহমান সহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাকে ছেড়ে দেয়া হয়। হাজার 970 সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেরাতে তদন্ত সামরিক একনায়ক জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে লেলিয়ে দেয় নিরীহ বাঙালি জনগণের ওপর। রাতের আধারে নির্মম ও বর্বর গণহত্যা। সেরাতে গ্রেফতারের আগে অর্থাৎ 26 শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করা হয়। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে স্বাধীনতার জন্য স্নাতকোত্তর অভ্যুত্থান ঘটে।

আরও পড়ুনঃ  আমাদের এখানে পড়ুন সময়ানুবর্তিতা রচনা ২০ পয়েন্ট | সময়ানুবর্তিতা রচনা

মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের সরকারের রাষ্ট্রপতি করা হয়। তার অবর্তমানে উপ রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা তাজউদ্দীন পালন করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধে মোহন সেনাপতি হল কর্নেল আতাউল গনি ওসমানী। এ সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তি সংগ্রাম।

মুক্তিবাহিনী গঠন: 

স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে 11 টি সেক্টরে ভাগ করা এদেশের অগণিত ছাত্র-জনতা, পুলিশ, লিপ ইয়ার, স্বাধীনতা সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামকে বেগবান করা মুক্তিযুদ্ধ সেনাপতি জেনারেল ওসমানী ওসমানীর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে 11 টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। এ দেশের অগণিত ছাত্র-জনতা পুলিশ ইপিআর আনসার ও সামরিক বেসামরিক লোকদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে দেশকে মুক্ত রাখার লক্ষ্যে তারা যুদ্ধকৌশল অস্ত্রচালনা এবং বিস্ফোরক ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। যতই দিন যেতে  থাকে ততই  সু সংঘটিত হয় মুক্তিবাহিনী। মুক্তিবাহিনী গেরিলাযুদ্ধের  নীতি অবলম্বন করে। বিপর্যস্ত করে শত্রুদের।বিশাল শত্রুবাহিনী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও প্রশিক্ষণ নিয়েও মুক্তিবাহিনীর মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছিল।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডো বাহিনীর আক্রমণ:

১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর ভারতের কমান্ডার জগজিৎ সিং অরোরার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ কমান্ডো গঠন করা হয়। ভারতীয় সেই বাহিনী মিত্রবাহিনী নাম নিয়ে গভীর রাতে বাংলাদেশের সকল রুটে প্রবেশ করে এবং পাকিস্তানের প্রতিটি বিমানঘাটিতে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের বিমানবাহিনীকে অচল করে দেয়।

ভারতীয় বিমানবাহিনী কুর্মিটোলা বিমানঘাটিতে ৫০ টন বোমা ফেলে পাকিস্তানের প্রায় এক ডজনের মতো বিমান বিদ্ধস্ত করে। ভারতীয় বিমানবাহিনী ও বাংলাদেশের সশস্ত্র যোদ্ধাদের যৌথ আক্রমণে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত অধ্যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনেক ভারতীয় সেনা শহিদ হয়।

মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড: 

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুঝতে পেরেছিল তারা পরাজয়ের সন্নিকটে অবস্থান করছে। তাই তারা অন্য এই গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকে। বাংলাদেশকে চিরপঙ্গু করে দেওয়ার নীলনকশা তারা প্রণয়ন করতে থাকে৷

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৫০০ শব্দ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৫০০ শব্দ

এদেশের দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল-শামস বাহিনীর সহায়তায় হানাদার বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে আমাদের দেশের সূর্যসন্তানদের উপর। ১৪ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে এদেশের মুক্তিকামী ও মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনকারী সকল শিক্ষক, চিকিৎসক, ডাক্তার, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অনেকেরই ক্ষতবিক্ষত দেহ ঢাকার রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ: 

মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাথে যুদ্ধে হানাদার বাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়লে মিত্র বাহিনীর ফিল্ড মার্শাল শ্যাম মানেকশ পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজীকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দেন। জেনারেল নিয়াজী ১৬ ডিসেম্বর বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অর্থাৎ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে সম্মিলিত বাহিনীর প্রধান জগজিৎ সিং অরোরার নিকট তিনি আত্মসমর্পণ করেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ।

বাংলাদেশকে  স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশসমূহ:

 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেশ হওয়ার আগেই ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটানের তৎকালীন রাজা জিগমে দর্জি ওয়াংচুক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানিয়ে তারবার্তা দেন। একই দিনে বেলা ১১টার সময় ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে৷ ১৯৭২ সালে ৮৭টি দেশ স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানায়। ১৯৭৩ সালে মোট ১৮টি দেশ স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানায়। ১৯৭৪ সালে মোট ৭ টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যার আগ পর্যন্ত ১০৪ দেশ (সৌদি আরব ও চীন ছাড়া) বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। অবশেষে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৫-এ সৌদি আরব ও চীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

মুক্তিযুদ্ধে নারীর ভূমিকা:

লাখো নারীর সম্ভ্রম হারানোর গল্প বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধে নারীদের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। কানন দেবী, উপাসনা রায়, সুধারানী কর, পূর্ণিমা রানী দাস ও নিপা রানী মুজমদারের মত নাম অজানা অনেকেই প্রশিক্ষণ সেবার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। প্রীতিরানী দাস পুরকায়স্থ, শুক্লা রানী দে, হেমলতা দেব ছাড়াও আরো অনেকে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন কলকাতায় বসে মুক্তিদ্ধের রণাঙ্গনে গানের টিম পাঠিয়ে উদ্দীপ্ত করতেন যোদ্ধাদের। কাঁকন বিবি, তারামন বিবি, শিরিন বানু মিতিল, রওশন আরার মত অনেকে অস্ত্র হাতে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  সকল ক্লাসের জন্য বেগম রোকেয়া রচনা | বেগম রোকেয়া রচনা ২০ পয়েন্ট

মুক্তিযুদ্ধে কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের ভূমিকা:

মুক্তিযুদ্ধে সাহিত্যিকরা ছিল কলমযোদ্ধা আর শিল্পীরা ছিল কন্ঠযোদ্ধা। কবি, সাহিত্যিকরা তাদের কবিতা, গল্প গান দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতেন৷ অনেক শিল্পীরা প্রতিবেশী রাষ্ট্রে নাটক, গান পরিবেশন করে মুক্তিযুদ্ধের জন্য টাকা সংগ্রহ করতো৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় “চরমপত্র” ও ‘জল্লাদের দরবার‘ নামের অনুষ্ঠান দুটো মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল৷ সকলের সম্মলিত প্রচেষ্টায় আজ আমরা পেয়েছি সোনার বাংলাদেশ।

চূড়ান্ত বিজয়: 

ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সম্মিলিত সংগ্রাম এর 16 ই ডিসেম্বর বিকেল চারটায় 31 মিনিটে ঢাকার ঐতিহাসিকরেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান নিয়োজিতরা 90000 সৈন্যসহ বাংলাদেশের মুক্তি বাহিনী এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং পাকিস্তানের পক্ষে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন। ফলে দীর্ঘ 9 মাসের সংগ্রামের অবসান ঘটে এবং বিশ্বের মানচিত্রে লাল-সবুজ পতাকার স্বাধীন সার্বভৌম।

উপসংহার: 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে মিশে আছে এদেশের ছাত্র,, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী তথা আপামর জনতার রক্তিম স্মৃতি। লাখো শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে আমাদের দেশ গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তাদের স্মৃতিচারণা করে দেশাত্মবোধ এ জেগে উঠতে হবে। তবে মুক্তিযুদ্ধের সার্থকতা প্রতিফলিত হবে।পরিশেষে বলা যায় যে আপনারা যদি মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়বেন। যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগিতামূলক রচনায় এই মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা আসে নিজের ভাষায় লেখার জন্য তাহলে অবশ্যই আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়বেন এবং নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করবেন।
সাবাশ বাংলাদেশ,
এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়
জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়..” ~ সুকান্ত ভট্টাচার্য্য

আশাকরি আমাদের আজকের আয়োজন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ২০ পয়েন্ট রচনাটি আপনারা শিখেছেন। যদি না শিখেউ থাকেন তাহলে শিখে ফেলুন এই রচনাটি। এই রচনা লিখে পরিক্ষায় ২০ পয়েন্ট পাবেন। 

 

TAG: রচনা মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ,মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা,মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা ১২০০ শব্দের,মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা ১২০০ শব্দের উওর,মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ রচনা উত্তর,মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পর্কে রচনা,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অনুচ্ছেদ,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারী সমাজের অবদান মূল্যায়ন কর,অনুচ্ছেদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান আলোচনা কর,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান আলোচনা কর,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা pdf,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস pdf,অনুচ্ছেদ রচনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান আলোচনা করো,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৫ম শ্রেণি,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কে ছিলেন,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমি আলোচনা কর,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৫০০ শব্দ,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কোথায় অবস্থিত,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উক্তি,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা কোনটি,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সাধারণ জ্ঞান,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ অনুচ্ছেদ রচনা,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমি,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা hsc,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অপর নাম কি,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা রচনা,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারী সমাজের অবদান,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর সমূহ,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক সমর্থন,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ রচনা ৪র্থ শ্রেণি,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সাধারণ জ্ঞান pdf,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব কে ছিলেন,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান আলোচনা করো,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান আলোচনা কর,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক সমর্থন রচনা,বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা।

About the Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like these

Share via
Copy link